Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

দেশপ্রেমের চশমা

উঠছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি

Icon

সম্পাদকীয়

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উঠছে মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি

বাংলাদেশে অপরাধ ও দুর্নীতির আশঙ্কাজনক বৃদ্ধি ঘটেছে। এসবের মধ্যে ঘুস, সন্ত্রাস, খুন, ধর্ষণ, অপহরণ, ছিনতাই, প্রতিহিংসা, পরশ্রীকাতরতা, নীতিহীনতা, দখলবাজি, ব্ল্যাকমেইলিং, সিন্ডিকেটবাজি, পারিবারিক কলহ-বিবাদসহ সব ধরনের অপরাধ বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে সাইবার অপরাধ। আর এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যৌন অপরাধ। স্মার্টফোনের সৌজন্যে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে যৌন অপরাধ ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রের হাতে রাম দা, অস্ত্র তো আছেই, সেই সঙ্গে শিক্ষকের পকেটেও পিস্তল রাখার এবং ছাত্রকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রীদের সঙ্গে যৌন অপরাধ করে শিক্ষক বরখাস্ত হচ্ছেন। দুর্নীতি বাড়ছে বর্ধিত জ্যামিতিক গতিতে। সরকারের পক্ষ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার নীতি ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘোষণা কাগুজে। বাস্তবে দুর্নীতি বৃদ্ধি পাওয়ার মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে, এমন শূন্য সহনশীলতার নীতি ঘোষণা অর্থহীন, লোক দেখানো ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। সমাজের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক দুর্নীতি। দুর্নীতি বৃদ্ধির হাজারো নমুনা থাকলেও প্রমাণিত দুর্নীতিবাজদের শাস্তির দৃষ্টান্ত বিরল। বিশেষ করে রাজনৈতিক দুর্নীতিকারীদের শাস্তি না হওয়ায় তারা অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এমন কোনো নির্বাচন নেই, যে নির্বাচনে দুর্নীতি হয়নি। জাতীয় নির্বাচনগুলো কেমন হয়েছে তা জাতি দেখেছে। এখন সুপ্রিমকোর্ট বারের নির্বাচনও স্বচ্ছভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। সেখানেও প্রতিপক্ষের মধ্যে হচ্ছে হাতাহাতি। অ্যাডভোকেটদের পুলিশ গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিচ্ছেন। নির্বাচনি দুর্নীতিবাজদের শাস্তি না হওয়ায় তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। রাতের বেলায় ভোট দেওয়ায় জড়িতদের একজনেরও কি শাস্তি হয়েছে? তাহলে এরা কেন আবার দলীয় সরকারাধীনে নির্বাচন হলে দুর্নীতিতে জড়িত হবেন না?

নিজে সিগারেট ফুঁকে সন্তানকে সিগারেট খেলে ফুসফুসের ক্ষতির কথা বলে ধূমপান থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিলে সন্তান সে উপদেশ মানবে না। একইভাব দুর্নীতি করে ক্ষমতায় এসে দুর্নীতিবিরোধী নীতি গ্রহণ করে তা কার্যকর করা সম্ভব না। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমনে দুদক প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করতে পারছে না। এ প্রতিষ্ঠানটি বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতি দমনে যতটা আগ্রহী, সরকারদলীয় নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ততটা মনোযোগী নয়। দুদকের কার্যক্রম জরিপ করে অনেকে মনে করেন, প্রতিষ্ঠানটি স্বাধীনভাবে কাজ না করে সরকারের অঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। এছাড়া বড় বড় রাঘববোয়ালের দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে দুদক কতটা আগ্রহী? দুর্নীতি দমনে অগ্রাধিকার নির্ণয়ের ব্যাপারেও দুদকের কাজের সমালোচনা করা যায়। বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সরকারের বিরাগভাজন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদকের যতটা আগ্রহ, শিক্ষাঙ্গনের দুর্নীতি দমনে প্রতিষ্ঠানটির কি ততটা আগ্রহ আছে? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসিদের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুদক কি কাজ করেছে? সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে প্রভাষক নিয়োগে যে অবৈধ আর্থিক লেনদেন হচ্ছে, তা কি দুদকের জানা নেই? এসব বিষয়ের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুদক কতজন সংশ্লিষ্টকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে? পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক নিয়োগের দুর্নীতি বিষয়ে টিআইবির গবেষণা ও সুপারিশ থাকলেও দুদকের অনুসন্ধান নেই কেন? টেন্ডারবাজি, দখলবাজি, ভর্তিবাণিজ্য ও মনোনয়ন বাণিজ্যসহ শিক্ষাঙ্গনের দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুদক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে কি? কজন ছাত্রনেতার ব্যাংক হিসাব খতিয়ে দেখেছে? শিক্ষাঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত করার বিষয়টি অগ্রধিকার পাওয়া উচিত। কারণ, যত সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা বিসিএস ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে কাজে যোগ দিচ্ছেন, তারা তো ক্যারিয়ার গড়তে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে তারপর চাকরি শুরু করছেন। কাজেই এসব শিক্ষার্থী যদি ক্যাম্পাসে থাকাকালীন দুর্নীতিচর্চার সঙ্গে পরিচিত হয়ে পড়েন, তাহলে বিরল ব্যতিক্রম বাদে তাদের প্রায় সবাই কর্মজীবন শুরু করার পর সেসব চর্চা অব্যাহত রাখবেন। সরকার বা দুদকের কি এসব জানা নেই?

রাজনৈতিক দুর্নীতি যে কী পরিমাণে বেড়েছে তা বোঝা যায় যখন সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর যারা আগে এমপি বা মন্ত্রী ছিলেন তারা মনোনয়ন ফরম জমা দেন। সেখানে দেখা যায়, একেকজন এমপি বা মন্ত্রীর পূর্ববর্তী সম্পদের পরিমাণ মাত্র ৫ বছর পর কত গুণ বেড়েছে। তাদের অনেকেই দেশে ও বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। অথচ এদের কি জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তারা এ বিপুল সম্পদ কীভাবে উপার্জন করেছেন? এ কাজ করতে গেলে পশম বাছতে কম্বল উজাড় হওয়ার অবস্থা হবে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অর্থ অবৈধভাবে লুটপাটকারীদের একজনকেও আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেওয়া সম্ভব হয়েছে কি? কেবল মুখে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করলে কীভাবে দুর্নীতি চর্চা কমবে? দুর্নীতি কমাতে হলে প্রথমে নিজেরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত হয়ে তারপর নাগরিক সমাজকে দুর্নীতি না করার উপদেশ দেওয়ার কাজ করতে হবে। স্বদলীয় নেতা-মন্ত্রীদের দুর্নীতি না দেখার ভান করে কেবল বিরোধীদলকে দুর্নীতিবাজ, ‘অগ্নিসন্ত্রাসী’ বলে দুর্নীতি কমানো যাবে না। পর পর বেশক’টি নির্বাচন দুর্নীতিমুক্ত ও গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে অপ্রতিরোধ্য গতিতে দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। সবশেষে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের নামে ভোটারবিহীন যে ডামি নির্বাচন হলো, সে নির্বাচনের পরও পরিবেশে কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটেনি। তবে এবার স্বদেশি রাজনৈতিক আন্দোলন ও বিদেশি পরাশক্তিধর গণতান্ত্রিক বিশ্বের দেশগুলোর অনুরোধ উপেক্ষা করে প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনী ব্যবহার করে ডামি নির্বাচন করে ক্ষমতাসীন হলেও অনেক চেষ্টা করেও ওই নির্বাচনকে সরকার গ্রহণযোগ্য করাতে পারেনি। জাতিসংঘ এবং পশ্চিমা গণতান্ত্রিক দেশগুলো ওই নির্বাচনকে স্বচ্ছ নির্বাচনের সনদ দেয়নি। তারা সম্প্রতি মধ্যবর্তী নির্বাচনের অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর অব্যাহতভাবে কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি করে চলেছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ স্বচ্ছ নির্বাচনের স্বীকৃতি দেয়নি। সম্প্রতি ইইউ এ নির্বাচনের ওপর যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতেও এ নির্বাচনের অগ্রহণযোগ্য চরিত্র প্রতিফলিত হয়েছে। গত মাসে একটি উচ্চপর্যায়ের মার্কিন টিম ঢাকা সফর করার সময় বিএনপি, সরকারপক্ষের লোকজন এবং সুশীল সমাজ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে। দলটি ফিরে যাওয়ার পর বিএনপি থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা না হলেও কোনো কোনো রাজনৈতিক নেতা বলেন, মার্কিনিরা সরকারকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে গেছেন। কূটনৈতিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি বিএনপি মহাসচিব, ক্ষমতাসীনদলীয় সাধারণ সম্পাদক এবং মার্কিন রাষ্ট্রদূত সিঙ্গাপুর সফর করেছেন। এরপর থেকে রাজনৈতিক অঙ্গনে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পূর্ববর্তী খবরটি চাউর হয়েছে। এ দাবির সঙ্গে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীর তত্ত্বাবধানে এ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরামর্শের আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কারণ, দলীয় সরকারাধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন হলে প্রশাসন ও পোশাকধারী বাহিনী ব্যবহার করে সরকারি দলের বিজয় নিশ্চিত করতে ক্ষমতাসীনদের বেগ পেতে হবে না। ফলে দলীয় সরকারাধীনে মধ্যবর্তী নির্বাচন করলে কেবল অর্থের অপচয় হবে। সরকারের ওপর অর্থপূর্ণ মধ্যবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের চাপ আছে বলেই সেতুমন্ত্রী ও সরকারি দলের সাধারণ সম্পাদক ক্ষমতাসীন দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১০ মার্চ এক সংবাদ সম্মেলনে মধ্যবর্তী নির্বাচনকে মামা বাড়ির আবদার বলে মন্তব্য করেছেন।

জনাব কাদের সম্প্রতি একতরফাভাবে অনুষ্ঠিত কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ ২৩১টি স্থানীয় সরকার নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এ নির্বাচনে আবার প্রমাণিত শেখ হাসিনার হাতেই এ দেশের গণতন্ত্র নিরাপদ। এমন অবাধ নির্বাচনের পরও নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিপক্ষে কথা বলার কোনো যৌক্তিকতা থাকে না’ (মানবজমিন, ১০ মার্চ ২০২৪)। তবে জনাব কাদেরের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের উদাহরণ দিয়ে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার দুঃখ ও ক্ষোভমোচন করা সম্ভব না। গণতন্ত্র যে এ সরকারের হাতে নিরাপদ, সে কথা যুগপৎ এ দেশের নাগরিক সমাজ এবং পশ্চিমা বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলোকে বিশ্বাস করানো কঠিন হবে। এ সরকারের অধীনে যদি গণতন্ত্রের উন্নয়ন হতো, তাহলে সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ভ্যারাইটিজ অব ডেমোক্রেসির (ভি-ডেম) ৭ মার্চ প্রকাশিত গণতন্ত্র প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অবনমন ঘটত না। উল্লেখ্য, এ প্রতিবেদন অনুযায়ী লিবারেল ডেমোক্রেসি ইনডেক্স, ইলেক্টোরাল ডেমোক্রেসি ইনডেক্স, লিবারেল কম্পোনেন্ট ইনডেক্স এবং ইগলিটারিয়ান কম্পোনেন্ট ইনডেক্সে বাংলাদেশের অবস্থানের অবনতি হয়েছে। যে দেশে পরপর তিনটি সংসদ নির্বাচনে ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি, সেদেশ কীভাবে গণতান্ত্রিক সূচকে এগোবে? জনাব কাদের স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলুন আর যাই বলুন, বাস্তবে দেশ কতটা গণতান্ত্রিকভাবে চলছে, তা এ দেশের জনগণ খুব ভালোই জানেন। তাদের চোখে ধুলা দিয়ে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলে জনাব কাদেরের শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা সফল হবে না।

অপরাধ, সামাজিক অস্থিরতা ও দুর্নীতি কমিয়ে দেশকে গণতন্ত্রচর্চার হাইওয়েতে ওঠাতে হলে প্রকৃত নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকারকে রাষ্ট্র পরিচালনায় আসতে হবে। এ ক্ষেত্রে ওই নির্বাচনে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মৌল নীতিমালার (ব্যাসিক নর্মস) প্রয়োগ থাকতে হবে। ইঞ্জিনিয়ারিং করে ‘আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো’ বলে পশ্চিমা গণতান্ত্রিক বিশ্ব, জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক ও বিবেকবান জনগণের চোখে ধুলা দিয়ে পার পাওয়ার সুযোগ নেই। এ কারণেই দেশপ্রেমিক নাগরিকরা মধ্যবর্তী নির্বাচনের আওয়াজ শুনে হতাশার মধ্যে আশার আলো দেখছেন। তবে এমন নির্বাচনের সুফল পেতে হলে অবশ্যই এ নির্বাচন একটি নির্দলীয় তৃতীয় পক্ষের অধীনে অনুষ্ঠিত হতে হবে। মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি মেনে নিয়ে একটি জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে যেমন অপরাধ-দুর্নীতি কমবে, তেমন দেশটি গণতন্ত্র সূচকেও নিজের অবস্থান ক্রমান্বয়ে সম্মানজনক অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে। নির্দলীয় সরকারাধীনে অনুষ্ঠিত মধ্যবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকার যে দলেরই হোক না কেন, ওই সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্বে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে হতাশাগ্রস্ত নাগরিক সমাজকে আশার আলো দেখাতে পারবে।

ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : সাবেক সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

akhtermy@gmail.com

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম