শতফুল ফুটতে দাও
ফ্যাসিবাদের স্বরূপ সন্ধানে
ড. মাহবুব উল্লাহ্
প্রকাশ: ১১ মে ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রয়াত অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ১৯৭২-এ গৃহীত বাংলাদেশ সংবিধানের বাংলা ভার্সন তৈরি করেছিলেন।
এ কাজের জন্য অধিকতর যোগ্য কোনো মানুষ হয়তো সে সময় ছিল না। তিনি নিরেট বাংলা লিখতেন, যার মধ্যে কোনো মেদ ছিল না।
তা সত্ত্বেও তার গদ্য ছিল সুখপাঠ্য। বাংলাদেশের সংবিধানসংক্রান্ত এক ঘরোয়া বৈঠকে তিনি আমাকে বলেছিলেন, সংবিধান যখন রচিত হয় তখন প্রশ্ন উঠেছিল বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত কী হবে?
পুরো মুক্তিযুদ্ধকালে রবীন্দ্রনাথের লেখা আমার সোনার বাংলা গানটি জাতীয় সংগীত হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। তখন এই গানটি আইনের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের সাময়িক জাতীয় সংগীত হিসাবে গাওয়া হতো।
আরেকটি গান বহুলভাবে গীত হয়েছিল। গানটি হলো দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের, ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদেরই বসুন্ধরা, তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা।
সংবিধান প্রণয়নকালে ডিএল রায়ের এ গানটি জাতীয় সংগীত হিসাবে বিবেচনা করা যায় কিনা, কথা উঠেছিল। নিজ মাতৃভূমিকে সবাই ভালোবাসে। কিন্তু এ ভালোবাসা যদি অন্যসব দেশের তুলনায় শ্রেষ্ঠত্বের দাবিতে মুখর হয়, তাহলে তার মধ্য দিয়ে জাত্যাভিমান উচ্চকিত হয়ে ওঠে। এ জাত্যাভিমান বা উগ্র জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনা ফ্যাসিবাদের উত্থানে সহায়ক হতে পারে। এ যুক্তিতে তখন এই গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত রূপে গ্রহণ করা হয়নি। হিটলার যখন জার্মানিতে নাজিবাদকে রাষ্ট্রীয় আদর্শ হিসাবে পাকাপোক্ত করছিলেন, তখন তিনি দাবি করেছিলেন, জার্মানরা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ জাতি। তারা আর্র্য রক্তের উত্তরাধিকারী। এ ধ্বনি তুলে হিটলার চেয়েছিলেন খাঁটি জার্মানরা শাসন করবে বিশ্বের তাবৎ অ-জার্মানদের। নাজিবাদী উগ্র জার্মান জাতীয়তাবাদ হিটলারের দৃষ্টিশক্তির ওপর একটি আচ্ছাদন পরিয়ে দিয়েছিল, যার ফলে হিটলার বুঝতে পারেননি এর পরিণাম কী হবে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে হিটলারের অভ্যুদয় ঘটেছিল এক অপ্রতিরোধ্য নেতা হিসাবে। কিন্তু হিটলার এ ধারাটি টিকিয়ে রাখতে পারেননি। তিনি গণহত্যায় মেতে উঠেছিলেন। পরিণতিতে নিজ বাংকারে তার প্রণয়নীসহ আত্মহত্যা করেন। হিটলারের জাত্যাভিমান এতই প্রবল ছিল যে, তিনি মিত্রশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ না করে আত্মহননের পথই বেছে নিয়েছিলেন।
সমকালীন বাংলাদেশের রাজনীতিতে তকমা হিসাবে ফ্যাসিবাদ বহুলভাবে উচ্চারিত হয়। ফ্যাসিবাদ আসলে কী, তা কারও পক্ষে বীজগণিতের সমীকরণের মতো মিলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। ফ্যাসিবাদের রয়েছে বহুল রূপ, বহুল মূর্তি। আজকাল ফ্যাসিবাদ নিয়ে একটি বিতর্ক চলছে। এ সম্পর্কে একটি মত হলো, নিজেদের অজ্ঞাতে ফ্যাসিবাদীরা আধুনিক বিশ্ব গড়ে তুলতে সাহায্য করে। অপর মতটি হলো ফ্যাসিবাদ একটি ব্যর্থ প্রয়াস। এ প্রয়াসটি হলো ঐতিহ্যবাহী সমাজের পুনঃস্থাপন। এই বিচারে কুটিরশিল্পী, কৃষক এবং অভিজাত জমিদাররা ফ্যাসিবাদীদের সমর্থন পায়। কারণ সমাজের এ গোষ্ঠীগুলো অতীত থেকে পাওয়া জীবনযাপনের মধ্যে এক ধরনের রোমান্টিসিজম দেখতে