Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

ব্রিকসের সদস্য হওয়া ইতিবাচক

Icon

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী

প্রকাশ: ০৬ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ব্রিকসের সদস্য হওয়া ইতিবাচক

ফাইল ছবি

‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-এ পররাষ্ট্রনীতির স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটকালে পরিবর্তিত ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসে যোগ দিতে যাচ্ছে।

আনুষ্ঠানিক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী আগস্ট মাসের ২২ থেকে ২৫ তারিখে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় ব্রিকসের ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের সদস্যপদ চূড়ান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কয়েক বছর আগেই বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগদানের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছিল, যার অংশ হিসাবে ২০২১ সালের ২ সেপ্টেম্বর ব্রিকস ব্যাংক দ্য নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এনডিবি) সদস্য হয়। সম্প্রতি জেনেভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্রিকসের সদস্য ও বর্তমান চেয়ার দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার বৈঠকে বিষয়টি পুনরায় উপস্থাপিত হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও এ জোটে যোগ দিতে পারে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইন্দোনেশিয়া।

কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। বাংলাদেশসহ ওই দেশগুলো নতুন করে জোটে যোগ দিলে শুধু অর্থনীতি নয়, ভূরাজনীতিতেও নতুন মেরুকরণ ঘটবে। ব্রিকস জোটে যোগ দিলে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হবে। ব্রিকস জোটভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভবিষ্যতে বিকল্প মুদ্রা বা বিকল্প বাণিজ্যিক ব্যবস্থা চালু হলে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে সুবিধা নিতে পারবে। ভবিষ্যতে ব্রিকস আইএমএফ বা বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানে পরিণত হলে তা থেকে বড় আকারের ঋণ সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কিছুদিন আগে ঢাকা সফরকালে গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘ব্রিকসে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ কতটা সুবিধা পাবে তা নির্ভর করছে এতে যোগদানের পর আমাদের বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন কিছু ঘটার ওপর। যেমন চীন ও ভারত দুটি বড় বাজার, ব্রাজিলও বিরাট। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) হওয়ায় চীন ও ভারত থেকে কিছু সুবিধা পেয়ে থাকে। যদিও এ সুবিধা খুব বেশি নয়। কিন্তু এ সুবিধা না থাকলে এখন আমরা যতটুকু রপ্তানি করতে পারি, সেটুকু করা হয়তো কঠিন হয়ে যেত। বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এলডিসিভিত্তিক যে সুবিধা আছে সেগুলো উঠে যাবে। এখন সেই জায়গায় তারা যদি বলে, তোমরা ব্রিকসের সদস্য তাই এলডিসির অনুরূপ সুবিধা পাবে, সুবিধা বলতে এটাই।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘ব্রিকস কোনো অর্থনৈতিক জোট নয়, এটি মূলত রাজনৈতিক ফোরাম। এ ফোরামে ভূরাজনীতিই বেশি প্রাধান্য পায়, অর্থনৈতিক বিষয়গুলো নয়। সেজন্য এ জোটে যোগ দিলে আমাদের অর্থনৈতিক কোনো সুবিধা হবে কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে ব্রিকসের সদস্য হলে তাদের নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকে যদি সদস্যদের জন্য কোনো আর্থিক জানালা থাকে, তাহলে সেখান থেকে আমরা তুলনামূলকভাবে সহজ শর্তে ঋণ পেতে পারি।’

ইতোমধ্যে চীন বাংলাদেশকে এ জোটে যোগ দেওয়ার বিষয়ে স্বাগত জানিয়েছে। গত ২০ জুন ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে চীনের অবস্থান প্রকাশ করেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং। নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিকস প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিশ্বের দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনীতি ও উন্নয়নের ক্ষেত্র হিসাবে ব্রিকস গুরুত্বপূর্ণ প্লাটফর্ম। বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার সংস্কার কাজকে জোরেশোরে এগিয়ে নিতে চায় ব্রিকস। এ জোট তাদের প্রতিনিধিত্ব আরও বাড়াতে চায় এবং দ্রুতবর্ধনশীল অর্থনৈতিক দেশগুলোর কথা তুলে ধরতে চায়। ব্রিকসের সম্প্রসারণকে চীন অভিনন্দন জানায় এবং ব্রিকস পরিবারে সমমনা দেশগুলোকে অংশীদার হিসাবে গ্রহণ করতে প্রস্তুত।’ ব্রিকস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পালটা জোট হওয়ায় এ জোটে বাংলাদেশের যোগদানের বিষয়ে কিছু সমালোচনা পরিলক্ষিত হচ্ছে। গত ২৫ জুন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, ‘ব্রিকসে যোগদান ব্যাকআপ প্ল্যানের কোনো অংশ নয়। আমরা মনে করি, এ ধরনের শক্তিশালী জোটে যোগ দিলে আমাদের লক্ষ্য ত্বরান্বিত হবে। আর এ জোটে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্য মার্কিন ডলারকে বাইপাস করতে নয়।’

আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রভাবসহ উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত ও চীন প্রথমে ‘ব্রিক’ নামে একটি রাষ্ট্রীয় জোট গঠন করে। মূলত ব্রিক ধারণাটির প্রবর্তক ছিলেন বিনিয়োগ ব্যাংক দ্য গোল্ডম্যান সাচের অর্থনীতিবিদ জিম ও’নেইল। ২০০১ সালের নভেম্বরে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে তিনি বলেছিলেন, ‘২০৫০ সাল নাগাদ এ চারটি দেশই অর্থনীতিতে প্রাধান্য দেখাবে। কারণ এ চার দেশের অর্থনীতি দ্রুতবর্ধনশীল, তাদের শ্রম সস্তা, জনমিতি অনুকূলে এবং ব্যবহার করার মতো প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ রয়েছে।’ ২০১০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা এ জোটে যোগ দিলে এর নতুন নাম হয় ‘ব্রিকস’। ২০০৬ সালে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন চলাকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন প্রথম জোট গড়ার আগ্রহ জানান। ওই বছরের ২০ সেপ্টেম্বর পাঁচ দেশের মন্ত্রীরা এ নিয়ে প্রথম বৈঠকে বসেন এবং ২০০৮ সালে রাশিয়ায় প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই বছর জাপানে হওয়া জি-এইট সম্মেলনে পুতিন বাকি দেশগুলোর সরকারপ্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ২০০৯ সালের ১৬ জুন রাশিয়ায় প্রথম সম্মেলনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ব্রিকসের যাত্রা শুরু হয়।

বৈচিত্র্য ও ভিন্নতা সত্ত্বেও ব্রিকস বর্তমানে পশ্চিমা উন্নত অর্থনীতির দেশগুলোর বাইরে একটি শক্তিশালী জোটে পরিণত হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ২৮ শতাংশ ভূখণ্ডজুড়ে এর ব্যাপ্তি, যেখানে বিশ্বের ৪০-৪৫ শতাংশ মানুষের বসবাস। ব্রিকসভুক্ত দেশগুলো সম্মিলিতভাবে বিশ্বের ২৫ শতাংশ জ্বালানি তেল ও ইস্পাত তৈরি, ৫০ শতাংশ আকরিক লোহা উৎপাদন করে থাকে। কৃষিক্ষেত্রে বিশ্বের ৪০ শতাংশ ভুট্টা এবং ৪৬ শতাংশ গম এ জোটভুক্ত দেশগুলোতে উৎপন্ন হয়। বিশ্ব বাণিজ্যে তাদের অবদান ১৮ শতাংশ। বিশ্বের সাত ধনী দেশের ফোরাম জি-সেভেনভুক্ত দেশগুলোর বৈশ্বিক জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) ৩০ শতাংশের বিপরীতে ব্রিকসের দেশগুলোর দখলে আছে সাড়ে ৩১ শতাংশ। একটি প্রক্ষেপণে অনুমান করা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে ব্রিকস দেশগুলো বৈশ্বিক জিডিপিতে ৫০ শতাংশের বেশি অবদান রাখবে।

প্রস্তাবিত জোটের প্রসার এ প্রবণতাকে আরও ত্বরান্বিত করবে। এরই মধ্যে দেশগুলো বিশ্ব দরবারে তাদের প্রভাব ও উপস্থিতির জানান দিতে সক্ষম হয়েছে। এটি অনস্বীকার্য যে, ব্রিকস সদস্য দেশগুলোর সম্পদ ও ক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া নতুন দেশগুলোর ব্রিকসে যোগদানের মধ্য দিয়ে একটি সম্ভাব্য নতুন মুদ্রা চালু হলে এ জোটের প্রভাব আরও বেড়ে যাবে এবং ডলারের নির্ভরতা কমবে। পক্ষান্তরে অর্থনৈতিক স্বাধীনতাকামী দেশগুলোর জন্য এ জোট একটি অর্থনৈতিক শক্তি হিসাবে কাজ করবে।

এ জোটের উদ্যোগে ২০১৫ সালের ২১ জুলাই যাত্রা করে নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)। এরপর ২০২১ সালে বাংলাদেশ, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও উরুগুয়েকে নতুন সদস্যপদ দিয়ে মোট সদস্য সংখ্যা ৮-এ নিয়ে আসে। পরবর্তীকালে আরও তিনটি দেশ আর্জেন্টিনা, সৌদি আরব ও জিম্বাবুয়েকে নতুন সদস্য হিসাবে অনুমোদন দেওয়া হয়। সম্প্রতি ব্যাংকটি পর্যায়ক্রমে মার্কিন ডলার থেকে সরে আসছে বলে ঘোষণা দিয়েছে এনডিবির নতুন প্রধান দিলমা রুসেফ। সদস্য দেশগুলোকে দেওয়া ঋণের অন্তত ৩০ শতাংশ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ডলারের ওপর ব্রিকসের নির্ভরতা হ্রাস এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে মুদ্রার বিনিময় হারের ওঠানামার নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা করা। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের মার্চ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আগ্রাসীভাবে সুদের হার বাড়িয়ে দেওয়ায় বাংলাদেশসহ উন্নয়নশীল অনেক দেশের মুদ্রার ওপর নিুমুখী চাপ পড়ে। মুদ্রার অবমূল্যায়নের কারণে পণ্য, কাঁচামাল আমদানি ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধও বাধাপ্রাপ্ত ও ব্যয়বহুল হয়। ফলে দেশগুলো থেকে পুঁজি চলে যাচ্ছে। এ বাস্তবতার নিরিখে এনডিবির বার্ষিক সভায় বৈশ্বিক মুদ্রাব্যবস্থা বহুমুখীকরণের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

প্রতিষ্ঠাতা সদস্য দেশগুলোর কার্যকর পদক্ষেপে ব্রিকস ব্লক সক্রিয়ভাবে সম্প্রসারিত হচ্ছে। মার্কিন ডলারের আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করতে নতুন একটি অর্থনৈতিক কাঠামো প্রতিষ্ঠাকল্পে জোটটি আগামীতে আরও কয়েকটি দেশকে সদস্য করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, সব মিলে অন্তত ২০টি দেশ ব্রিকস জোটে যোগ দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে বেশকিছু দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদনও জানিয়ে রেখেছে। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইরান, মিসর, আর্জেন্টিনা, মেক্সিকো, ইন্দোনেশিয়া, কম্বোডিয়া, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, নাইজেরিয়া ইত্যাদি। রাশিয়ার ডেপুটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই রিয়াবকভ বার্তা সংস্থা তাসকে বলেছেন, ‘ব্রিকসে যোগ দিতে ইচ্ছুক প্রার্থীর সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এর মধ্য দিয়ে প্রতীয়মান হচ্ছে, ব্রিকস বিস্তৃত হচ্ছে এবং সংগঠন হিসাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্যভাবে প্রসার পাচ্ছে। ব্রিকস এমন কিছু দেশের গ্রুপ, যারা নেতা অনুসারী নীতিতে চলে না; বরং এর অংশীদাররা ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি গঠনমূলক এজেন্ডা তৈরি করে।’

ব্রিকস জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ সম্পর্কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন। সুইজারল্যান্ড সফর সম্পর্কে অবহিতকরণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ব্রিকসে আমরা যোগ দেব এই কারণে যে, ব্রিকস যখন জোট করার প্রস্তুতি নেয়, তখন থেকেই আমরা এর সঙ্গে ছিলাম। কিন্তু আমরা ফাউন্ডার মেম্বার হতে পারিনি। তাই এখন আমরা এর মেম্বার হতে চাই। আমরা চাচ্ছি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমরা যেন এককভাবে কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে না পড়ি। অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যেন আমাদের অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ থাকে। আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো যেন আমরা তাদের কাছ থেকে কিনতে পারি। এসব বিষয় বিবেচনা করেই আমরা ব্রিকসে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

অদম্য অগ্রগতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উচ্চ মর্যাদায় সমাসীন হয়েছে। কুচক্রী মহলের গাত্রদাহ উপেক্ষা করে দেশ উদীয়মান ব্যাঘ্রের ভূমিকায় অবতীর্ণ। দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে জনগণ দেশের বৃহত্তর স্বার্থকে প্রাধান্য দেবে-ব্রিকসে যোগদানের যাত্রাপথে এটিই কাম্য।

ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী : শিক্ষাবিদ; সাবেক উপাচার্য, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম