বাইফোকাল লেন্স
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে যুক্তরাষ্ট্রের প্রজন্মগত মতপার্থক্য ফুটে উঠেছে
একেএম শামসুদ্দিন
প্রকাশ: ০৬ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গাজায় ইসরাইলের একতরফা যুদ্ধের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টির বেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তারা গাজায় যুদ্ধবিরতি ও ইসরাইলকে সামরিক সহায়তা বন্ধের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিখ্যাত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তাঁবু টানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা। এরই মধ্যে শত শত শিক্ষার্থীকে আটক করা হলেও বিক্ষোভ দমন করা যায়নি। শিক্ষার্থীদের এ বিক্ষোভ এখন ইহুদিপন্থি শিক্ষার্থী ও পুলিশের সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ফিলিস্তিনিদের ন্যায্য অধিকারের পক্ষে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ইসরাইলপন্থিরাও হামলা চালাচ্ছে। লসঅ্যাঞ্জেলেসের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকদিন ধরে তাঁবু টানিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছিলেন ইসরাইলবিরোধী শিক্ষার্থীরা। ৩০ এপ্রিল রাতে হঠাৎ করেই ইসরাইলপন্থিরা লোহার পাইপ, লাঠিসোঁটা নিয়ে ফিলিস্তিনপন্থি বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তাঁবু ও প্ল্যাকার্ড ভাঙচুর করে। তাদের ওপর আতশবাজি, কাচের বোতল ও কাঁদানে গ্যাসের শেলও নিক্ষেপ করা হয়। হামলার পর দুপক্ষের শিক্ষার্থীরা হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে পুলিশ সেখানে হস্তক্ষেপ করলে ইসরাইলপন্থি আক্রমণকারীরা নিরাপদেই সেখান থেকে সরে যায়। সহিংসতার পর লসঅ্যাঞ্জেলেসে পুলিশ কর্তৃপক্ষ যথারীতি বলেছে, ‘‘ক্যাম্পাসে সহিংসতার একাধিক ঘটনার পর শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে এবং ‘জননিরাপত্তার’ স্বার্থে পুলিশ ডেকেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।”
ইসরাইলের গাজায় আক্রমণের পর গত পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গণহত্যার শিকার ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে প্রতিবাদ ও সমাবেশ করে আসছে। অনেকটা প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবিলা করে শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন চালিয়ে আসছেন। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা সমর্থনকারী শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, গাড়িচাপা দেওয়া হয়েছে, এমনকি তাদের ওপর ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ ছোড়াও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী চিহ্নিত করে বরখাস্ত ও গ্রেফতার করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এসব শিক্ষার্থী ইসরাইলের আগ্রাসন বন্ধ ও যুদ্ধবিরতির পক্ষে জনমত গড়ে তোলার জন্য আন্দোলন যাতে আরও বেগবান হয়, সেজন্য বিভিন্ন সূত্র থেকে সীমিত তহবিল সংগ্রহ করেছে। এ দফার বিক্ষোভ আন্দোলন সপ্তাহ দুয়েক আগে নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয়। ধীরে ধীরে এ বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্রের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। অবরুদ্ধ গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানসহ বিশ্বের বিভিন্ন শহরে এ বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এসব বিক্ষোভ থেকে অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলের বর্বর হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে ইসরাইল ও গাজা যুদ্ধে সমর্থন করে এমন সব কোম্পানির সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার দাবি করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলবিরোধী এ বিক্ষোভে কেবল সাধারণ শিক্ষার্থীরাই অংশগ্রহণ করছে না, অনেক ইহুদি শিক্ষার্থীও ফিলিস্তিনি পতাকা হাতে বিক্ষোভ-সমাবেশে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছেন।
শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনকে যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদিবাদী গোষ্ঠীর ভয় পাওয়ার কারণ আছে। পাঁচ দশক আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে যে আন্দোলন হয়েছিল, সে আন্দোলনের তীব্রতাই যুক্তরাষ্ট্রকে বাধ্য করেছিল পরাজয় মেনে নিয়ে ভিয়েতনাম ত্যাগ করতে। ভিয়েতনাম যুদ্ধে পরাজয়ের সেই স্মৃতি যেন আজও তাড়া করে বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়কে ঘিরে। সপ্তাহ দুয়েক আগে কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হওয়া শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের সঙ্গে কর্তৃপক্ষ যেন পঞ্চাশ বছর আগের ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সাদৃশ্য দেখতে পাচ্ছে। ১৯৬৮ সালে ভিয়েতনাম যুদ্ধের বিরোধিতা করে তখন কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর অধীন বার্নাড কলেজের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের পাঁচটি ভবন দখল করে নিয়েছিল। হ্যামিল্টন হল সেই ভবনগুলোর একটি ছিল। গাজায় ইসরাইলের একতরফা যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা সেই হ্যামিল্টন হল দখল করে নেয়। ১৯৮৫ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনেও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। কোয়ালিশন ফর আ ফ্রি আফ্রিকা (সিএফএস) নামক একটি সংগঠন ওই বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দেয়। ১৯৮৫ সালের ৪ এপ্রিল সিএফএস-এর কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের হ্যামিল্টন হলের মেইন গেট অবরোধ করে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ম্যানহাটনের রাজ্য সুপ্রিমকোর্টের একজন বিচারকের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভকারীরা মেইন গেট ছেড়ে দিয়ে হ্যামিল্টন হলের সিঁড়িসংলগ্ন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে। যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের এমন তীব্র বিক্ষোভের আরও অনেক উদাহরণ আছে। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার’ আন্দোলন অন্যতম। সর্বশেষ এ বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলনে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এভাবে ফুঁসে ওঠাকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির জন্য ভালো লক্ষণ হিসাবে দেখছেন না। শিক্ষার্থীদের এ চলমান বিক্ষোভ ইসরাইলের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের ভেতর প্রজন্মগত মতপার্থক্যকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। মার্কিন তরুণ প্রজন্ম যে ফিলিস্তিনিদের প্রতি আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি সহানুভূতিশীল, তারই সাক্ষ্য দিচ্ছে তারা। প্রবীণ ও তরুণ প্রজন্মের এ মতপার্থক্যকে দেশটির সর্বকালীন ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের জন্য হুমকি হিসাবে দেখা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এমন অনেক বড় আন্দোলন জনমতে বিরাট পরিবর্তন আনতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এমনকি শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন দেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে। বিভিন্ন সময়ে ন্যায়-অন্যায় বিচার না করে প্রবীণ প্রজন্মের ইসরাইলকে অন্ধভাবে সমর্থন করার বিষয়ে তরুণ প্রজন্মের ভেতর যথেষ্ট অসন্তোষ রয়েছে। ইসরাইলের যে কোনো অন্যায় কর্মকাণ্ডে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক নীতির দীর্ঘকালের এ অপরিবর্তনশীল অবস্থান মার্কিন তরুণ প্রজন্মের ভেতর ক্রমেই হতাশা বাড়িয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা, পরামর্শক পরিষদ থেকে শুরু করে হোয়াইট হাউজ ও ইসরাইলপন্থি সংগঠনগুলোর অভিযোগ, তাদের ভাষায়, তরুণ প্রজন্মের এ বিক্ষোভ-আন্দোলন ইহুদিবিদ্বেষকে উসকে দিচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভের বিরুদ্ধে ইহুদি ধনকুবেরা একজোট হয়েছেন। তারা দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী আন্দোলনকে সংক্রামক ব্যাধির মতো ঘৃণা ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ করে আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন। শিক্ষার্থীদের এ মারমুখী আন্দোলন ইহুদি গোষ্ঠীর ভেতর এক ধরনের আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। তারা এ আন্দোলনের ভেতর ইসরাইলের জন্য সর্বনাশের অশনিসংকেত দেখতে পাচ্ছেন। কাজেই বিক্ষোভ দমনে তারা সর্বমুখী প্রচেষ্টা শুরু করেছেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু থেকেই কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান দাতা ও ইহুদি বিলিয়নিয়ার রবার্ট ক্রাফট সব ধরনের সাহায্য বন্ধের হুমকি দিয়েছেন। পাশাপাশি কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী আরেক বিলিয়নিয়ার লিওন কুপারমেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহায্য প্রদান বন্ধ করে দিয়েছেন। পেনসিলভানিয়া ও হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ইহুদি দাতাও সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছেন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ইহুদি দাতা বিল একম্যান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের কেউ যাতে ভবিষ্যতে চাকরি না পান, সে ব্যবস্থা করার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে নামের তালিকা চেয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এ ইহুদিবাদী গোষ্ঠী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বক্তব্যকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। নেতানিয়াহু সম্প্রতি ফিলিস্তিনির পক্ষে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ইহুদিবিদ্বেষ বলে দাবি করেছেন। আন্দোলন দমনের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারের জন্যই নেতানিয়াহু ‘ইহুদিবিদ্বেষ’ ইস্যুটি সবার সামনে নিয়ে এসেছেন। এর ফলও তিনি সঙ্গে সঙ্গেই পেয়ে গেছেন। নেতানিয়াহুর এ বক্তব্য প্রকাশের পরপর যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের নিুকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে একটি বিলও পাশ করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইলের প্রভাব এতই প্রবল, এ বিল পাশের মধ্য দিয়ে তা আবারও প্রমাণিত হলো। বিলের পক্ষে-বিপক্ষের ভোট হিসাব করে দেখলেও ইসরাইলের প্রভাব সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। বিলটি পাশের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩২০ জন সদস্য। আর বিলটির বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৯১ জন। বিলটিতে বলা আছে, ইসরাইলকে আক্রমণ করে কিছু বলা ইহুদিবিদ্বেষ হিসাবে গণ্য করা হবে। সিনেটে পাশ হওয়ার পর বিলটি যদি আইনে পরিণত হয়, তাহলে এর মধ্য দিয়ে ইন্টারন্যাশনাল হলোকোস্ট রিমেমব্র্যান্স অ্যালায়েন্সের (আইএইচআরএ) দেওয়া ইহুদিবিদ্বেষের সংজ্ঞাকে বিধিবদ্ধ করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ইহুদিবিদ্বেষের সংজ্ঞাকে চলমান ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ দমনে ব্যবহার করা হতে পারে।
মারমুখী পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে ঢুকে শিক্ষার্থীদের তাঁবু সরিয়ে দিয়ে আন্দোলনকে এক ধরনের পণ্ড করে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মার্কিন সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের ইসরাইলবিরোধী আন্দোলন দমনে যতই চেষ্টা করুক, শিক্ষার্থীরা আবারও ফিরে আসবেন। এটাই শেষ নয়, তারা আবার ফিরে আসবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গাজায় গণহত্যা ও ইসরাইলকে মার্কিন সহায়তা বন্ধ করা হয়। কিছুদিন আগেও মার্কিন এ শিক্ষার্থীরা ইসরাইলের প্রতি অনেক সহানুভূতিশীল ছিলেন। কিন্তু চলমান ইসরাইলি বর্বরতা সর্বকালের রেকর্ড ভেঙে ফেলায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ধৈর্যের বাঁধও যেন ভেঙে পড়েছে। এখন থেকে পাঁচ দশক আগে ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধে যে বিক্ষোভে কাঁপন ধরিয়েছিল মার্কিন প্রশাসনে; এবারও একই ধরনের বিক্ষোভ সমগ্র যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। আগেই উল্লেখ করেছি, এ বিক্ষোভের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক ধরনের প্রজন্মগত পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। এ বিক্ষোভ যদি অব্যাহত থাকে এবং আরও তীব্র আকার ধারণ করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনাম যুদ্ধ বন্ধের মতো গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধের উদ্যোগ নিতেও পারে। সে ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইসরাইলের সম্পর্কের নতুন এক চিত্র হয়তো দেখতে পাব।
একেএম শামসুদ্দিন : অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা