বিদেশি পর্যবেক্ষকদের দৃষ্টিভঙ্গি লক্ষণীয়
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী
প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ফাইল ছবি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পদচারণা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও ক্ষেত্রবিশেষে কতিপয় মন্তব্য-পর্যবেক্ষণ কূটনৈতিক শিষ্টাচার-ভিয়েনা কনভেনশন বিধিবহির্ভূত বলে অভিযোগ উঠেছে। বাস্তবতা বিবেচনায় এসবের গুরুত্ব নেহায়েত কম নয়। দেশের সংবিধান অনুসারে জনগণই সার্বিক ক্ষমতার মালিক। ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সরকার গঠনে তাদের রায়ই প্রধান নির্ধারক। বস্তুত ক্ষমতার পালাবদলের পরিক্রমায় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় জনগণের ভূমিকাই মুখ্য।
অহিংস-পরমতসহিষ্ণুতার বিদ্যমান পরিবেশে সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনপুষ্ট বিজয়ী দল সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেবে, এটিই সর্বজনস্বীকৃত। নির্বাচনে ধর্ম-বর্ণ-দল-মত-নারী-পুরুষ-অঞ্চল নির্বিশেষে প্রাপ্তবয়স্ক ভোটারদের ন্যায্য অধিকার প্রয়োগে নির্ধারিত সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনায় কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা পায়। সৎ, যোগ্য, মেধা-প্রজ্ঞা-দেশপ্রেমে ঋদ্ধ এবং জনগণের স্বার্থ সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ দুঃসময়ে পরীক্ষিত নেতৃত্বকেই জনপ্রতিনিধিরূপে নির্বাচিত করে জনগণ তাদের সংবিধানসম্মত, ন্যায়সংগত অধিকার ভোগে বদ্ধপরিকর।
দুঃখজনক হলেও সত্য, অতীতে, বিশেষ করে সেনা শাসনামল থেকে নির্বাচনে অস্বচ্ছ প্রক্রিয়া লক্ষ করা যায়। নানামুখী অবৈধ কর্মকাণ্ডে নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ায় নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সাধারণ মানুষের ব্যাপক দূরত্ব সৃষ্টি হতে থাকে। এর ফলে নির্বাচনের ফলাফল আগে থেকেই ছকে বাঁধা থাকায় রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় তা কোনোরূপ ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। আর এ ধরনের পূর্বনির্ধারিত নির্বাচনি ফলাফলের ওপর জনগণের অবিশ্বাস চরমে পৌঁছে।
পর্যায়ক্রমে জনগণের বিক্ষোভ ও আন্দোলনের মুখে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারবিরোধী দলগুলোর মনোনীত ব্যক্তি প্রধান বিচারপতির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের মাধ্যমে দেশে প্রথম তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। কোনো প্রকার সাংবিধানিক সংশোধনী ছাড়াই তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতাসীন সরকার প্রবল বিক্ষোভের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করতে বাধ্য হয়।
২০০১ সালে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসার কয়েক বছর পরই সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিতর্কের মুখে ফেলা হয়। এ সংবিধান সংশোধনীর কয়েকটি বিষয়ের মধ্যে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ছিল সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অবসরের বয়স বাড়ানো। এ সংশোধনীর পেছনে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার সুপ্ত বাসনা লুক্কায়িত ছিল বলে বিজ্ঞজনের ধারণা। কারণ সংবিধান অনুযায়ী সর্বশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান। ফলস্বরূপ ২০০৬ সালে সরকারের কার্যমেয়াদ সমাপ্তিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন নিয়ে ব্যাপক মতানৈক্য হয় এবং রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় সর্বশেষ সাবেক প্রধান বিচারপতি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হতে অসম্মতি প্রকাশ করলে রাষ্ট্রপতি নিজেই প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ এবং উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করেন।
২২ জানুয়ারি ২০০৭ নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন ধার্য করা হলেও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সংশয় অব্যাহত থাকে এবং এ প্রেক্ষাপটে সারা দেশে রাজনৈতিক সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১ জানুয়ারি ২০০৭ জরুরি অবস্থা ঘোষিত এবং নির্বাচন স্থগিত করা হয়। প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে রাষ্ট্রপতি সরে গেলে আবার তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয়। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আড়ালে সামরিক ছায়া সরকারের প্রায় দুই বছরের দুঃসহ দেশ শাসনের কথা কারও অজানা নয়।
এ পটভূমিতে ওই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান থেকে বাতিল করে। বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বিলুপ্ত করা হয়। ২০১১ সালের ১০ মে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট সংবিধানের নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় প্রদান করেন। এ সময় সুপ্রিমকোর্ট নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মৌলিক বেশকিছু দুর্বলতা দেখিয়ে অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত ৩ মাসের সরকারের উদাহরণ তুলে ধরেন। এছাড়া নির্ধারিত ৯০ দিন সময় অতিক্রম করার নজির স্থাপনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ১/১১ সরকারের ঘটনার উপমা উপস্থাপন করেন। মূলত সে সময় থেকেই দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে যায়।
আমাদের সবার জানা, তত্ত্বাবধায়ক সরকার হচ্ছে একটি সরকারের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার সময় থেকে নতুন একটি সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পূর্ববর্তী সময়ে রাষ্ট্রের প্রশাসন পরিচালনায় নিয়োজিত অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সাধারণত যে কোনো প্রতিষ্ঠিত সংসদীয় সরকার ব্যবস্থায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আগ পর্যন্ত বিদায়ি সরকারের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসাবে দায়িত্ব পালনের প্রথা লক্ষণীয়। এ স্বল্পস্থায়ী সরকার দৈনন্দিন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে এবং নীতিনির্ধারণী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকে, যাতে এ সরকারের কার্যাবলি নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব সৃষ্টি না করে।
ওই অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার একটি অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করার জন্য নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সদা সচেষ্ট থাকে। দেশে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক অবিশ্বাস ও সমঝোতার অভাব থেকেই উদ্ভূত। একটি বিদায়ি সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সরকার গঠনের ক্ষেত্রে আইনানুগ রীতিসিদ্ধ পদ্ধতিগুলোর কতখানি সুষ্ঠুভাবে প্রয়োগ করবে এবং সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কতটা পক্ষপাতহীনতার পরিচয় দেবে, প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ সন্দেহ থেকেই মূলত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিটি উত্থাপিত হয়েছিল।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরেও বিরোধী দলগুলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে। লক্ষ্য আদায়ে ইতোমধ্যে তারা সভা-সমাবেশ-পদযাত্রা-রাজপথে অবস্থানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন না করার দাবি কতটুকু যৌক্তিক বা গ্রহণযোগ্য তা ভেবে দেখার বিষয়। দেশি-বিদেশি সংস্থা, কূটনীতিক ও পর্যবেক্ষদের বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত রয়েছে। ৩০ জুলাই নির্বাচন ভবনে বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠক শেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষক টেরি এল ইসলে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি ও পর্যবেক্ষকদের পক্ষ থেকে আমরা বলতে চাই, আপনাদের নির্বাচন কমিশন সংবিধান দ্বারা অনুমোদিত, তারা স্বাধীন। যাতে তারা স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার চাইলে আপনাকে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে। চাইলেও কমিশন এটা করতে পারবে না, কারণ পরিবর্তন করার জন্য কোনো আইনি ফ্রেমওয়ার্ক তাদের নেই। এটা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। এ মূহূর্তে এটা সম্ভব নয়।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক দলের সদস্য হিসাবে আমি মনে করি, এ সরকারের অধীনে কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করতে পারবে। আমি আমেরিকা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করি না। সম্প্রতি আমেরিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন তারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চান। আমরাও মনে করি নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।’ ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি আয়ারল্যান্ডের রাজনৈতিক বিষয়ক সিনিয়র সাংবাদিক নিক পউল বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা আশা করছি সংবিধান অনুযায়ী তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারবে।’
জুলাইয়ে বাংলাদেশ সফরকালে সংবাদমাধ্যম ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া জানান, যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে সমর্থন দেওয়া। তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জনগণের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ বিষয়ে আমরা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ভূমিকা দেখছি না। আমি শুধু বলতে চাই যে, আমরা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষ নিই না।’
দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের সংগঠন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের মতে, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আর সম্ভব নয়। বরং সবার সহযোগিতা নিশ্চিত করে সংবিধান অনুযায়ী বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব। সংস্থাটির চেয়ারম্যান গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে বলেছেন, ‘বিদ্যমান সাংবিধানিক ব্যবস্থায় দলীয় সরকারের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা প্রকাশ করেছেন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যেহেতু অসাংবিধানিক, সে বিষয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তারা বলেছেন, কমিশনে যে আইন আছে তার যেন সঠিক প্রয়োগ হয়। রাজনৈতিক দলগুলো ও সরকার যেন ইসিকে সাপোর্ট দেয়। উল্লিখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করলে এ কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটা তারা আশা প্রকাশ করেছেন।’
জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে দ্য ইউরোপিয়ান টাইমস ও ইইউ অবজার্ভারে প্রকাশিত ‘দ্য ইইউ মাস্ট নট সাপোর্ট আ কেয়ারটেকার গভর্নমেন্ট ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক নিবন্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাবেক কমিশনার ও ধর্মবিষয়ক বিশেষ দূত এবং বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইনোভেশন অ্যান্ড টেকনোলজির (ইআইটি) সদস্য ইয়ান ফিজেল বলেছেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন দেওয়া কোনোভাবেই উচিত হবে না।
নিবন্ধে তিনি জানান, অনির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা দেওয়া হলে তা আবারও সামরিক বাহিনীর হাতে চলে যেতে পারে। যেমনটি ঘটেছিল ১৭ বছর আগে ২০০৬ সালে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুটি দেশ থাইল্যান্ড ও মিয়ানমারের দৃষ্টান্ত দিয়ে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে সমর্থন না দিতে ইইউ নেতাদের প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সবারই নজর দেওয়া উচিত বলে তিনি উল্লেখ করেন।
মোদ্দা কথা, দেশি-বিদেশি সব সচেতন মহল ও বিজ্ঞ পর্যবেক্ষকদের ধারণা-ভাবনা বিশ্লেষণে এটুকু নির্দ্বিধায় বলা যায়, পবিত্র সংবিধান থেকে রহিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে কঠোর আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনই প্রত্যাশিত। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, সংসদীয় উপনির্বাচন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন সক্ষমতা প্রদর্শনে সক্ষম হয়েছে। তাদের দৃঢ় ও নিরপেক্ষ কর্মকৌশল আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানে সহায়ক হোক-এটিই কাম্য।
ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়