Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

বাইফোকাল লেন্স

মণিপুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা মেনে নিতে কষ্ট হয়

Icon

একেএম শামসুদ্দিন

প্রকাশ: ৩১ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মণিপুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা মেনে নিতে কষ্ট হয়

জাতিগত সংঘাতে ক্ষতবিক্ষত মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে উত্তাল ভারত। মানবাধিকার সংস্থা, বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, বুদ্ধিজীবী ও সমাজসচেতন ব্যক্তিত্ব থেকে শুরু করে সে দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের ভেতর মণিপুরের সহিংসতা নিয়ে বাদ-প্রতিবাদ, তর্ক-বিতর্কসহ তীব্র সমালোচনার ঝড় বইছে। বিশেষ করে ১৯ জুলাই মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় কুকি সম্প্রদায়ের দুই নারীকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে বর্বরোচিত নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর তা গোটা ভারতকে প্রকম্পিত করে তোলে। এ নগ্ন দৃশ্যের ভিডিও চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষ যেন স্তম্ভিত হয়ে পড়ে। ভিডিওতে ধারণকৃত নৃশংস ঘটনাটি ঘটে ভিডিও প্রকাশেরও ৭৬ দিন আগে। গত ৩ মে মণিপুরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই ও কুকি জনজাতির মধ্যে রক্তাক্ত জাতি-সংঘাত এবং নৃশংস হত্যাকাণ্ড, লুণ্ঠন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগ শুরুর দ্বিতীয় দিনেই এ বীভৎস ঘটনাটি ঘটে। ঘটনা ঘটার প্রায় ১৪ দিন পর ১৮ তারিখ মণিপুর পুলিশ ভিক্টিমদের মামলা গ্রহণ করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, হিংস্র মেইতেইরা তাদের গ্রামে আগুন দিলে পরিবারসহ ভিক্টিম নারীরা কাছের একটি জঙ্গলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিকটস্থ থানায় নিয়ে যাওয়ার সময় ক্ষুব্ধ মেইতেইরা পুলিশ হেফাজত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু ভিক্টিম দুজন নারীর একজন ভারতীয় এক পত্রিকাকে জানিয়েছেন, ‘পুলিশের কাছ থেকে তাদের ছিনিয়ে নেওয়া হয়নি। পুলিশই বরং প্রথমে তাদের গাড়িতে তুলে নেয়, তারপর গ্রামের একটু বাইরে গিয়েই বড় রাস্তার ওপর ক্ষুব্ধ জনতার হাতে ছেড়ে দিয়েছিল।’ ওই জনতা এরপর জোর করে তাদের বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটায় এবং পাশের ধানখেতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে।

গণধর্ষণের পরপরই মণিপুরের বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং ঘটনা সম্পর্কে অবগত হন এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে জানান। নারী নির্যাতনের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সে দেশের বিরোধীদল, সুশীলসমাজ, বুদ্ধিজীবী, সমাজকর্মী, মানবাধিকার সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষের তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ে কেন্দ্রীয় সরকার। এ ঘটনা আড়াল করারও চেষ্টা করা হয়েছে। মণিপুরে সহিংসতা শুরুর পর থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিরোধীদল কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করে আসছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন নীরবতা দেখে ভারতের সুপ্রিমকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নারী নির্যাতনের ওই ঘটনা তাদের ধর্তব্যে নিয়ে এটিকে এক চরম সাংবিধানিক ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন। এমনকি সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, সরকার নিজ থেকে যদি এ ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে সুপ্রিমকোর্ট নিজেরাই এ মামলার শুনানি শুরু করবে। সরকার দোষীদের বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, তার প্রতিটি পদক্ষেপও সুপ্রিমকোর্টকে নিয়মিত অবহিত করতে হবে বলে তিনি নির্দেশ দেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, মামলা হওয়ার পর মণিপুর পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতারের কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। ১৯ জুলাই ভিডিও প্রকাশের পর সারা দেশে ব্যাপক হইচই শুরু হলে সেদিন রাতেই পুলিশ প্রথমবারের মতো সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করে।

ব্রিটিশ আমলে মণিপুর ‘প্রিন্সলি স্টেট’ হিসাবে মর্যাদা পেত। কাশ্মীরের মতো মণিপুরও ভারত স্বাধীন হওয়ার পরপরই ভারতে যুক্ত হয়নি। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস দলের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা বল্লবভাই প্যাটেলের অব্যাহত চাপের মুখে মণিপুরের তৎকালীন শাসক, মহারাজা বুদ্ধচরণ ১৯৪৯ সালে ভারত অন্তর্ভুক্তি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য হন? মণিপুরবাসী কখনো সেই একত্রীকরণ মেনে নিতে পারেনি বলেই ওই রাজ্যে সশস্ত্র সংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাসের সূত্রপাত হয়। প্রকৃতিগতভাবে বৈচিত্র্যময় মণিপুরে আদিযুগ থেকেই বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। সেখানে পাহাড়ি ও সমতলের আদিবাসী গোষ্ঠীরা যুগযুগ ধরেই একত্রে বসবাস করে আসছে। তাদের প্রত্যেকেরই নিজস্ব ভাষা ও সংস্কৃতি রয়েছে। মণিপুরের মোট জনসংখ্যার ৫৩ শতাংশ মেইতেই জনগোষ্ঠী। বাকি ৪৭ শতাংশ নাগা, মিজো ও কুকি তফসিলি জনজাতি। ধর্মে মেইতেইরা হিন্দু। অপরদিকে তফসিলি জনজাতির লোকরা অধিকাংশই খ্রিষ্টান ধর্মে বিশ্বাসী।

সাধারণত কুকি ও নাগা সম্প্রদায়ের লোকরা রাজ্যের ৯০ শতাংশ জমি নিয়ে গঠিত সংরক্ষিত পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাস করে, অপরদিকে মেইতেই জনগোষ্ঠীর বসবাস রাজ্যের মাত্র ১০ শতাংশ জমি নিয়ে ইম্ফল উপত্যকায় সীমাবদ্ধ। মণিপুর ভূমিসংস্কার আইন অনুযায়ী, রাজ্যের মেইতেইদের পাহাড়ি অঞ্চলে বসতি স্থাপন করা নিষিদ্ধ, অথচ উপত্যকা অঞ্চলে উপজাতীয় জনগোষ্ঠীর বসতি নিষিদ্ধ নয়। মেইতেইদের আসল সমস্যা শুরু হয় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদের বসবাস ও চাষাবাদের অঞ্চল সম্প্রসারণ করতে না পারার অক্ষমতাকে কেন্দ্র করে। মণিপুরে মেইতেইরা ‘তফসিলি জাতিগোষ্ঠী’ হিসাবে বিবেচিত নয়। তারা সরকারি চাকরি, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাব্যবস্থায় ‘সংরক্ষণ সুবিধা’র সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। এ কারণে মেইতেইরা কয়েক বছর ধরেই তফসিলি জাতিগোষ্ঠী হিসাবে শ্রেণিভুক্ত হওয়ার জন্য দাবি জানিয়ে আসছিল। মেইতেই সম্প্রদায়ের দাবি, মণিপুরের অন্য উপজাতিদের মতোই তাদেরও সুযোগ-সুবিধার সংরক্ষণ দিতে হবে। যুক্তি হিসাবে তারা জানিয়েছে, সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় তারা পিছিয়ে পড়ছে অথচ অন্যদিকে এগিয়ে যাচ্ছে উপজাতি সমাজ। ভারতে সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর জন্য সমান সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করতে সে দেশের সংবিধানে এ ‘তফসিলি জাতিগোষ্ঠী’র স্বীকৃতির বিধান রাখা হয়েছে। মণিপুরে সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় মেইতেইদের তফসিলি জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতি দেওয়া হলে অন্যান্য সংখ্যালঘু আদিবাসী গোষ্ঠীর জন্য প্রতিযোগিতা বেড়ে যাবে। এ আশঙ্কা থেকে কুকি ও অন্য সংখ্যালঘু আদিবাসীরা মেইতেইদের তফসিলি জাতিগোষ্ঠীর স্বীকৃতির বিরোধিতা করে আসছে। কিন্তু হিন্দু কট্টরপন্থি বিজেপি মণিপুরে ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকেই মেইতেইদের তফসিলি জাতিগোষ্ঠী হিসাবে স্বীকৃতির দাবি আরও জোরালো হয়। বিজেপিও এ দাবিকে সমর্থন জানায়। উল্লেখ্য, মণিপুরে বিধানসভা নির্বাচনে এ মেইতেইদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরেই বিজেপি জয়লাভ করে ক্ষমতায় বসে।

ক্ষমতায় বসার পর থেকেই বিজেপি মেইতেইদের দাবি নিয়ে কাজ শুরু করে। তারই ফলে গত ২৪ এপ্রিল মণিপুরের হাইকোর্ট মেইতেইদের দাবি খতিয়ে দেখতে মণিপুর সরকারকে নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এ নির্দেশের পরেই এপ্রিলে মণিপুরজুড়ে শুরু হয় বিক্ষোভ। এ বিক্ষোভের বিরুদ্ধে বিজেপিসমর্থিত মেইতেইরা পালটা ব্যবস্থা নিলে দাঙ্গা বেধে যায়। দাঙ্গায়-সংঘাতে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক মানুষ মারা গেছে। গ্রামের পর গ্রাম অগ্নিসংযোগ করা হয়ছে। ফলে, ৬০ হাজারেরও বেশি নাগরিক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে। তিন শতাধিক গির্জা পুরোপুরি কিংবা আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যে, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের কাছ থেকে ১ হাজার ৪১টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়েছে। সেনাবাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না।

ওদিকে মণিপুরে সংঘাত উসকে দেওয়ার অনেক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া যাচ্ছে। পরিকল্পিতভাবেই উসকে দেওয়ার এ কাজটি করা হচ্ছে বলে অনেকের ধারণা। এর পেছনে বিজেপি সমর্থকদের হাত রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন। বিভ্রান্তিকর তথ্য, ছবি ও গুজব ছড়িয়ে কুকি জনগোষ্ঠীর ওপর আক্রমণকে জাস্টিফাই করার একরকম প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর এ কাজটি সম্পন্ন হচ্ছে অনলাইনে। জাতিগত আবেগকে নাড়া দিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে দেওয়ার এ প্রয়াসে বেছে নেওয়া হয়েছে নারী নির্যাতনের মতো ঘটনাকে। এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম তাদের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে সত্য উদঘাটনে চেষ্টা করেছে। কুকি দুই নারীর নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের পর কাউন্টার প্রোডাক্ট হিসাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়া হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে লাগেজবন্দি এক তরুণীর মরদেহের ছবি, ছবির এ মেইতেই নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। অথচ প্রমাণ পাওয়া গেছে, এটি গত বছরের নভেম্বরে দিল্লিতে বাবা-মায়ের হাতে খুনের শিকার ২১ বছরের এক তরুণীর মরদেহের ছবি। আরও একটি গুজবে দাবি করা হয়, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার ৩৭ জন মেইতেই নারী ও এক শিশুকন্যাকে ময়নাতদন্তের জন্য মণিপুরের শিজা হাসপাতালে রাখা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, উল্লেখিত হাসপাতালটি একটি বেসরকারি হাসপাতাল, যাদের ময়নাতদন্তের এখতিয়ারই নেই। ধর্মীয় বিদ্বেষকে উসকে দিতে ‘মুসলিম’ অস্ত্রকে ব্যবহারের প্রচেষ্টাও চালানো হয়েছে। গুজব রটানো হয়, কুকি দুই নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর ওই ঘটনায় জড়িত একজন মুসলিম পুরুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কথিত আছে, এ গুজবটি নাকি বিজেপি নেতা তেজিন্দার পাল সিং বাগগা টুইট পোস্ট করে ছড়িয়েছেন। তার এ টুইট খুব দ্রুতই ভাইরাল হয়। অথচ স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, আটক ব্যক্তি একজন মুসলিম হলেও এ আটকের সঙ্গে দুই নারী নির্যাতনের ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। তাকে অন্য একটি অপরাধে আটক করা হয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করলে সহজেই বোঝা যায়, মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও ঘোলাটে করার পেছনে বিজেপি ইন্ধন জোগাচ্ছ। জাতিগত এ সংঘর্ষকে তারাই বরং উসকে দিচ্ছে।

মণিপুরকে কেন্দ্র করে বিজেপির অভ্যন্তরেই মতভেদের সৃষ্টি হয়েছে। মণিপুর পরিস্থিতির জন্য বিজেপিকে দায়ী করে বিহারের বিজেপির মুখপাত্র বিনোদ শর্মা দল থেকে পদত্যাগ করেছেন। বিজেপির আরেক নেতা জেপি নাড্ডাও একইসঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। তাদের বক্তব্য, মণিপুরের রাস্তায় নগ্ন করে হাঁটানো হয়েছে কন্যাদের। এতে বিশ্বের কাছে ভারতের মাথা হেঁট হয়ে গেছে। এর জন্য বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ দায়ী। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের বীরেন সিংহকে সরানোর মতো সাহস নেই। তাকে সরিয়ে না দিয়ে তার পক্ষেই সরকার সাফাই গাইছে। এমন নেতৃত্বের সঙ্গে কাজ করা যায় না। ওদিকে মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের বিরোধী শিবিরও বিজেপির ওপর একযোগে সোচ্চার হয়েছে। বিরোধী দলগুলো সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছে। তবে এ অনাস্থা প্রস্তাবের পরিণতি সহজেই অনুমান করা যায়। বিজেপির হাতে যেখানে ৩৩২টি আসন, সেখানে ফলাফল বিজেপির পক্ষেই যে যাবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। তারপরও এর একটি রাজনৈতিক তাৎপর্য আছে বৈকি। মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজ্য সরকার যেমন দায়ী, ঠিক তেমনই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। বিজেপি প্রথম মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর সেই ২০১৪ সাল থেকে তারা যে রাজনীতি শুরু করেছে, ধারাবাহিক সেই রাজনীতিরই আরেকটি পরিণতি হলো আজকের এ অগ্নিগর্ভ মণিপুর।

একেএম শামসুদ্দিন: সাবেক সেনা কর্মকর্তা

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম