সঠিকভাবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করতে হবে
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
প্রকাশ: ১০ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ
জাতীয় বাজেট আসছে। জুনের শুরুর দিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত হবে। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের জন্য বাজেট প্রণয়ন সব সময়ই বেশ চ্যালেঞ্জিং। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তো বার্ষিক বাজেট তৈরি করতেই হয়, আমরা জানি, ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও বাজেটের প্রয়োজন রয়েছে। বাজেট হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট বছরের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের খতিয়ান। তবে জাতীয় বাজেট এবং ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বাজেটের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে-ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক বাজেটের ক্ষেত্রে আয় বুঝে খাতওয়ারি ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হয়। কারণ এসব ক্ষেত্রে চাইলেই আয় বাড়ানো যায় না। আর জাতীয় বাজেটের ক্ষেত্রে প্রয়োজন নির্ধারণ করে আয়ের পরিমাণ এবং খাত নির্ধারণ করার চেষ্টা করা হয়। তবে সরকারের আয় বাড়ানোর সম্ভাবনা থাকলেও সব সময় তা যৌক্তিকভাবে বাড়ানো সম্ভব হয় না। জনগণের ওপর বর্ধিত হারে করারোপ করা অনেক সময় সম্ভব হয় না। অনেক সময় যাদের কর দেওয়ার তারা নানা ছুতোয় কর দেন না এবং আদায় করাও যায় না।
আগামী অর্থবছরের জন্য প্রণীত বাজেটে অতীতের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২৪) জন্য বাস্তবায়নাধীন জাতীয় বাজেটে যেসব অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের কথা বলা হয়েছিল, নানা কারণেই তা পরিপূর্ণভাবে অর্জন করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না। প্রথমেই উল্লেখ করা যেতে পারে জিডিপির প্রবৃদ্ধি অর্জনের বিষয়টি। চলতি অর্থবছরের জন্য ৭ দশমিক ৫ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও পরবর্তীকালে তা ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো বলেছে, তা হবে সাড়ে ৫ বা ৬ শতাংশ। কেন এমন হচ্ছে? অর্থনীতিতে করোনা মহামারি ও ইউক্রেন যুদ্ধের অভিঘাতের কারণে বেশকিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এ চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার কার্যকর পদক্ষেপ বাজেটে থাকা জরুরি বলে আমি মনে করি। মূল্যস্ফীতি একটি জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সমস্যা, যা নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি। ব্যক্তি খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে। আর ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি।
আগামী অর্থবছরে জাতীয় বাজেটে রাজস্ব আহরণের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য সুনির্দিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। দেশে রাজস্ব আহরণের হার খুবই কম। বর্তমানে কর-জিডিপি অনুপাত মাত্র ৮ শতাংশ (২০২২-২৩)। অথচ প্রতিবেশী দেশগুলোতে কর-জিডিপি অনুপাত অনেক বেশি। যেমন নেপালে তা ১৮-১৯ শতাংশ এবং ভারতে ১১ দশমিক ২ শতাংশ (২০২২-২৩)। পৃথিবীতে যেসব দেশে কর-জিডিপি অনুপাত সবচেয়ে কম, বাংলাদেশ তাদের মধ্যে অন্যতম। অর্থনীতির অধিকাংশ সূচকে পাকিস্তানের অবস্থা আমাদের চেয়ে খারাপ হলেও কর-জিডিপি অনুপাত সেই দেশে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ (২০২১)। অন্যদিকে বাংলাদেশে ধনী হওয়ার হার উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রকট। সাধারণ প্রবণতা হচ্ছে বিত্ত-বৈভব অর্জন করে সঠিক মাত্রায় কর প্রদান না করা। নানাভাবে তারা ট্যাক্স ফাঁকি দিচ্ছেন। এটা কোনোভাবেই চলতে দেওয়া ঠিক হবে না। এটা চলতে থাকলে সরকারকে বাধ্য হয়ে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উৎস থেকে বর্ধিত হারে ঋণ গ্রহণ করতে হবে।
একটি দেশের জন্য অতিমাত্রায় ঋণনির্ভর হয়ে পড়া কোনোক্রমেই মঙ্গলজনক নয়। যদিও এখনো আমরা ঋণের ক্ষেত্রে স্বস্তিদায়ক অবস্থানে রয়েছি, কিন্তু এটি কতদিন থাকবে সেটাই বিবেচ্য বিষয়। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে বিদেশি ঋণের পরিমাণ মোট জিডিপির ২১ শতাংশের মতো। আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে গৃহীত ঋণের হার প্রায় সমপরিমাণ। অর্থাৎ বিদেশি ও অভ্যন্তরীণ মিলিয়ে দেশের মোট ঋণের হার হচ্ছে জিডিপির ৪২ শতাংশের মতো। বিশ্বে এমন অনেক দেশ আছে, যাদের ঋণের পরিমাণ আরও অনেক বেশি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের পরিমাণ সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জিডিপির ১২৯ শতাংশ (২০২২)। আর জাপানের ক্ষেত্রে তা হচ্ছে ২৬৩ শতাংশ (২০২৩) এবং ভারতের ৮৬ শতাংশ (২০২২-২৩)। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, যে ঋণ গ্রহণ করা হয়, তা অনেক সময় সঠিকভাবে ব্যবহার হয় না। সরকার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে আসে। সেই ঋণের অর্থ ব্যবহারের দায়িত্ব যাদের হাতে থাকে, তারা অনেক ক্ষেত্রে সঠিকভাবে তা ব্যবহার করে না; কোনো কোনো ক্ষেত্রে অর্থ আত্মসাৎ করা হয় বিভিন্ন অপকৌশলের মাধ্যমে। আমাদের সমস্যা জিডিপির তুলনায় ঋণের অনুপাতে নয়, সমস্যা হচ্ছে গৃহীত ঋণের সব অর্থ সঠিকভাবে ব্যবহার না হওয়া। ফলে ঋণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত প্রকল্পের সুফল যতটা পাওয়ার কথা, ততটা পাওয়া যাচ্ছে না। বাজেটে বিভিন্ন খাতে ও প্রকল্পে বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে যথাসময়ে ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষা বাজেট প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। বাজেটে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ আরও বাড়ানো প্রয়োজন। শিক্ষা খাতে জিডিপির অনুপাত হিসাবে বাজেট বরাদ্দ ধীরে ধীরে কমছে। চলতি বছরে তা ২ শতাংশের কম। শিক্ষা খাতে যে বাজেট বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে, তার বেশিরভাগই অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজের জন্য ব্যয়িত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার কাজে অর্থ বরাদ্দ থাকছে খুবই কম। বলা হয়, যেহেতু বাজেটের আকার বাড়ছে, তাই অনুপাত কম হলেও টাকার অঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি ঠিক, কিন্তু শিক্ষা খাত এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে, সেখানে শুধু ব্যয়ের অঙ্ক কিছু বাড়ালেই চলবে না, জিডিপির অনুপাতও বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। কিন্তু অনেক সময় বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় করা সম্ভব হয় না। শিক্ষা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ যাতে সঠিকভাবে ব্যবহার হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণা ও শিক্ষার মানোন্নয়নে বরাদ্দ ও সঠিক ব্যয় বাড়ানো প্রয়োজন।
আগামী জাতীয় বাজেটে কর্মসংস্থানের ওপর ব্যাপক মাত্রায় জোর দিতে হবে। করোনাকালীন অবস্থায় অনেকেই তাদের কর্মসংস্থান হারিয়েছে। এ ছাড়া শ্রমবাজারে নতুন নতুন মুখ যুক্ত হচ্ছে। তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। সরকার অতীতের মতো আগামী বাজেটেও সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বর্ধিত ব্যয়-বরাদ্দ দেবে বলে আশা করা যায়। তবে সামাজিক নিরাপত্তা খাতের অংশ হিসাবেও নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির ওপর বিশেষ জোর দিতে হবে।
বর্তমান সময়ে পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার এখন জিডিপির প্রায় দেড় শতাংশ ব্যয় করছে। সরকার পরিবেশ সুরক্ষার ব্যাপারে আন্তরিক। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব আমরা ইতোমধ্যেই ব্যাপকভাবে পড়তে দেখছি। আগামী সময়ে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আরও জটিলতা সৃষ্টি করবে, এটা নিশ্চিত করেই বলা যেতে পারে। কাজেই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের আরও ব্যয় বাড়াতে হবে, যা অগ্রাধিকার নির্ধারণ করে প্রকল্প গ্রহণ ও কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। এ খাতে ব্যয় ও কার্যক্রম বাড়ানো না হলে আগামীতে আমাদের মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে হবে।
আগামী অর্থবছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর চেষ্টার পাশাপাশি বিদ্যমান উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি যদি কমিয়ে এনে সহনীয় পর্যায়ে নামানো না যায়, তাহলে জনমনে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে। সরকারের উন্নয়ন প্রচেষ্টা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়তে পারে। এখানে বড় চ্যালেঞ্জ দুষ্টচক্র (সিন্ডিকেট)। অনেক সময় দেখা যায়, সরকারের ভালো পদক্ষেপ বা উদ্যোগ মাঠপর্যায়ে গিয়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে মহলবিশেষ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে থাকে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পলিসি রেট এবং ব্যাংক ঋণের ওপর সুদের হার বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু দেশে মূল্যস্ফীতির ওপর কোনো প্রভাব পড়ছে না। অন্যান্য দেশে এ রকম পদক্ষেপ কাজ করেছে; কিন্তু বাংলাদেশে এ উদ্যোগ সঠিকভাবে কাজ করছে না। প্রতিবেশী দেশ ভারতে এমন উদ্যোগ কাজ করেছে, এমনকি অর্থনৈতিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত শ্রীলংকায়ও এমন পদক্ষেপের মাধ্যমে উচ্চ মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এ উদ্যোগ কাজ করেনি। কেন কাজ করল না, তা আমাদের খতিয়ে দেখতে হবে। বিভিন্ন খাতে বিদ্যমান দুষ্টচক্র এসব উদ্যোগকে কাজ করতে দিচ্ছে না বলে আমি মনে করি। এ দুষ্টচক্রগুলোর হোতাদের অনেকেই পরিচিত। কিন্তু তাদের জবাবদিহিতার মুখোমুখি করা যাচ্ছে না। ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলের জন্য তারা সবসময় তৎপর থাকছে, জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে না তাদের।
মার্কিন ডলারের বিনিময় হার বাজারের ওপর সম্পূর্ণ ছেড়ে দেওয়া উচিত কিনা, তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন উত্থাপন করে থাকেন। এটি একটি জটিল প্রশ্ন বটে। আমি মনে করি, বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার এখনই বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে নানা জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। অনেকেই বলছেন, মার্কিন ডলারের বিনিময় হার নির্ধারিত করে রাখার কারণে রেমিট্যান্স হুন্ডির মাধ্যমে আসছে। যদি বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা হতো, তাহলে বৈধ চ্যানেলে রেমিট্যান্স আরও বেশি আসত। আমি এ ধারণার সঙ্গে একমত নই। রেমিট্যান্স প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এখন প্রশ্ন হলো, যে সংখ্যক বাংলাদেশি বিদেশে যাচ্ছে, কর্মসংস্থান উপলক্ষ্যে রেমিট্যান্স সেই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে না। আমাদের বিবেচনায় রাখতে হবে বাংলাদেশ থেকে উপার্জন করার জন্য বিদেশে যাচ্ছেন কারা। গ্রামীণ দরিদ্র ও অদক্ষ ব্যক্তিরাই মূলত বিদেশে কর্মসংস্থানের জন্য যাচ্ছেন। তারা বিদেশে গিয়ে ভালো কাজ পাচ্ছেন না। কেউ কেউ বেকার থাকছেন। ফলে যে সংখ্যক মানুষ বিদেশে যাচ্ছেন, সেই অনুপাতে রেমিট্যান্স আসছে কম। বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার বাজারের ওপর ছেড়ে দিলে মূল্যস্ফীতি অনেক বৃদ্ধি পাবে। এতে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। আমদানি ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাবে। অর্থনীতিতে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হতে পারে। কিছুদিন আগেও বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার একাধিক বিনিময় হার চালু ছিল। এখন তা সঠিকভাবেই একক বিনিময় হারে নেওয়া হয়েছে।
দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়িত হয় না। ফলে প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধি পায়। এজন্য কাউকে জবাবদিহি করতে হয় না। এটি বন্ধ করতে হবে। গৃহীত প্রকল্প যাতে নির্ধারিত সময়ে এবং ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে যারা প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত, তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। (অনুলিখন : এম এ খালেক)
ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ : অর্থনীতিবিদ; চেয়ারম্যান, ঢাকা স্কুল অব ইকনোমিকস