Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

মানবমুক্তির এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়

Icon

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মানবমুক্তির এক অবিস্মরণীয় অধ্যায়

এটি সর্বজনবিদিত যে, ভাষা-সংস্কৃতি-কৃষ্টি-ঐতিহ্যকেন্দ্রিক বাঙালি জাতীয়তাবাদের ভিত্তি রচিত হয়েছিল দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পটভূমিতে। মহাকালের মহানায়ক, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অধিকার আদায়ের সব আন্দোলন-সংগ্রামের লক্ষ্য ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠা।

সব ধরনের চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নির্ভীক, দৃঢ়চেতা, সৎ ও সুদূরপ্রসারী নেতৃত্ব বাঙালিকে ঐক্যবদ্ধ হতে শক্তি ও সাহস জুগিয়েছিল। ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ-নিপীড়ন-নিষ্পেষণ কালক্রমে বাঙালি জাতিকে করেছে নির্বিশঙ্ক। তারা ত্যাগের ভয়কে করেছে জয় এবং শত্রুকে পরাজিত করে এগিয়ে নিয়ে গেছে স্বাধীনতার শিখা অনির্বাণ। দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, স্বাধীন মাতৃভূমি ছাড়া বাঙালির আর্থ-সামাজিক মুক্তি কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে তৎকালীন ভারতবর্ষ বিভক্ত হয়ে পাকিস্তান নামের একটি অসম রাষ্ট্রের সৃষ্টিলগ্ন থেকেই এর শাসকগোষ্ঠী বাঙালি জাতির ওপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালাতে থাকে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতিকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যান।

বায়ান্নর রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, চুয়ান্নর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে জয়লাভ, ছাপ্পান্ন সালে সংবিধান প্রণয়নের আন্দোলন, আটান্নর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, বাষট্টির শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ছেষট্টির বাঙালির মুক্তির সনদ ৬-দফা, উনসত্তরের রক্তঝরা গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন ইত্যাদি ঘটনা জাতিকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের দিকে ধাবিত করেছিল।

এর আগে ১৯৬৯ সালের ৫ ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু পূর্ব পাকিস্তানের পরিবর্তে এ অঞ্চলের নামকরণ করেন ‘বাংলাদেশ’।

১৯৬৯ সালের ৫ জানুয়ারি গঠিত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ উত্থাপিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার এবং বঙ্গবন্ধুর মুক্তির দাবিকে কেন্দ্র করে সর্বস্তরের জনতার বিক্ষোভ গণআন্দোলনে রূপ নেয়। ফলস্বরূপ বঙ্গবন্ধুর মুক্তি এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি রেসকোর্স ময়দানে প্রায় ১০ লাখ ছাত্র-জনতা তাদের প্রাণপ্রিয় বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবকে সংবর্ধিত করেন এবং তাকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন। ১৯৭১ সালের ৩ জানুয়ারি রেসকোর্সের জনসভায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সব নির্বাচিত সদস্যের ছয় দফার ভিত্তিতে শাসনতন্ত্র রচনা এবং জনগণের প্রতি আনুগত্য থাকার শপথ অনুষ্ঠান পরিচালিত হয়।

বাংলাদেশের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের পথপরিক্রমায় ১৯৭১ সালের মার্চ মাস ছিল উত্তাল ঘটনাপঞ্জিতে পরিপূর্ণ। ১৯৭০ সালের ৭ ও ১৭ ডিসেম্বর যথাক্রমে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের উভয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একক ও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলস্বরূপ ১৯৭১ সালের ৩ মার্চ পাকিস্তানের সামরিক প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন।

কিন্তু নেপথ্যে চলছিল পশ্চিম পাকিস্তানের সামরিক-বেসামরিক শাসকচক্র এবং ভুট্টোর দলের নানা কূটকৌশল। এরই অংশ হিসাবে ১ মার্চ পাকিস্তানের তৎকালীন সামরিক স্বৈরশাসক জাতীয় পরিষদের অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করে। গভীর রাতে সামরিক আইন পরিচালক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে পাকিস্তানের সংহতি বা সার্বভৌমত্বের পরিপন্থি খবর-মতামত-চিত্র প্রকাশের বিষয়ে সংবাদপত্রগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ১১০নং সামরিক আইন জারি করে।

অধিবেশন বন্ধের আকস্মিক ঘোষণায় বাংলার সর্বস্তরের জনতা প্রচণ্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। বিক্ষুব্ধ বাঙালি এর প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ১ মার্চ থেকে সারা দেশে ব্যাপক অসহযোগ আন্দোলনে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে থাকে এবং উত্তাল মিছিল-স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করে তোলে।

বাঙালি জাতির পুঞ্জীভূত ক্ষোভ ধারণ করে সংবাদ সম্মেলনে জনগণের মুক্তির ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘এটি পাকিস্তানি শাসকদের স্বৈরাচারী মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। আমরা বাঙালিরা ঘৃণাভরে এ ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করলাম এবং ২ মার্চ ঢাকা ও ৩ মার্চ সারা দেশব্যাপী বাংলার সাধারণ মানুষ হরতাল পালন করবে। পরবর্তী দিকনির্দেশনার জন্য আপনারা ৭ মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।’

২ মার্চ হরতাল, মিছিল ও কারফিউর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসংগ্রাম পরিষদের ছাত্র সমাবেশে স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। একই দিন বঙ্গবন্ধু সন্ধ্যায় প্রেস কনফারেন্সে বারবার ‘বাংলাদেশ’ শব্দটি উচ্চারণ করেন। হরতাল চলাকালীন সামরিক জান্তার হিংস্র বাহিনীর গুলিতে তেজগাঁও পলিটেকনিক স্কুলের ছাত্র আজিজ মোর্শেদ ও মামুনসহ ৫০ জনের মতো গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন।

সামরিক আইন প্রশাসক পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কারফিউ জারি করে। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু নিরস্ত্র জনগণের ওপর গুলিবর্ষণের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন এবং পরদিন ৩ থেকে ৬ মার্চ পর্যন্ত সারা দেশে অর্ধদিবস হরতালের ডাক দেন।

৩ মার্চ পল্টনে ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগের সভায় প্রধান অতিথির ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আমি থাকি আর না থাকি, বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন যেন থেমে না থাকে। বাঙালির রক্ত যেন বৃথা না যায়। আমি না থাকলে আমার সহকর্মীরা নেতৃত্ব দেবেন। যে কোনো মূল্যে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে-অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’ ওইদিন রাতে বঙ্গবন্ধু তার ঘোষণায় বলেন, ‘২৩ বছর ধরে রক্ত দিয়ে আসছি। প্রয়োজনে আবার বুকের রক্ত দেব। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়ে বীর শহিদদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করব না।’

৪ মার্চ ১৯৭১ গণবিক্ষোভে একদফার দাবি অর্থাৎ স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় সামরিক জান্তার সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে আসেন। ওইদিন খুলনায় বাঙালি ও অবাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং লাগাতার হরতালে কার্যত ঢাকাসহ সারা দেশ অচল হয়ে পড়ে। বাঙালি জাতির ইতিহাসে প্রথমবারের জন্য স্বাধীনতার স্লোগান উচ্চারিত হয়-‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন এবং গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

৭ মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে ১০ লক্ষাধিক বাঙালির সম্মুখে দেওয়া ভাষণে ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ কথাটির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু প্রকৃত অর্থেই বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়ে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। এটি কালপরিক্রমায় খ্যাতিমান রাজনীতিক, গবেষক, বুদ্ধিজীবীসহ সব মহলে কালজয়ী, যুগান্তকারী ও বিশ্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসাবে সমাদৃত এবং সর্বোপরি বিশ্বসভায় ঐতিহ্যের দলিল হিসাবে গৃহীত হয়।

১৯৭১ সালের ৯ মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় ‘স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’র স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা অনুমোদন করা হয়। ১০ মার্চ বঙ্গবন্ধু কর্নেল ওসমানীকে মুক্তিবাহিনী সংগঠনের নির্দেশ দেন। ১৪ মার্চ ১৯৭১, ধর্ম-বর্ণ-দলমত নির্বিশেষে সমগ্র বাঙালি জাতির প্রাণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের শাসনভার গ্রহণ করেন এবং দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, ‘এই শাসনভার স্বহস্তে গ্রহণ করার অর্থ বাংলাদেশের স্বাধীনতা। জনগণ যেন তা রক্ষার জন্য প্রস্তুত থাকে।’

বঙ্গবন্ধু মুক্ত-স্বাধীন নাগরিক হিসাবে আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদার সঙ্গে অনাগত প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকল্পে মরণপণ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর হয়ে বাঙালিকে যে কোনো অপশক্তির মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আবেদন জানান।

পাকিস্তানি সামরিক শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্রক্ষমতা কুক্ষিগত করতে ২৫ মার্চ কালরাতে বিশ্ব ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা শুরু করে। মেতে ওঠে লাখ লাখ বাঙালির প্রাণসংহারে। সে রাতেই পাকিস্তানি জান্তার হাতে গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু এক বার্তায় পুরো বিশ্বকে অবহিত করেন, ‘This may be my last message. From today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.' (Pranab Mukherjee, 2015).

১০ এপ্রিল ১৯৭১, বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তাকে রাষ্ট্রপতি করে বাংলাদেশের প্রথম সরকার ঘোষিত হয় এবং এ সরকার কুষ্টিয়ার মেহেরপুর, বৈদ্যনাথতলায় ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করে। শহিদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

তাদের নেতৃত্বে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর প্রায় ৯১ হাজার সদস্যের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করে। নিঃসন্দেহে ও দৃঢ়তার সঙ্গে বলা যায়, বঙ্গবন্ধু যে গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, শোষণমুক্ত, মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের জন্য বাঙালিকে প্রস্তুত করেছিলেন, এই দিনেই তা পরিপূর্ণতা লাভ করে।

মুক্তির মহানায়ক জাতির পিতার নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধিকার ও স্বাধীনতার দীর্ঘ সংগ্রাম বঙ্গবন্ধুর ভাষায়-‘অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা, অত্যাচার, নিপীড়ন-নির্যাতন, গণমানুষের রক্তক্ষরণ ও মুমূর্ষ নরনারীর আর্তনাদের করুণ ইতিহাস।’ অহর্নিশ ত্যাগঋদ্ধ বঙ্গবন্ধুর জীবনগাথা। ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর বিশ্বশান্তি পরিষদ বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বনেতার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ অর্পণ করে।

চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে প্রাপ্ত এ বিরল সম্মান বঙ্গবন্ধুর আগে অর্জন করেছিলেন কিউবার ফিদেল কাস্ট্রো, চিলির সালভাদর আলেন্দে, ফিলিস্তিনের ইয়াসির আরাফাত, ভিয়েতনামের হো চি মিন, দক্ষিণ আফ্রিকার নেলসেন ম্যান্ডেলা, ভারতের মুলকরাজ আনন্দ ও শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় আয়োজিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণে বিশ্বশান্তি পরিষদের মহাসচিব শ্রী রমেশচন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বশান্তি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নির্ভীক কাণ্ডারি এবং বিশ্বের সব নির্যাতিত, নিপীড়িত ও শোষণ-বঞ্চনার শিকারে বিপন্ন জনগণের অধিকার আদায়ে তৎকালীন সময়ের জীবন্ত কিংবদন্তি বঙ্গবন্ধুকে ‘বিশ্ববন্ধু’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

স্বল্প পরিসরে এতটুকুই বলা যায় : বঙ্গবন্ধুর জীবনচরিত, সামাজিক ও রাজনৈতিক দর্শন এবং মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অবিনাশী উদ্যোগ বিশ্ব ইতিহাসের এক বিস্ময়কর অধ্যায়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধ বিশ্বের সব মুক্তিকামী মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম