Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বাইফোকাল লেন্স

সরকারি কর্মকর্তাদের অতিকথন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সরকারি কর্মকর্তাদের অতিকথন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে

জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছেন জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি শ্যামল চন্দ্র ধর। ছবি: সংগৃহীত

২৪ আগস্ট ঢাকা থেকে প্রকাশিত এক দৈনিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে একটি শিরোনাম দেখে রীতিমতো চমকে উঠেছি। শিরোনামটি ছিল, ‘আওয়ামী লীগকে নিজের দল দাবি দেওয়ানগঞ্জের ওসির, বিজয়ী করতে চাইলেন ভোট’। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ পৌরসভায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে দেওয়ানগঞ্জ থানার ওসি শ্যামল চন্দ্র ধর প্রকাশ্যে মাইকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ‘বিপুল ভোটে’ জয়ী করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে আবারও সরকারে দেখতে চান বলে ঘোষণাও দেন। তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের নির্বাচন আসছে, আপনারা সবাই সতর্ক দৃষ্টি রেখে আমাদের দলের জন্য কাজ করবেন, যাতে আমরা পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে বিপুল ভোটে জয়ী করতে পারি।’ তার এ বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতোমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দেওয়ানগঞ্জ-বকশীগঞ্জ আসনের সংসদ-সদস্য আবুল কালাম আজাদ। ওসি শ্যামল চন্দ্র ধরই যে প্রথম এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন তা নয়, ১৫ আগস্ট, শোক দিবস উপলক্ষ্যেই অন্য একটি অনুষ্ঠানে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট থানার ওসি মো. ফারুক হোসেনকেও আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের পক্ষে ভোট চাইতে দেখা গেছে।

এ ধরনের বক্তব্য দেওয়ার পর সাধারণত দেখা যায়, ওসিরা সাংবাদিকদের করা প্রশ্ন এড়িয়ে যান। নাঙ্গলকোট থানার ওসি ফারুকও তাই করেছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমার কোনো বক্তব্য নেই।’ কিন্তু শ্যামল চন্দ্র ধর এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। তিনি খুব সচেতনভাবেই প্রকাশ্য সভায় ওপরে বর্ণিত বক্তব্য দিয়েছেন, তা বোঝা যায় সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি যা বলেছেন, তাতে। পুলিশ সার্ভিসে কর্মরত থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চেয়ে বক্তব্য দিতে পারেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করে এখানে এসেছি। আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে চেয়েছি। এতে যদি আমার চাকরি চলে যায়, অসুবিধা নেই। চাকরি গেলে যাকগা।’ শ্যামল ভালো করেই জানেন, এ সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভোট চাইলে তার চাকরি যাবে না। অতীতের এমন ঘটনার জন্ম দিয়ে অনেকেই বরং ভালো পদ ও পদবি নিয়ে উন্নত জীবনযাপন করছেন। থানার ওসিরা রাষ্ট্রীয় নিয়মকানুন ভঙ্গ করে আওয়ামী লীগের পক্ষাবলম্বন করে একের পর এক ঘটনার জন্ম দিয়ে যাচ্ছেন, এ নিয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কোনো দায় আছে বলে মনে হচ্ছে না। শ্যামল চন্দ্র ধরের এমন রাজনৈতিক বক্তব্যের পর জামালপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামানকে এ ব্যাপারে সাংবাদিকরা জিজ্ঞেস করলে তিনি সরাসরি বলেন, ‘ইউনিফর্ম পরে কোনো রাজনৈতিক দলের জন্য ভোট চাওয়া না চাওয়া একান্তই তার (ওসির) ব্যক্তিগত বিষয়। এর থেকে আমার আর কিছু বলার নেই।’ পুলিশ সুপারের বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তার কোনো দায় নেই। নির্বাচন সামনে রেখে পোশাকধারী পুলিশ কর্মকর্তারা রাষ্ট্রীয় নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কাজ করলেও যেন তাদের কর্তৃপক্ষের করার কিছু থাকে না।

পৃথিবীর অন্য কোনো রাষ্ট্রে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার কথা কল্পনাও করা যায় না। আর কোথাও এমন প্রকাশ্যে দিবালোকে পোশাকধারী সরকারি কোনো কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক নেতার মতো বক্তব্য দিতে দেখা যায় না। বাংলাদেশেও এর আগে এমন হয়নি। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর অন্য কোনো সরকারের আমলে পোশাক পরে পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক সভায় দাঁড়িয়ে বক্তব্য দিতে দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর, বিশেষ করে ২০১৪ সালের পর থেকে সরকারি কর্মকর্তাদের এরূপ আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। বিশ্বের আর কোনো দেশে এমন উদাহরণ না থাকলেও, কেবল বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা নিজের অতীত রাজনৈতিক পরিচয় জাহির করে, দাম্ভিকতার স্বরে বলতে পারেন, ‘আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করে এখানে এসেছি। আওয়ামী লীগকে বিজয় করতে ভোট চেয়েছি। তাতে যদি আমার চাকরি যায় যাকগা।’ অথচ ভোটের দিন থানার এ ওসিরাই আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের যদি এ মনোভাব হয়, তাহলে ভোট গ্রহণকালে তারা কতটুকু নিরপেক্ষ থাকবেন তা সহজেই অনুমেয়। আমাদের দেশের নির্বাচনে মাঠ পর্যায়ের দুই শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন, যাদের নিরপেক্ষতার ওপর নির্ভর করে ভোটগ্রহণ কতটুকু সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলো। তারা হলেন, থানার ওসি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাদের কেউ যদি পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ করেন, তাহলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনও তাই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পায়নি। আওয়ামী লীগ তাদের অধীন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে দেশ ও বাইরের মানুষের কাছে যত কথাই বলুক না কেন, সরকারি কর্মকর্তাদের এমন খাপ খোলা বক্তব্য কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতাদের বক্তব্যকে সাপোর্ট করছে না।

নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, কর্মকর্তাদের পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ যেন আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দু-একটি ঘটনার বর্ণনা দিলে বিষয়টি পরিষ্কার হবে। ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে তার আজিমপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ খবর শোনার পর তার বাসার সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদকসহ আরও কয়েকজন ছাত্রদল নেতা উপস্থিত হলে সাদা পোশাকধারী কিছু লোক তাদেরও সেখান থেকে তুলে নিয়ে যায়। পরে সবাইকে দেখা গেল ডিবি অফিসে আটক করা হয়েছে। ডিবি তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলাও দিয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০ আগস্ট সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম ও ডিবি উত্তরের যুগ্ম কমিশনার খোন্দকার নুরুন্নবী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ১৯ আগস্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্রদলের ছয় নেতাকে তিনটি অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানান, ছাত্রদলের এ নেতারা দুটি অস্ত্র পাবনা ও একটি টেকনাফ থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। দলের উপর মহলের নির্দেশেই নাকি এ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়। ডিবি কর্মকর্তাদের এ দাবি, কাকতালীয়ভাবে ‘বিএনপি অস্ত্র কিনছে, সীমান্ত থেকে আগ্নেয়াস্ত্র এনে তারা মজুদ করছে’ বলে ২৫ জুলাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে দাবি করেছিলেন তার সঙ্গে মিলে যায়। প্রধান বিরোধী দলেরও দাবি, ‘ওবায়দুল কাদেরের এ বক্তব্যের পর থেকেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আটক করে অস্ত্র ধরিয়ে দিয়ে অস্ত্র মামলা দেওয়া শুরু হয়েছে।’ এর কারণ, নির্বাচনের সময় যদি কোনো রকমে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা যায়, তাহলে এর দায়ভার বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সহজ হবে। মজার ব্যাপার হলো, ছাত্রদলের অস্ত্রসহ গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দলের অনেক নেতাকর্মীর হাতেও যে অস্ত্র দেখা যাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ডিবির কোনো অভিযান পরিকল্পনা আছে কি না, সাংবাদিকদের এমন তির্যক প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তারা অপ্রস্তুত হয়ে যান এবং কোনো জবাব না দিয়ে তড়িঘড়ি করে সেখান থেকে চলে যান।

গত দুমাসেই বেশ কয়েকটি ঘটনায় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করতে দেখা গেলেও পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে। যথেষ্ট সুযোগ থাকা সত্ত্বেও পুলিশ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আওয়ামী লীগ নেতারা সর্বশেষ অস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনা ঘটিয়েছে মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুর পর গায়েবানা জানাজাকে কেন্দ্র করে। ১৫ আগস্ট কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসভার নামার চিরিংগার বায়তুশ শরফ সড়কে যখন জামায়াতের উচ্ছৃঙ্খল কর্মী ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে, তার ঠিক পরপর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে একটি মিছিল সেখানে হাজির হয়। মিছিলে কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ-সদস্য জাফর আলমকেও দেখা যায়। সশস্ত্র অবস্থায় আরও কয়েকজন ব্যক্তি তার সঙ্গে ছিলেন। মিছিলের সামনে হেলমেট পরা এক ব্যক্তিকে অস্ত্র হাতে, হাঁটতে হাঁটতে গুলি করতে দেখা গেছে। তাতে জামায়াতের এক কর্মী নিহত হন। সশস্ত্র ওই ব্যক্তির ঠিক পেছনে ছিলেন জাফর আলম। জাফর আলমের পেছনে ছিলেন আরও একজন অস্ত্রধারী। ঘটনার দিনই গুলিবর্ষণের সেই দৃশ্যের একটি ভিডিও চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, হেলমেট পরা অস্ত্রধারী ব্যক্তিটি ছিলেন সংসদ-সদস্য জাফর আলমের দেহরক্ষী হিসাবে পরিচিত আবদুল জলিল। মিছিলে গামছা মোড়ানো অস্ত্র হাতে সংসদ-সদস্য জাফর আলমের ভাগনে মিজানুর রহমানকেও দেখা যায়।

জানা গেছে, যে স্থানে গুলিবর্ষণের ঘটনায় জামায়াতের কর্মী নিহত হয়েছেন, সেখানকার তিনটি সিসিটিভির ফুটেজ মুছে ফেলা হয়েছে। খবর বেরিয়েছে, ১৯ আগস্ট ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় কিছু কর্মী ঘটনাস্থলের বাসাবাড়ি ও দোকানে গিয়ে সিসিটিভির ফুটেজ খোঁজাখুঁজি করেছেন এবং সেখানকার কয়েকটি সিসিটিভির হার্ডডিস্ক খুলে নিয়ে গেছেন। যাওয়ার সময় তারা আশপাশের মানুষের বেশি বাড়াবাড়ি করলে তাদের মামলায় জড়ানোর হুমকিও দিয়ে যান। পুলিশ এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের কোনো সুরাহা করতে পারেনি। চকরিয়ায় সংঘর্ষের ঘটনায় হত্যাসহ তিনটি মামলা হয়েছে; কিন্তু ঘটনার এতদিন পরও এখন পর্যন্ত কোনো আসামিকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। চিহ্নিত করতে পারেনি হেলমেটধারী অস্ত্রবাজদের; উদ্ধার হয়নি কোনো অস্ত্রও। পুলিশ বলছে, তদন্তের স্বার্থে তারা ঘটনাস্থলের একটি সিসিটিভির হার্ডডিস্ক জব্দ করেছেন। চকরিয়া থানার ওসি দাবি করেছেন, হেলমেট পরা গুলিবর্ষণকারীকে জোর কদমে খোঁজা হচ্ছে। গুলিবর্ষণকারী কয়েকজনের নামও নাকি তিনি পেয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষের ধারণা, অস্ত্রধারী সবাই যেহেতু ক্ষমতাসীন দলের, কাজেই এ বিষয়টি একসময় হয়তো অন্য অনেক ঘটনার মতো ধামাচাপা পড়ে যাবে।

পুলিশ কর্মকর্তাদের ক্ষমতাসীন দলের রাজনৈতিক সভায় যোগ দিয়ে দলের পক্ষে ভোট চাওয়া শুধু ন্যক্কারজনক ঘটনাই নয়, গর্হিত অপরাধও বটে। একজন ইউনিফর্মধারী কর্মকর্তা এ ধরনের আচরণ করতে পারেন না। যেসব পুলিশ কর্মকর্তা সরকারি দলের পক্ষে ভোট চেয়ে বক্তব্য দিয়েছেন, পুলিশ প্রশাসন যদি তাদের বিরুদ্ধে যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা না করেন, তাহলে আসন্ন নির্বাচনে সব পুলিশ সার্ভিসের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। নির্বাচনে প্রশাসনের পক্ষপাতিত্ব নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ করে আসছেন, পুলিশ কর্মকর্তাদের সরকারি দলের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট চাওয়ার মধ্য দিয়ে যেন তাই প্রমাণ করছে।

এবারের নির্বাচনটি যেন ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, এটাই সবার কাম্য। শুধু দেশের মানুষই নয়, বাংলাদেশের উন্নয়নের পার্টনার দেশগুলোও চাচ্ছে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের অতিকথন ও পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণের যে বহিঃপ্রকাশ ঘটছে, তাতে বর্তমান প্রশাসনিক কাঠামো বজায় রেখে তা কতটুকু সম্ভব হবে, সে প্রশ্ন তো রয়েই গেছে। সরকারি কর্মচারীদের মনে রাখতে হবে, তাদের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড যে দলেরই থাক না কেন, তারা এখন আর কোনো দলের নন; তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। সুতরাং, নির্বাচনের আগে তাদের আচরণগত কোনো পরিবর্তন যদি না হয়, তাহলে আগামী নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবেই।

একেএম শামসুদ্দিন : সাবেক সেনা কর্মকর্তা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম