
প্রিন্ট: ০১ মার্চ ২০২৫, ১০:২৯ এএম

মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার
প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

আরও পড়ুন
গণতন্ত্রকে অর্থবহ করে মুক্ত, অবাধ ও দুর্নীতিমুক্ত নির্বাচন। এমন নির্বাচন অনুষ্ঠান জটিল ও দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া।
এ প্রক্রিয়ায় সরকার ও নির্বাচন কমিশন কিছু দেশে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে থাকে। নির্বাচনে ইঞ্জিনিয়ারিং করে কলুষিত নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য ও অবাধ নির্বাচন বলে প্রচার করে। গোয়ালা তো তার দইকে ভালোই বলবেন।
এ কারণে নির্বাচন আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ সব সময় নিজ অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে স্বচ্ছ নির্বাচন দাবি করে। কিন্তু নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা যদি ওই নির্বাচনকে ভালো নির্বাচন বলেন, তাহলে ওই দাবি কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্যতা পায়।
এ কারণে বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে নির্বাচনের আয়োজকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের আহ্বান জানান। তবে তারপরও নাগরিক সমাজ ও ভোটারদের একটি সাদা চোখের পর্যবেক্ষণ ও বিচার আছে।
সে বিচারে কোনো নির্বাচন ভালোত্বের সনদ পেলে ওই নির্বাচন দেশে ও বিদেশে গ্রহণযোগ্যতা পায়। এ কারণে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে এবং দিন দিন এর গুরুত্ব বেড়েছে।
বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের সূচনা হয় ১৯৮০-এর দশক থেকে। ওই দশকে সামরিক সরকারাধীনে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগের পরিকল্পনায় ‘অবাধ নির্বাচন গণকমিশন’ নামের একটি পর্যবেক্ষক সংগঠনের আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্যের একজন সাবেক শ্রমিকদলীয় মন্ত্রী, রক্ষণশীল দলের একজন সাবেক সংসদ-সদস্য এবং একজন বিবিসি সংবাদদাতার সমন্বয়ে গঠিত তিন সদস্যের ‘পিপলস কমিশন’ নামের একটি নির্বাচন পর্যবেক্ষক দল বাংলাদেশে এসে বিতর্কে জড়ায়। কারণ, এ পর্যবেক্ষক দলটি পর্যবেক্ষিত নির্বাচনকে ‘Tragedy for democracy’ বলে আখ্যায়িত করে সামরিক সরকারের রোষানলে পড়ে।
সরকারি আজ্ঞাবহ ইসি পিপলস কমিশনকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে। পরবর্তী দশকগুলো থেকে এ দেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম ক্রমান্বয়ে প্রসারিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারামলে অনুষ্ঠিত ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালে এবং সেনাসমর্থিত অসাংবিধানিক সরকারামলে ২০০৮ সালে যথাক্রমে পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম এবং নবম সংসদ নির্বাচনগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক এসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন।
এসব পর্যবেক্ষক নির্বাচনের অব্যবহিত আগে এসে কয়েক দিন বা সপ্তাহ এ দেশে থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন। তবে নির্বাচনের ৫-৬ মাস আগে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসার নজির এ দেশে নেই।
নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সাধারণত বেশকিছু বিষয় পর্যবেক্ষণ করেন। এ কাজ নির্বাচনের বেশ কিছুদিন আগে শুরু করে শেষ করেন নির্বাচনি ফলাফল ঘোষণার কয়েকদিন পর। তাদের পর্যবেক্ষণের মধ্যে থাকে ভোটার তালিকা প্রণয়নের স্বচ্ছতা পরীক্ষা করা, ভোটার, জনগণ, প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের চলাফেরার স্বাধীনতার প্রকৃতি; নির্বাচনি প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের স্বরূপ, গণমাধ্যমের পক্ষপাতমুক্ততার প্রকৃতি; নির্বাচনি পরিবেশের ভয়ভীতি ও সন্ত্রাসমুক্ততার চিত্র ইত্যাদি।
তারা আরও দেখেন, ভোটাররা স্বাধীনভাবে ভোটদান করতে পারেন কিনা, সংখ্যালঘু, নারী বা দরিদ্র ভোটারদের হুমকি দেওয়া হয় কিনা; নির্বাচনে কোনো দল কালোটাকা এবং পেশিশক্তি ব্যবহার করে কিনা, ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীদের নির্বাচনি এজেন্ট অবস্থান করতে পারেন কিনা; নির্বাচনি কর্মকর্তা ও পোশাকধারী বাহিনীর সদস্যরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করেন কিনা।
এ ছাড়া ভোটগণনা প্রক্রিয়া এবং ফল ঘোষণা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতার ওপরও পর্যবেক্ষকরা নজরদারি করেন। দৃষ্টি দেন নির্বাচনে সংক্ষুব্ধ প্রার্থী নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারেন কিনা; নির্বাচনের পর বিজিত দলের নেতাকর্মীদের ওপর বিজয়ী দলের কর্মী-ক্যাডাররা আক্রমণ ও নির্যাতন করার বিষয়গুলোও তারা পর্যবেক্ষণ করেন। তবে কেমন সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে নির্বাচন পর্যবেক্ষরা দেখভাল বা মতামত প্রদান করেন না।
আর এমন ব্যক্তিরাই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেন, যাদের নির্বাচন বিষয়ে সংশ্লিষ্টতা বা অভিজ্ঞতা থাকে। তারা নিরপেক্ষভাবে কাজ করলেও অনেক দেশে পর্যবেক্ষকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ওঠে।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে সম্প্রতি রাজনীতি শুরু হয়েছে। এ দেশে অনেক নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকা পালন বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। একটি উদাহরণ উল্লেখ করছি। ১৯৯০-এর দশকে সপ্তম সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে গঠিত এনজিও জোট ফেয়ার ইলেকশন মনিটরিং অ্যালায়েন্সের (ফেমা) বিরুদ্ধে ভোটার প্রশিক্ষণের ছদ্মাবরণে একটি দলের পক্ষে গ্রামীণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছিল।
দুজন গবেষক লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স থেকে প্রকাশিত সমাজবিজ্ঞানবিষয়ক জার্নাল ‘গভর্নমেন্ট অ্যান্ড অপজিশনে’ বিষয়টিকে এভাবে তুলে ধরেছেন : ‘১৯৯৬ সালে অরাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক প্রশাসন একটি বহুল পরিচিত এনজিও জোটের বিরুদ্ধে উত্থাপিত রাজনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আমলে নেয়নি।
নির্বাচন বিষয়ে গ্রামীণ ভোটারদের প্রশিক্ষণ প্রদানের ছদ্মাবরণে এ এনজিও জোট কর্মকর্তারা আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের পক্ষে ভোট প্রদানে প্রভাবিত করেন। এর পরও অরাজনৈতিক তত্ত্বাবধায়ক সরকার এদের কার্যক্রমে বাধা আরোপ করেনি’, (গভর্নমেন্ট অ্যান্ড অপজিশন, ভলিউম-৩৫, সংখ্যা-৩, ২০০০, পৃষ্ঠা-৩৬৭)।
বাংলাদেশে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ব্যাপক হারে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের সমাবেশ ঘটবে ভাবা যায়। এ দেশের অনেক নির্বাচন পর্যবেক্ষকের গায়ে রাজনৈতিক রং লেগেছে। অষ্টম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ থেকে ৮টি এবং বিএনপি থেকে কতিপয় এনজিওর নাম উল্লেখ করে ওই এনজিওগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি না দিতে ইসিতে লিখিত দরখাস্ত দেওয়া হয়।
নবম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগ থেকে ২০টি এবং বিএনপি থেকে ৪টি নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থাকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে বারিত রাখতে ইসিতে অভিযোগ দায়ের করা হয়। বিরোধীদলীয় বর্জনের মুখে দশম সংসদ নির্বাচনে পরিস্থিতি সাংঘর্ষিক হওয়ায় এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণযোগ্য বিবেচনা না করে যুগপৎ দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকরা নির্বাচনটি পর্যবেক্ষণে আসেনি।
তবে ব্যতিক্রমীভাবে দু-একটি স্বদেশি পর্যবেক্ষক সরকারি প্ররোচনায় নির্বাচনটি নামকাওয়াস্তে সীমিত পরিসরে পর্যবেক্ষণের দাবি করে। ইসিগুলো নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজের নিরপেক্ষতা ও পেশাদারিত্ব দেখভালে প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়েছে।
সনদ বিক্রির অভিযোগ ও শিক্ষা জালিয়াতির কারণে বন্ধ হওয়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাওলানা আবেদ আলী নিজেকে সম্প্রতি ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান দাবি করে ৪ জন বিদেশিকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক পরিচয়ে দেশে আনেন। এ চারজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেরি ইসলে, আয়ারল্যান্ডের নিক পল, চীনের এন্ডি লিন এবং জাপানের ইউসুকি সুগু। এদের কোনো আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক হয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই।
এদের মধ্যে দুজন সাংবাদিক আর বাকি দুজন সমাজকর্মী। এরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ৩০ জুলাই মিটিং করার পর বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি অসাংবিধানিক ও বেআইনি। তারা মনে করেন, বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে। এরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনরত বিএনপির সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। বিএনপি এদের এ দেশে আসার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে এদের সঙ্গে বৈঠক করতে রাজি না হয়ে দূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম ও আবেদ আলীর অতীত কার্যক্রম পরখ করলে এদের চরিত্র বুঝতে অসুবিধা হয় না। জনাব আলী একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগেও কতিপয় বিদেশি ব্যক্তিকে এনে এ রকম কাজ করিয়েছিলেন। বিতর্কিত ও প্রহসনের রাতের ভোটের একাদশ সংসদ নির্বাচন শেষে আবেদ আলীর ফোরাম বলেছিল, তারা ২৩৯টি আসনের ১৭ হাজার ১৬৫টি কেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছে।
সার্বিক বিবেচনায় নির্বাচন খুবই শান্তিপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কাজেই আবেদ আলীরা কেমন ধরনের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তা জনগণ বুঝতে পেরেছে। এবারও এরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পাবে এবং নির্বাচন দেখার পর তারা কী মতামত দেবে তা অনুমান করতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
বাংলাদেশে যারা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কাজে জড়িত তাদের প্রায় সবাই বিদেশি অর্থায়নে এ কাজ করেন। যেসব দাতা সংস্থা এ কাজে অর্থায়ন করে, তারা পর্যবেক্ষকদের শুধু অর্থই দেয় না, এর সঙ্গে তাদের নিজস্ব কিছু নির্দেশনাও হয়তো তাদের আকার-ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয়। কারা ভালো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন সে বিচার করে দাতারা সব সময় পর্যবেক্ষণ কাজে সহায়তা করেন না। যাকে দিয়ে তাদের কাজ উদ্ধার হবে তাকেই তারা পর্যবেক্ষণ কাজে পছন্দ করেন।
অনেক উদাহরণ দেওয়া যায়। এখানে একটি উদাহরণ দেব। সপ্তম সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে চট্টগ্রামে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও সমাজবিজ্ঞানী থাকা সত্ত্বেও জার্মান দাতা সংস্থা হেনরিস বোল ফাউন্ডেশন ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে অর্থায়ন করে শিল্পকলা ও নাট্যচর্চায় পারদর্শী বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব থিয়েটার আর্টসকে (বিটা)। সঙ্গত কারণে ওই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পত্রপত্রিকার কিছু প্রকাশিত লেখা, কয়েকটি সাক্ষাৎকার, কিছু ছবি এবং সাধারণ মানের কতিপয় সারণি উল্লেখ করে এ প্রতিবেদন দায়সারাভাবে শেষ করা হয়।
বললে অত্যুক্তি হবে না, যদি বলা হয় বাংলাদেশে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমের ওপর বণিকবৃত্তির প্রভাব পড়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে এ নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ বাণিজ্য জমজমাট রূপ নেবে। পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, ইতোমধ্যে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০৬টি বেসরকারি সংস্থা নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে, যার মধ্য থেকে কমিশনের প্রাথমিক বাছাইয়ে টিকেছে ৯৪টি সংস্থা।
এর মধ্যে রয়েছে বহুল আলোচিত আবেদ আলীর দুই প্রতিষ্ঠান সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এবং ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম। বলার অপেক্ষা রাখে না, এ নির্বাচনের আগে অনেক আবেদ আলী নির্বাচন পর্যবেক্ষণের অনুমতি পাবেন। আর দাতা সংস্থাগুলোও বিশেষ উদ্দেশ্যে পছন্দনীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষকারী সংস্থাকে অর্থায়ন করবে। সব মিলিয়ে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জমজমাট পর্যবেক্ষণ বাণিজ্য শুরু হতে আর খুব বেশি দেরি নেই। সাধারণ মানুষ চান না নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রম নিয়ে বাণিজ্য হোক।
এ কার্যক্রমে আবেদ আলীর মতো লোক জড়িত হয়ে পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করুক। তারা চান, নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমে বস্তুনিষ্ঠ পেশাদারিত্বের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এ দেশে যখন সব সেক্টরে দুর্নীতি ভাইরাস আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, তখন নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারীরা তাদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ কার্যক্রমকে আর্থিক দিক দিয়ে কতটা দুর্নীতিমুক্ত রাখতে পারবেন?
ড. মুহাম্মদ ইয়াহ্ইয়া আখতার : অধ্যাপক, রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
akhtermy@gmail.com