Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

কেন এই নিবর্তনমূলক আইন?

Icon

সাকিব আনোয়ার

প্রকাশ: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

কেন এই নিবর্তনমূলক আইন?

রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে বাংলাদেশ এক সংকটকাল অতিক্রম করছে। দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্ব এসব প্রশ্নে সরকারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। আইসিটি অ্যাক্ট, পরবর্তীকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিপীড়নমূলক আইন দ্বারা সরকার গণমাধ্যম এবং বিরোধী সামাজিক-রাজনৈতিক শক্তির কণ্ঠরোধ করছে বলে দেড় দশক ধরে অভিযোগ করে আসছে বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাপে এ বিতর্কিত আইন সংশোধনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু আগের আইনের বিতর্কিত ধারাগুলো এবং বিনা পরোয়ানায় গ্রেফতারের বিধান রেখে নাম পরিবর্তন করে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট প্রবর্তন করতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল পাশ করেছে সরকার। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক লেখক মোশতাকের কারাগারে মৃত্যু হয়েছে। এ আইনে এখনো কারাগারে আছেন খাদিজাতুল কোবরার মতো অসংখ্য ভুক্তভোগী। এর পাশাপাশি উপাত্ত সুরক্ষা আইন দ্বারা জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়াসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সরকারের বিরুদ্ধে।

গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে শুরু হয়েছে ‘বিচারিক হয়রানি’। ড মুহাম্মদ ইউনূস থেকে শুরু করে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতারা, মানবাধিকার কর্মী, এমনকি লেখক-সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চলমান নিপীড়নমূলক মামলাগুলো অবিশ্বাস্যরকম দ্রুতগতিতে নিষ্পত্তি করে সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মানবাধিকার কর্মীদের ওপর নিপীড়ন তথা স্বাধীন মতপ্রকাশের ওপর বাধার সর্বশেষ উদাহরণ অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান শুভ্র এবং পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টের মামলায় দুই বছরের সাজা এবং অর্থদণ্ড দেওয়ার ঘটনা।

মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগের মামলায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসির উদ্দিন এলানের ২ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন ট্রাইব্যুনাল। আদিলুর রহমান খান, মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের পক্ষে ২০১৭ সালে মানবাধিকার এবং আইনের শাসনের জন্য ফ্রাঙ্কো-জার্মান পুরস্কার পেয়েছেন। অথচ নিজের দেশে মানবাধিকার এবং গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলা এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের অপরাধে তাকে কারাভোগ করতে হচ্ছে। আদিলুর-এলানের মামলার বিষয়ে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের প্রধান উদ্বেগ জানিয়েছিলেন এবং বলেছিলেন, এ রায় জাতিসংঘ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে যে বিল পাশ হয়েছে, সেখানেও এ মামলার ব্যাপারে উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছিল। এমনকি বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা বাতিলেরও প্রস্তাব করা হয়েছে সেই বিলে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা (ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার) বাতিল করলে দেশের অর্থনীতি ধসে পড়ার যৌক্তিক আশঙ্কা রয়েছে। অধিকারের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে রায়ের প্রতিবাদ এবং মুক্তির দাবি জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স-জার্মানি, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালসহ শতাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও অ্যাক্টিভিস্টরা। তাদের দাবি অধিকার কর্মীদের কণ্ঠরোধ করতেই আদিল-এলানের বিরুদ্ধে নিবর্তনমূলক মামলার রায় দেওয়া হয়েছে, যাতে অন্যরা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।

আদিল-এলানের বিরুদ্ধে রায়ের পর তাদের কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজনভ্যানে তোলার সময় অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান যেন মুষ্টিবদ্ধ হাত তুলে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি সমর্থন, সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং অদম্য সাহসের জানান দিতে না পারেন, এজন্য দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা তার হাত চেপে ধরে রেখেছিল, যার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

২০০৬ সালের আইসিটি অ্যাক্ট, ২০০৯ সালে নাম পরিবর্তন না করে সংশোধিত হলো, ২০১৮ সালে আইসিটি অ্যাক্টের বিতর্কিত নিবর্তনমূলক ৫৭ ধারাকে কয়েকটি ধারায় সন্নিবেশিত করে নাম পরিবর্তন করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হলো। এ আইনের সর্বশেষ রূপ হলো সাইবার নিরাপত্তা আইন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পরিবর্তন করে জাতীয় সংসদে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন’ নামে নতুন যে আইন পাশ হয়েছে, সেখানেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মতো নিবর্তনমূলক, অস্পষ্ট এবং জামিন-অযোগ্য ধারা রেখে কেবল নাম পরিবর্তন করে দেশের জনগণ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোকা বানানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। জাতিসংঘ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের যে দুটি ধারা বাতিলের কথা বলেছিল, সেই দুটি ধারাও বাতিল করা হয়নি। সম্পাদক পরিষদসহ সাংবাদিকদের যেসব আপত্তি ও উদ্বেগের বিষয় ছিল, সেগুলো নতুন আইনে রয়েই গেছে।

সাইবার নিরাপত্তা আইনের কিছু ধারায় জামিনের সুযোগ বাড়লেও ২৫, ২৮, ২৯ ধারায় অস্বাভাবিক জরিমানার বিধান করা হয়েছে। সেই জরিমানা দিতে না পারলে জেলে যাওয়ার ভীতি থাকছেই। নতুন আইনের ৩১ ধারায় অপরাধের অস্পষ্টতা রেখে ৪২ ধারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতোই হুবহু বহাল রাখা হয়েছে। এ আইনের ৪২ ধারায় পুলিশকে বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি, এমনকি গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিভিন্ন ধারার মতো এই আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২ ও ৪২ ধারায় অপরাধের সংজ্ঞা অস্পষ্ট রাখা হয়েছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য-উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এ আইনে। ফলে স্বাধীন মতপ্রকাশের সুযোগ আরও বেশি সংকুচিত হবে।

এ আইনকে বিরোধী মত দমনের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যাবে। সাংবাদিক, নাগরিক সমাজ, মানবাধিকার কর্মী এবং রাজনৈতিক কর্মীদের কণ্ঠরোধ করা যাবে সাইবার সিকিউরিটি আইনে। বাকস্বাধীনতা, ভিন্নমতের স্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ‘ব্যাপকভাবে খর্ব’ করার সুযোগ নতুন আইনেও রাখা হয়েছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো সাইবার নিরাপত্তা আইনও জনগণের স্বাধীন মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চূড়ান্ত হস্তক্ষেপ।

একটি অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনার কারণে খাদিজাতুল কোবরা নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার করা হয়। তার অপরাধ ছিল সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া একজন আলোচক সরকারবিরোধী বক্তব্য রেখেছেন। ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট তিনি গ্রেফতার হন। খাদিজা কোনো দুর্ধর্ষ অপরাধী নন। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ কোনো তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন-এ রকম প্রমাণও সরকারের কাছে নেই। তারপরও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বারবার তার জামিনের আবেদন করা হলেও তা নামঞ্জুর করা হয়েছে। খাদিজা যে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেছেন, সেখানে অন্য একজন ব্যক্তি যদি সরকারবিরোধী বক্তব্য দিয়েও থাকেন, সেই দায় তাকে বহন করতে হবে কেন?

জনগণের সংবিধানস্বীকৃত অধিকার হরণ করা হয়েছে সব সরকারের আমলেই। বর্তমান বাংলাদেশে মানবাধিকার চরমভাবে উপেক্ষিত। বিরোধী মতকে দমন করার জন্য গত ১৫ বছরে ৬ শতাধিক মানুষ গুম হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার ২০২০ সাল পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, এদের মধ্যে ৭৮ জনের লাশ পাওয়া গেছে, ৯৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেককেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে, যাদের বেশিরভাগের ভাগ্যেই কী ঘটেছে তা এখনো অজানা। ২০২১ সালে গুম হওয়া ৩৪ ব্যক্তির অবস্থান ও ভাগ্য জানতে চেয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ওয়ার্কিং গ্রুপ অন এনফোর্ডস অর ইনভলান্টারি ডিস-অ্যাপিয়ারেন্স বাংলাদেশ সরকারকে চিঠি পাঠায়, যাদের বেশিরভাগ ব্যক্তিকেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা বা কর্মী হিসাবে উল্লেখ করা হয়। বর্তমান সরকার এ ৩৪ জনের বিষয়ে সদুত্তর দিতে পারেনি। বরং উল্লেখিত গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে অভিযোগ তুলে নিতে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছে। সেসময় ভয়ভীতি দেখিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। গুমের পাশাপাশি উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। বিগত ১৫ বছরে দেশে ৩ হাজারের বেশি মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া মাদকবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যার শিকার হন ১ হাজারেরও বেশি মানুষ, যাদের বেশিরভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বলে অভিযোগ রয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে প্রকৃতপক্ষে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিকে দমন করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। র‌্যাব এবং র‌্যাবের সাবেক-বর্তমান ৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার পর প্রায় বছরখানেক বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড কমে যায়। সরকারবিরোধী আন্দোলন জোরদার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশে বেড়েছে বিচারিক হয়রানি। যে হয়রানি থেকে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসও বাদ যাননি। তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ১৯৮। মামলাগুলোকে অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে নিষ্পত্তি করে ড. ইউনূসকে সাজা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে কেবল দেশের ভেতরে আলোচনা হচ্ছে তা-ই নয়, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের দেশগুলো এমনটাই মনে করে। বিরোধী দল বিশেষ করে বিএনপির বিরুদ্ধে করা ১ লাখ ৩৮ হাজার মামলায় ৪০ লাখের বেশি নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। বিরোধী দলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে শতাধিক, কারও কারও বিরুদ্ধে তিন-চার শতাধিক মামলা রয়েছে। নির্বাচন সামনে রেখে এসব মামলার রায় দিয়ে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কারাগারে পাঠানোর একটা চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কারও কারও বিরুদ্ধে সাজা দেওয়া হয়েছে, অনেক নেতাকে জেলেও নেওয়া হয়েছে।

দি ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ থেকে ২০২২-এ তিন বছরে একই স্কোর নিয়ে হাইব্রিড শাসনব্যবস্থায় অবস্থান করছে বাংলাদেশ। হাইব্রিড শাসনব্যবস্থা বলতে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এমন ব্যবস্থাকে বোঝায়, যেখানে প্রায়ই অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হয়। এ শাসনব্যবস্থায় বিরোধী দল ও বিরোধী প্রার্থীদের ওপর সরকারের নিয়মিত চাপ থাকে। দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার ও দুর্বল আইনের শাসন, দুর্বল নাগরিক সমাজ হাইব্রিড ধরনের শাসনব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য। এ বিভাগে থাকা দেশগুলোতে বিচারব্যবস্থা স্বাধীন নয় এবং সাংবাদিকদের হয়রানি ও চাপ দেওয়া হয়। এর পরের ধাপই হলো কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা।

গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে যে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও সেই গণতন্ত্র এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এখনো গণতন্ত্র এবং মানবাধিকারের জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এ লড়াইয়ের শেষ কোথায়?

সাকিব আনোয়ার : অ্যাক্টিভিস্ট, প্রাবন্ধিক

mnsaqeeb@gmail.com

 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম