Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

অন্য প্রতিষ্ঠান বাড়ছে, পাঠাগার বাড়ছে না কেন?

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

অন্য প্রতিষ্ঠান বাড়ছে, পাঠাগার বাড়ছে না কেন?

রবীন্দ্রনাথ তার লাইব্রেরি প্রবন্ধে লিখেছিলেন, ‘মহাসমুদ্রের শত বৎসরের কল্লোল কেউ যদি এমন করিয়া বাঁধিয়া রাখিতে পারিত যে, সে ঘুমাইয়া পড়া শিশুটির মতো চুপ করিয়া থাকিত, তবে সেই নীরব মহাশব্দের সহিত এই পাঠাগারের তুলনা হইত। এখানে ভাষা চুপ করিয়া আছে, প্রবাহ স্থির হইয়া আছে। মানবাত্মার অমর আলোক কাল অক্ষরের শৃঙ্খলে কাগজের কারাগারে বাঁধা পড়িয়া আছে।’ রবীন্দ্রনাথের এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়, একটি গ্রন্থাগার আমাদের সামাজিক জীবনে কত গুরুত্বপূর্ণ। পাঠাগারের মূল সম্পদ বই। সভ্যতার চাকা এগিয়ে নিতে বইয়ের ভূমিকা অন্য কোনো কিছুর সঙ্গে তুলনা করা যায় না। বই চরিত্র গঠনে সহায়তা করে। সৎ গুণাবলি চর্চার ক্ষেত্রেও বইয়ের ভূমিকা অপরিসীম। বইয়ের সঙ্গে ব্যক্তি ও সমাজের সম্পর্ক অবিচ্ছেদ্য। একটি সমাজের কাঠামো বদলে দিতে পারে একটি সমৃদ্ধ পাঠাগার।

আমরা মরণপণ লড়াই করে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু একটি স্বাধীন দেশের পাটাতনকে মজবুত করে এমন সব কাজে আমাদের মনোযোগ নেই বললেই চলে। এর ফলে দেখা দেয় বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা। পাঠাগার একটি স্বাধীন দেশের পাটাতনকে মজবুত করার শক্তিশালী হাতিয়ার। যুগে যুগে বই মানবসভ্যতার অগ্রগতি নিশ্চিত করতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে।

কার্ল মার্কস যদি ক্যাপিট্যাল গ্রন্থটি না লিখতেন, তাহলে পৃথিবীতে সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্ম হতো না। এ কথা সত্য যে, মার্কসের লেখার আগেও সমাজতন্ত্র নিয়ে চিন্তা-চর্চা ছিল। তবে ওইসব চিন্তা-চর্চার মধ্যে যুক্তির বিন্যাস দুর্বল হওয়ার ফলে সেগুলো সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনে নির্ধারক ভূমিকা পালন করতে পারেনি। সমাজতন্ত্র সেই সময় ছিল একটি ইউটোপিয়ান ধারণা। এমন পরিস্থিতিতে কার্ল মার্কস ক্যাপিট্যাল ও অন্যান্য মূল্যবান গ্রন্থের মাধ্যমে দেখিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে সভ্যতার গতিপথ বদলে দেওয়া যায়। এ কারণে মার্কসের চিন্তাভাবনায় বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের মৌল কাঠামো নির্মাণ করা সম্ভব হয়। মার্কস সমাজতন্ত্র সম্পর্কে তেমন কিছু আলোচনা করেননি। তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন, কীভাবে শ্রেণিবিভক্ত সমাজ শ্রেণিদ্বন্দ্বের মধ্যে দিয়ে পরিবর্তিত সমাজব্যবস্থায় পরিণত হয়। ডারউইনের ‘দি অরিজিন অব স্পিসিস’ গ্রন্থটি একটি ভিন্ন ধরনের চিন্তা ও গবেষণার ফসল। মানব সৃষ্টির বিবর্তন সম্পর্কে আলোকপাত রয়েছে গ্রন্থটিতে। এ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বিষয়ের সঙ্গে অনেকেই একমত নন। তারপরও বলা যায়, এ গ্রন্থটি মানুষের চিন্তার জগৎকে বিশালভাবে ঝাঁকুনি দিয়েছে। অ্যাডাম স্মিথের ‘দি ওয়েলথ অব নেশনস’ গ্রন্থটি পুঁজিবাদী সমাজকে সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করেছে। অ্যাডাম স্মিথ বাজারের অদৃশ্যমান হাত নিয়ে তার বিশ্লেষণ দাঁড় করিয়েছিলেন। তবে তিনি রাষ্ট্রের দৃশ্যমান হাতকেও অবজ্ঞা করেননি। তিনি খুব সংগত কারণেই বলেছিলেন, অর্থনীতির কিছু কর্মকাণ্ড আছে, যেগুলো রাষ্ট্রের পক্ষেই কার্যকর করা সম্ভব। অন্যদিকে বাজারের শক্তি অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য অলঙ্ঘনীয় বাস্তবতা।

সমাজ সংস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ঐশী গ্রন্থগুলোও বিশাল ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে কুরআন ও বাইবেলের ভূমিকা অস্বীকার করার উপায় নেই। অন্যান্য ধর্মগ্রন্থও অনুসারীদের চিন্তার স্রোতকে নির্দিষ্ট গতিপথে চলতে ভূমিকা রেখেছে। এভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করলে আমরা বুঝতে পারব, কী করে একটি কালজয়ী গ্রন্থ মানবসভ্যতাকে অবয়ব প্রদান করে। জাতীয় অগ্রগতির একটি বড় নিয়ামক হলো বই বা গ্রন্থ। নাগরিকদের পাঠাভ্যাস থেকে আমরা বুঝতে পারি, একটি জাতি কতটা অগ্রসর।

একটি সমজাতীয় দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশে সংঘর্ষের রাজনীতি দেশকে ভয়াবহভাবে বিভক্ত করে ফেলেছে। গবেষণা করলে জানা যেত কীভাবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ ইতিবাচক সামাজিক উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করেছে। এরকম পরিস্থিতিতে আমরা লক্ষ করি, সৃষ্টিশীল ও কল্যাণকামী জনগণ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। প্রচণ্ড রাজনৈতিক বিভাজনের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষের চেষ্টার ফসল হিসাবে যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, সেগুলো দেখে বিস্মিত হতে হয়। এরকম উদ্যোগ পাঠাগার গড়ার ক্ষেত্রেও আমরা লক্ষ করি। কিছু উদ্যমী তরুণ ২০০৮ সালের ২৮ এপ্রিল পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদবা ইউনিয়নের ষড়াবাড়িয়া বাজারের উপকণ্ঠে মিয়াপাড়া গ্রামে প্রতিষ্ঠা করে পল্লী পাঠাগার। অনানুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় তারও আগে। এক ঝাঁক তরুণ ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে পল্লী পাঠাগারকে এগিয়ে নিয়ে যায়। কিছু আলোকিত মানুষ এবং এলাকার সর্বস্তরের মানুষের অকুণ্ঠ সমর্থন ও সহযোগিতায় পল্লী পাঠাগারটি তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পল্লী পাঠাগারের ভিত মজবুত করতে এগিয়ে আসেন। তিনি তার একটি আধাপাকা ঘর পল্লী পাঠাগারের জন্য ছেড়ে দেন। এরপর ২০০৯ সালে পাঠাগারের নামে মিয়াপাড়ায় মৌজায় তিন শতাংশ জমি দান করেন। ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল পাবনা সমাজসেবা অধিদপ্তর পাঠাগারটির নিবন্ধন প্রদান করে। সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান হিসাবে প্রতিষ্ঠার পর তিনটি মূলনীতির ওপর ভিত্তি করে পাঠাগারটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এগুলো হলো যথাক্রমে শিক্ষা, সংস্কৃতি ও প্রগতি।

পল্লী পাঠাগারটি বর্তমানে নিজস্ব কার্যালয়ে তার সব কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। পল্লী পাঠাগারে সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার। পাঠাগারে প্রতিদিন গড়ে ২০-২৫ জন পাঠক আসেন। পাঠাগারটির নিবন্ধিত পাঠকের সংখ্যা প্রায় ৪০০ (সূত্র : শিক্ষালোক, অক্টোবর-ডিসেম্বর ২০২৩, দশম বর্ষ, চতুর্থ সংখ্যা)।

পল্লী পাঠাগারটিকে কেন্দ্র করে কিছু বিশেষ কার্যক্রম চালানো হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে বৃক্ষরোপণ ও রক্তদান কর্মসূচি। এ বছর পল্লী পাঠাগার প্রায় তিন হাজার তালের বীজ রাস্তার দুপাশে রোপণ করেছে। বাংলাদেশের জন্য তালগাছ একটি প্রয়োজনীয় বৃক্ষ। ফলদানসহ কিছুক্ষেত্রে তালগাছের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রচুর বজ্রপাত হচ্ছে। বজ্রপাতে অনেক মানুষের মৃত্যু ঘটছে। বলা হয়, তালগাছ থাকলে এভাবে বজ্রপাতে মানুষের মৃত্যু হতো না। তালগাছ বজ্রপাতের সময় এর বিদ্যুৎকে শুষে নেয়। একটি তালগাছ পরিণত বয়সে পৌঁছাতে অনেক সময় নেয়। তাই তালবীজ রোপণ করে তাৎক্ষণিকভাবে উপকার আশা করা যায় না। তবে এটি যে একটি ভালো বিনিয়োগ, তা অস্বীকার করা যাবে না। পরিণত তালগাছের গোড়ার দিকের অংশ দিয়ে নদীপথে চলার জন্য ‘কোন্দা’ তৈরি করা হয়। কাঁচা তাল ফল তার সুমিষ্ট শ্বাসের জন্য বিখ্যাত। পাকাতালের রসে পিঠাপুলি তৈরি হয়। তালগাছের কাণ্ড কেটে তা ঘরবাড়ি তৈরির কাজে ব্যবহার করা হয়। এসব বিবেচনায় পল্লী পাঠাগারের এসব সহযোগী উদ্যোগ এলাকার লোকজনের জীবনযাত্রাকে সহজসাধ্য করে তুলেছে।

গ্রামের অধিকাংশ মানুষের শিক্ষা নেই। তাদের জীবনযাত্রার মানও নিুপর্যায়ের। তারা অবসর সময়ে বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে চায়ের দোকানে আড্ডা দেয় বা টিভি দেখে। এসব শিক্ষার আলোবঞ্চিত গ্রামবাসীর পক্ষে পাঠাগারে বই পড়া সম্ভব হয় না। তবে তাদের সন্তানসন্ততিদের অনেকেই স্কুলে যায় এবং পড়তে পারে। তারা পল্লী পাঠাগারের বই পড়ে জ্ঞানের দিক থেকে সমৃদ্ধ হচ্ছে। এর ফলে তারা নিজ পরিবারে উন্নত ধ্যানধারণা যোগ করতে পারে। নিরক্ষর হলেও পাঠাগারপড়ুয়া শিক্ষার্থীরা তাদের নিরক্ষর পিতামাতা ও অন্যান্য আত্মীয়স্বজনকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে নিয়ে আসতে সক্ষম হচ্ছে। এ কথা সত্য যে, একটি ভালো পাঠাগার তৈরি করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন। পাঠাগার থেকে উল্লেখ করার মতো আর্থিক লাভ হয় না। কিন্তু একটি পাঠাগার তার সদস্যদের মধ্যে যে আলো ছড়িয়ে দেয়, সে আলো সমাজের অন্ধকারাচ্ছন্ন দিকগুলো বদলে দেয়। এভাবে একটি পাঠাগার বলতে গেলে অসাধ্য সাধন করে।

ইন্টারনেটের এই যুগে অনেক কিশোর-তরুণ ইন্টারনেটে নিমগ্ন হয়ে ক্ষতিকর জিনিসগুলোয় মত্ত হয়ে ওঠে। কিশোর-তরুণরা যাতে বিপথগামী না হয়, তা নিশ্চিত করতে পাঠাগারের ভূমিকা অনন্য। এছাড়া মাদকাসক্তি সামাজিক বন্ধন ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণকে অকার্যকর করে তুলেছে। এরকম পরিস্থিতিতে পাঠাগারের ভূমিকা অতুলনীয়। পাঠাভ্যাসের মাধ্যমে খারাপ নেশা থেকে শিশু ও তরুণদের বের করে এনে উন্নত মনের মানুষে পরিণত করা সম্ভব। সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দাদের জন্য। মাদকাসক্তির মতো সামাজিক অপরাধ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। জাতির নবীন সদস্যদের মধ্যে পাঠাভ্যাস গড়ে তুলে তাদের সৎ চিন্তা ও ধ্যানে ধাবিত করা সম্ভব। এর ফলে হয়তো মাদকাসক্তির মতো বিপজ্জনক প্রবণতাকে ষোলো আনা উচ্ছেদ করা সম্ভব নয়। তবে পাঠাভ্যাস এক্ষেত্রে অন্য অনেক ব্যবস্থার তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর। এভাবে বিচার-বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, পাঠাগার একটি জাতির জীবনে গঠনমূলক কর্মকাণ্ডে উৎসাহ জোগাচ্ছে।

বাংলাদেশে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় সরকারি গ্রন্থাগার পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। বাজেটে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ খুবই নগণ্য। একটি গ্রন্থাগার সমৃদ্ধ হয় বছর বছর নতুন নতুন গ্রন্থ সংযোজনের মাধ্যমে। এর জন্যও অর্থের প্রয়োজন। নিশ্চিন্তে বলতে পারি, এই খাতে অর্থ ব্যয় কোনোক্রমেই অপচয় বলে বিবেচিত হবে না। দেশের প্রায় সব জেলায় সরকারি পাঠাগার রয়েছে। কিন্তু এগুলোর শ্রীবৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগের নিদারুণ ঘাটতি রয়েছে। এদেশে ব্যক্তিপূজার জন্য যে অর্থ ব্যয় হয়, তার ৫০ শতাংশ যদি পাঠাগার গড়ে তোলার কাজে ব্যবহৃত হতো, তাহলে আমরা দেখতাম সমাজ ইতিবাচক পথে এগোচ্ছে। ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এদেশে বিভিন্ন স্তরের প্রশাসনিক কেন্দ্রে গ্রন্থাগার বা লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয়, এই গ্রন্থাগারগুলো পুরোদমে চলতে পারছে না। রাষ্ট্রীয় অবহেলা এর অন্যতম কারণ। ভালো কাজকে অবহেলা করার মন্দ সংস্কৃতি থেকে আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। গ্রন্থাগারিক ও অন্যান্য সহায়ক জনবল দিয়ে অবহেলিত গ্রন্থাগারগুলোকে শক্তিশালীভাবে পুনর্গঠন করতে হবে। যেসব গ্রন্থাগার ব্রিটিশ শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, সেগুলোয় অনেক মূল্যবান পুরোনো গ্রন্থ রয়েছে। এসব গ্রন্থ এখন আর মুদ্রিত হচ্ছে না। পুরোনো এ বইগুলোকে জ্ঞানের আকর বললে ভুল হবে না। অথচ এ বইগুলো অযত্ন-অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে। এগুলোকে রক্ষা করা ও ব্যবহার-উপযোগী রাখার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। বর্তমানে যে প্রযুক্তি বিদ্যমান, তা ব্যবহার করে বিলুপ্তপ্রায় গ্রন্থগুলোকে রক্ষা করা সম্ভব।

আমরা দেখেছি, অজপাড়াগাঁয়ে সামাজিক উদ্যোগে পাবনা জেলার গণ্ডগ্রামে একটি পাঠাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এই পাঠাগারটি বেশ জীবন্ত। সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে প্রতিটি উপজেলায় ভালো গ্রন্থাগার গড়ে তোলা সম্ভব। সৃজনশীল ও জ্ঞানী নাগরিকদের সহায়তায় পুরো দেশটাকে পাঠাগার দিয়ে সজ্জিত করা সম্ভব। এতে আমাদের দেশটি ভিন্ন এক চেহারা পাবে। দেশের এ চেহারা দেখার জন্য অনেকেই উদগ্রীব বলে আমার বিশ্বাস।

ড. মাহবুব উল্লাহ্ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম