মিঠে কড়া সংলাপ
বিদ্যুৎ বিভাগের অবস্থা কাজির গরুর মতো!
ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন
প্রকাশ: ২৯ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
কথায় বলে কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই। আমাদের দেশের বিদ্যুৎ বিভাগের অবস্থাও তাই। কারণ, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে চাহিদা অপেক্ষা বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা বলা হলেও বিদ্যুতের অভাবে দেশের মানুষের যাপিতজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে মফস্বলের মানুষকে দিনে-রাতে অর্ধেক সময়ই বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় জীবনযাপন করতে হচ্ছে।
আজ প্রায় এক মাস হলো আমি আমার নিজ জেলা পাবনা শহরে অবস্থান করছি। শহরের পৌর এলাকার পশ্চিমাংশে আমার বাড়ি। অথচ এ এলাকাতেই দিনে-রাতে ৮/১০ বার বিদ্যুৎ চলে যায় এবং কখনো এক ঘণ্টা, আবার কখনো এক ঘণ্টারও বেশি সময় পর বিদ্যুৎ বাবু ফেরত আসেন। এ অবস্থায় কুরবানির মাংসসহ ফ্রিজে রক্ষিত অনেকের খাদ্যদ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে অনেকেই স্থানীয় নেসকো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও কোনো লাভ হচ্ছে না। তারা সাফ জানিয়ে দিচ্ছেন, তাদের করার কিছু নেই। কোনো সময় লোডশেডিংয়ের কথা বলে, কখনো বা বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের কথা বলে দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন। অনেকে আবার সরাসরি নেসকোর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেও দেখেছেন, তাতেও কোনো সুফল হয়নি। এ অবস্থায় যাপিতজীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠাসহ ফ্রিজে রক্ষিত মাছ-মাংস নষ্ট হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে ব্যবহার্য ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি বিনষ্ট হওয়া ইত্যাদি কারণে কেউ কেউ নেসকো কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে একজন অতি সাধারণ মানুষ একদিন আমার কাছে এসে অভিযোগের সুরে বললেন, সারা দিন খাটাখাটনির পর সন্ধ্যারাতে চারটে ভাত খেতে বসেছি, ঠিক সেই সময় বিদ্যুৎ চলে গেল, আবার রাতে ফ্যান চালিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার পর মাঝরাতে গরমের চোটে ঘুম ভেঙে গেলে দেখি ঘামে সারা শরীর ভিজে গেছে; কারণ, কখন যেন বিদ্যুৎ চলে গেছে। আবার অনেকেই অভিযোগ করছেন, প্রায় প্রতিদিনই মাগরিবের নামাজের সময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ঘটনাটি একটি নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এভাবেই মফস্বল এলাকায় দিন-রাত ঘণ্টায় ঘণ্টায় এমনকি আধাঘণ্টা, পনের মিনিট পরপরও বিদ্যুৎ চলে যায়। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের মনেও এখন যে প্রশ্নটি ঘুরপাক খাচ্ছে, তা হলো, ‘উৎপাদিত এত বিদ্যুৎ যাচ্ছে কোথায়? কে বা কারাই বা এত বিদ্যুৎ খেয়ে ফেলছেন। নাকি বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে যেসব অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে, তা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে?’
উল্লেখ্য, সাধারণ মানুষের এসব প্রশ্ন অত্যন্ত সাদামাটা হলেও তার উত্তর কিন্তু অতটা সহজ নয়। কারণ, মাসে মাসে, চাঁদে চাঁদে বিদ্যুৎ বিল বাড়িয়ে গ্রাহকের ওপর বাড়তি চাপ সৃষ্টি করার পরও সাধারণ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে বিদ্যুৎ বিভাগের কাজকর্ম দিনের পর দিন প্রশ্নের পর প্রশ্ন সৃষ্টি করছে। দিনকয়েক আগে গবেষণা সংস্থা সিপিডির আলোচনাতেও বিদ্যুৎ বিভাগের দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে, কেউ কেউ বিদ্যুৎ বিভাগের হাজার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির কথা উল্লেখ করেছেন, ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারাও বলেছেন, তাদের কলকারখানায় ঠিকমতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে না। এখন প্রশ্ন হলো, এসব কথা, এসব তথ্য সঠিক কিনা।
হ্যাঁ, বিদ্যুৎ বিভাগের কাছে এ প্রশ্নটি তোলাই যায়, তাদের বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ উৎপাদনের টাকা লোপাটের ঘটনা সঠিক কিনা। কিন্তু সে প্রশ্নটির সুরাহা করতে হলে তো একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন, আর সে কাজটিও তো সরকারেরই করা উচিত। কারণ, এখানেও যদি কোনো রাঘববোয়াল থেকে থাকেন, যারা বিদ্যুৎ উৎপাদনের অর্থ লোপাট করে চলেছেন, তাদেরও তো খুঁজে বের করা দরকার। নাকি বিদ্যুৎ বিভাগে এমন কেউ নেই, তারা সবাই ধোয়া তুলসীপাতা এবং তারা অন্য গ্রহ থেকে এসেছেন! যদি তাই হবে, তাহলে পরপর একনাগাড়ে চার দফা ক্ষমতাসীন সরকারের আমলে লাখ লাখ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিভাগের পেছনে ব্যয় করেও দেশের মানুষ ঠিকমতো বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না কেন? একদিকে গলাবাজি করে বলা হচ্ছে, দেশে চাহিদা অপেক্ষা অধিক বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ না পেয়ে আমাদের হাপিত্যেশ করতে হচ্ছে কেন? আমি নিজেও তো আমার পাবনার বাড়িতে বসে বিদ্যুৎবিহীন দুর্বিষহ অবস্থার মুখোমুখি হওয়ায় স্থানীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের কাছে দেনদরবার করে ব্যর্থ হয়ে শেষমেশ নেসকোর এমডিকে বিষয়টি জানালে, তিনি আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চালু করার ব্যবস্থা করেন। কারণ, সারা দিনে ছয়বার বিদ্যুৎ বন্ধ করে দিয়ে দিনের ১২ ঘণ্টার ৬ ঘণ্টা বিদ্যুৎবিহীন রেখে সন্ধ্যার একটু আগে বিদ্যুৎ আসায় ফ্যান-লাইট চালিয়ে টেলিভিশন খুলে বসার সঙ্গে সঙ্গে ৭ম দফায় আবার বিদ্যুৎ চলে যায়। সে অবস্থায় নেসকোর স্থানীয় নির্বাহী প্রকৌশলীকে সারা দিন এভাবে ১২/১৩ ঘণ্টায় ৭ম দফায় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার বিষয়টি জানালে, তিনি এ বিষয়ে জেনেশুনে বলবেন বললেও আবারও আমার ফোনও রিসিভ করেননি। এ অবস্থায় আমি বিষয়টি নেসকোর এমডি সাহেবকে জানানোর পর ১০ মিনিটের মধ্যে আমার এলাকায় বিদ্যুৎ চলে আসে। কিন্তু ৪ ঘণ্টার মাথায় রাত ১১টার পর আবার বিদ্যুৎ চলে যায় এবং সারারাত ধরে পাঁচবার আসা-যাওয়া করে!
কিন্তু এভাবে আর কতদিন? আর কতকালই বা বিদ্যুৎ বিভাগের এ অত্যাচার অব্যাহত থাকবে? এ বয়সে আমিই বা ঢাকা থেকে পাবনা এসে গ্রামের বাড়িতে থাকতে গিয়ে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় দুর্বিষহ যাতনার মুখোমুখি হয়ে কতবার নেসকো কর্তাদের শরণাপন্ন হব? এক্ষেত্রে এখানে এ প্রশ্নটি করাই যায়, এজন্যই কি আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, অতঃপর এজন্যই কি বঙ্গবন্ধুকন্যা বারবার প্রধানমন্ত্রী হোন কায়মনোবাক্যে তা কামনা করেছিলাম আর এজন্যই কি দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকা এভাবে পানির মতো বিদ্যুৎ বিভাগের পেছনে খরচ করা হচ্ছে, দেশের মানুষের ঘাড়ে বৈদেশিক ঋণের বোঝা চাপানো হচ্ছে? জানি না এসব প্রশ্নের জবাব কী? তবে সারা দেশের জেলাসহ থানা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যায়ের সাধারণ মানুষ যে বিদ্যুতের অভাবে এ গরমে দুর্বিষহ অবস্থায় আছেন এবং তারা যে এসব নিয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ তথা সরকারের ওপর রুষ্ট, এ কথাটি কিন্তু সত্যি। হতে পারে কিছু ভিআইপি, ভিভিআইপির এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতি থাকে না, সারা দেশে মফস্বল শহরের ডিসি, এসপি, এমপি সাহেবদের বাসাবাড়ি, অফিসে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকে, কিন্তু অন্যান্য ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের বাসাবাড়ি, অফিস, কলকারখানা, ক্ষুদ্রশিল্প ইত্যাদি স্থানে বিদ্যুতের ঝামেলা কিন্তু লেগেই আছে। বিদ্যুতের অভাবে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, কাজকর্ম বিঘ্নিত হচ্ছে। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদন নিয়ে সরকারি উচ্চমহল থেকেও অব্যাহতভাবে তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলে বলা হচ্ছে, দেশে চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। একদিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের পেছনে পানির মতো অর্থ ঢালা হচ্ছে, বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত হয়ে একটি নবজাতক শিশুর ঘাড়েও ঋণের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ মানুষ যে বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না, সেদিকে কারও ভ্রুক্ষেপ নেই! জনপ্রতিনিধিসহ সরকারি দলের নেতারাও এসব নিয়ে টুঁ শব্দটি করছেন না; কারণ, তাদের প্রায় সবার বাড়িতেই একটির বেশি বিকল্প লাইন আছে বা ভিআইপি হিসাবে চিহ্নিত এলাকা নির্দিষ্ট করে বিদ্যুৎ বিভাগ তাদের জন্য বিশেষ লাইন বা গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন বলে বাড়িতে বিদ্যুতের ঝামেলা নেই; ফলে এসব নিয়ে কোনো মাথাব্যথাও নেই! এমনকি এসব বিষয়ে তারা কোনো খোঁজখবর রাখেন বলেও মনে হয় না।
এ অবস্থায় ভিআইপি, ভিভিআইপি বা এ শ্রেণির লোকজন নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ ভোগ করার পর যতটুকু অবশিষ্ট থাকে, সারা দেশের মানুষের মধ্যে তা ভাগবাঁটোয়ারা করতে গিয়ে তাতে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে মফস্বলের মানুষ দিন-রাতের অর্ধেক সময়ই বিদ্যুৎবিহীন থাকেন বলে বিদ্যুৎ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এখানে আরও উল্লেখ্য, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক রাজধানী ঢাকা শহরকে যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, আবার মফস্বল শহরের জেলা শহরকে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে ডিসি, এসপি, এমপি ইত্যাদি শ্রেণি বিশেষের এলাকাতে অব্যাহত বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রেখে সেভাবে বিদ্যুৎ বিলিবণ্টন করা হয়, স্পেশাল, বিকল্প বা অতিরিক্ত লাইনের মাধ্যমে তাদের যেভাবে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়, তাতে করে কিন্তু আমাদের সংবিধান লঙ্ঘিত হয়। কারণ, সংবিধানে ‘সকল ক্ষেত্রে দেশের সকল মানুষের সমান অধিকার’ কথাটি নিশ্চিত করা আছে। আবার জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস, এ কথাটিও সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা আছে। আর সংবিধানে বর্ণিত সেই জনগণ কিন্তু বিদ্যুৎ বিভাগ যাদের বিদ্যুৎবঞ্চিত করে থাকেন, সেসব আমজনতাকে বাদ দিয়ে নয়। সুতরাং, বিদ্যুৎ বিতরণের ক্ষেত্রে বৈষম্য সৃষ্টি করে বিদ্যুৎ বিভাগ কোনোভাবে বা কোনো ধরনের সংবিধান লঙ্ঘন করে চলেছে কিনা, সে প্রশ্নটিও কিন্তু একেবারে ফেলে দেওয়ার মতো নয়। কারণ, দেশের সাধারণ মানুষের বাসস্থানকে বিদ্যুৎ বিভাগ যেভাবে অবহেলা করে মানুষকে বিদ্যুৎ বণ্টনে বৈষম্যের শিকারে পরিণত করে, তাতে কিন্তু সংবিধানে উল্লেখিত ‘দেশের সকল মানুষের সমান অধিকার’ কথাটি অস্বীকার করা হয়।
লেখাটি আর দীর্ঘায়িত না করে উপসংহার টেনে বলতে চাই, বিদ্যুৎ বিভাগের গলদ কোথায়, এখনই তা খুঁজে বের করা প্রয়োজন। কারণ, মেঘে মেঘে অনেক বেলা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে তাদের কাজকর্মে ইনডেমনিটি দেওয়ায় ভেতরে ভেতরে তারা যে বেপরোয়া হয়ে ওঠেননি, অন্য অনেক বিভাগের মতো তাদেরও কেউ কেউ যে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়নি, সে কথাটিও কেউ হলফ করে বলতে পারেন না। সুতরাং, বিদ্যুৎ বিভাগের কার্যকলাপে কোনো অসংগতি, ত্রুটি-বিচ্যুতি বা দুর্নীতি আছে কিনা, তা খুঁজে দেখতে দোষ কী? থাকলেও তো থাকতে পারে। কে জানে কেঁচো খুঁড়তে সাপও তো বেরিয়ে আসতে পারে! কারণ, বিদ্যুৎ বিভাগ নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম ইত্যাদিতে যেসব আলোচনা হচ্ছে, জনমনে যেভাবে অসন্তোষ দানা বেঁধে উঠছে, তাতে করে সরকারেরই ভাবমূর্তি বিনষ্ট হচ্ছে। এ অবস্থায় সরকার নিজে যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে একটি কমিটি গঠন করে বিদ্যুৎ বিভাগের দোষ-ত্রুটি-বিচ্যুতি খুঁজে বের করার চেষ্টা করে, তাহলে ক্ষতি কী? অন্যথায় আজ হোক, কাল হোক, অন্য কেউ, অন্য কোনোভাবে, অন্যপথে তা যদি বের করেন, তাহলে সে ক্ষেত্রে সরকারের আরও বেশি দুর্নাম হবে; সরকারের আরও বেশি ক্ষতি হবে। এ অবস্থায় বিদ্যুৎ বিভাগের ওপর একটি তদন্ত করার পর তার ভিত্তিতে একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে অসুবিধা কোথায়? বিশেষ করে দেশের একজন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে কোনো কোনো গবেষণা সংস্থাও যখন বিভাগটির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের বান ছুড়ে চলেছে! কারণ কাজির গরুর মতো বিদ্যুৎ বিভাগ কেতাবে বিদ্যুৎ দেখাবে অথচ গোয়ালে তা পাওয়া যাবে না, এ অবস্থা তো অব্যাহতভাবে চলতে দেওয়া যায় না।
ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন : কবি, প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট, বীর মুক্তিযোদ্ধা