পায়। এদের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই উচ্চারিত হয়, সেই রামও নেই, সেই অযোধ্যাও নেই। এ কারণেই হয়তো ভারতের হিন্দুত্ববাদীরা রাম জন্মভূমি উদ্ধারের প্রকল্পে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। অন্য ধর্মের অনুসারীদের ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে বাধ্য করছে তারা। এভাবেই অতীত দিনের কল্পস্বর্গে পৌঁছানোর জন্য তারা বলপ্রয়োগও করে। কিছু ফ্যাসিবাদী পলিসি আছে, যেগুলো আধুনিকতাবিরোধী; যেমন, জমির কাছে ফিরে যাও, নগর সভ্যতার বিস্তার রোধ করো এবং কৃষিভিত্তিক জীবনকে রোমান্টিক দৃষ্টিতে দেখো। ফ্যাসিবাদকে আধুনিক হিসাবেও বিবেচনা করা যায়। যেমন আধুনিক সামরিক প্রযুক্তিকে উন্নত করা, বৃহৎ ব্যবসায়ী কোম্পানিগুলোর প্রতি পক্ষপাতিত্ব, যে পক্ষপাতিত্বের ফলে ইতালি ও জার্মানিতে সামরিক কন্ট্রাক্টগুলো সেখানকার বৃহৎ পুঁজিপতিরাই পেত। নারীদের ফ্যাসিবাদী আন্দোলনে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছিল। খেলাধুলারও বাণিজ্যিকীকরণ করা হয়। এসব আধুনিকতারই উপাদান। এ ধরনের দৃষ্টান্ত দিয়ে ফ্যাসিবাদকে বোঝানো যায় না। আরও কিছু রয়েছে এর গভীরে।
আসল সমস্যা হলো, আধুনিকতা বলতে আমরা কী বুঝি। দুই শতাব্দী জুড়ে এ ধরনের উন্নয়ন সত্ত্বেও বর্ণবাদ পাশ্চাত্য জগতের খুব গভীরে নিহিত আছে। বর্ণবাদ নিঃসন্দেহে আধুনিক কোনো বিষয় নয়। যেমন আধুনিক নয় সাম্প্রদায়িকতা। সমাজ অপ্রতিরোধ্য গতিতে উদারনৈতিক গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, যুক্তিগ্রাহ্যতা এবং শিল্পসমাজের বিকাশ অনেক সময় স্বাভাবিকভাবে আশা করা যায় না। ইতিহাস কোন পথে এগোবে, তাও অনেক সময় বোঝা যায় না। অন্তরদৃষ্টি না থাকার ফলে অনেকে ফ্যাসিবাদের মধ্যে আধুনিকতা খুঁজে পান যা তাদের দৃষ্টিতে প্রগতিশীলতা। যদি কোনো পণ্ডিত ব্যক্তি মনে করেন, শ্রমিকদের সামাজিক চলমানতা থাকতে হবে এবং এ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় একজন শ্রমিক যদি প্রশাসনিক পদে উন্নতি লাভ করতে পারেন, তাহলে এটাকে ফ্যাসিবাদের মধ্যে আধুনিকতা হিসাবে দেখতে হবে। পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ বর্ণবাদকে নেতিবাচকভাবে দেখে থাকেন। সুতরাং তারা বর্ণবাদকে আধুনিকতাবিরোধী বলে বিবেচনা করেন।
আমরা যদি আধুনিকতাকে বিনা প্রশ্নে গ্রহণ করি, তাহলে তা হবে খুবই বিপজ্জনক। ইতিহাসবিদ মার্টিন ব্রোসজাট জার্মানির ইতিহাস বিতর্কে ১৯৮৫ সালে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি তার সহকর্মীদের নাজিবাদ সম্পর্কে যথার্থ ইতিহাসভিত্তিক প্রশ্ন তুলতে উদ্বুদ্ধ করেন। এ মতবাদকে নৈতিকভাবে নিন্দা করাই যথেষ্ট নয়। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি যেমন বাস্তব প্রস্তাব দিয়েছিলেন, সেগুলো বুঝতে হলে দেখতে হবে জার্মান সমাজে নাজিবাদ কীভাবে আধুনিকতার পথে অগ্রসর হতে উৎসাহিত করেছে অথবা বাধা দিয়েছে। ইতিহাসবিদ ব্রোসজাটের যুক্তি হলো, নাজি শ্রমিক ফ্রন্টের পলিসিগুলো আধুনিক জার্মানির সামাজিক পলিসি নির্ধারণের পথকে সহজতর করেছে।
এভাবে ইতিহাসের বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে, এটা হবে ইতিবাচকভাবে নাজিবাদকে দেখা। অন্যান্য ইতিহাসবিদ যুক্তি সহকারে বলতে চেয়েছেন, রবার্ট লে’র জার্মান লেবার ফ্রন্ট একটি আধুনিকতর জার্মানি গড়ে তুলতে চেয়েছেন। এই আধুনিক জার্মানিতে পদোন্নতি ও পদোসোপান নির্ভর করত অত্যন্ত কড়াকড়িভাবে মেধার ওপর। মেধাভিত্তিক সমাজ আধুনিক সমাজ হিসাবে বিবেচিত হলেও এ কথা ভুলে যাওয়া ঠিক হবে না যে, তখনকার জার্মানিতে নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোসোপান অর্জনের পথে প্রধান বাধা ছিল জেন্ডার এবং রেস। এজন্যই আধুনিকভাবে একটি সঠিক সংজ্ঞা থাকতে হবে। অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন, ফ্যাসিবাদ কি বিদ্যমান সমাজ কাঠামোকে বদলে দিয়েছে? তারা দেখতে চেয়েছেন নারী ও শ্রমিকদের অবস্থান কোথায়। এ রকম তরল ধারণা অনুযায়ী আধুনিকতা মানে পরিবর্তন। এদিক থেকে কিছু মূল্যবান প্রশ্ন তোলা যায়। এ থেকে আমরা বুঝতে পারি না পরিবর্তন হলেই আধুনিকতা নিশ্চিত হয় কিনা।
আধুনিকতাকে যেহেতু সহজভাবে বোঝা যায় না, সেক্ষেত্রে বিকল্প পথ হতে পারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখতে হবে কীভাবে ফ্যাসিস্টরা আধুনিকতাকে সংজ্ঞায়িত করেছে। যেমন তারা জাতীয়তাকে কোন দৃষ্টিতে দেখেছে অথবা তারা শ্রেণিস্বার্থকে কীভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছে। এ থেকে দেখা যায়, আধুনিকতার অনেক রকম উপায় ও পথ আছে। গত ২ শতাব্দীতে যেভাবে ওলট-পালটের ঘটনা ঘটেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে যেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে নাজিবাদ ছিল অনেক পদ্ধতির মধ্যে একটি পথ।
ফ্যাসিস্টদের বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল? তারা আংশিকভাবে উদ্বুদ্ধ হয়েছে সমকালীনভাবে আধুনিকতা ও বিজ্ঞানভিত্তিক কী দৃষ্টিভঙ্গি প্রচলিত ছিল তার দ্বারা। তারা সামাজিক ডারউইনবাদ এবং এর ফরাসি বিকল্প লামার্কিয়ানিজম, যৌথ-মনস্তত্ত্ব, সামাজিক প্রাণিবিদ্যা, জনসমাগমের বিজ্ঞান এবং পৌরাণিক কাহিনি থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছে। জাতীয় চরিত্র অথবা একটি জাতিগোষ্ঠীর চরিত্র সম্পর্কে ধারণা দিতে গিয়ে তারা এসব ‘বিজ্ঞানসম্মত’ অনুমানের ওপর নির্ভর করেছে। তারা বিশ্বাস করতো জাতিকে অবশ্যই অভ্যন্তরীণভাবে শক্তিশালী এবং সমজাতীয় হতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বলা হচ্ছে, সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করতে হবে। অন্যথায় বাংলাদেশের সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে এদের কোনো স্থান থাকবে না। সমস্যা হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সব মানুষ একভাবে দেখে না। একজন কৃষকের চোখে এ চেতনার অর্থ কী? একজন শ্রমিকের চোখে এ চেতনার অর্থ কী? একজন নারী এ চেতনাকে কীভাবে দেখে? গণতান্ত্রিক ও সব মতের প্রতি শ্রদ্ধাবান দৃষ্টিভঙ্গি হলো, নানাজনের চাহিদা নিয়ে একটি মুক্ত গণতান্ত্রিক ভাবধারা বিনিময়ের সমাজ গঠন। স্বাধীনতার ঘোষণা দলিলে বলা হয়েছিল-সাম্য, সামাজিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার হবে স্বাধীন বাংলাদেশের আদর্শ। এ তিনটি প্রপঞ্চ বাংলাদেশের সব ধরনের মানুষের আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করে। সুতরাং চেতনাকে অজুহাত করে কারও সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া জাতির জন্য বয়ে আনবে বড় ধরনের বিপর্যয়।
বর্তমান যুগে ফ্যাসিবাদের সম্ভাবনাগুলো কী? ইতিহাস থেকে আমরা যদি কোনো শিক্ষা পেয়ে থাকি, আমাদের সাফ কথা বলে দেয়-ফ্যাসিবাদের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। বর্তমান বিশ্বে ফ্যাসিবাদী চিন্তা-চেতনার দ্বারা উদ্বুদ্ধ কোনো রাজনৈতিক গোষ্ঠী উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করতে পারেনি। এ ব্যর্থতার ব্যাখ্যা কী? ফ্যাসিবাদ মানুষের মনে ভীতি সৃষ্টি করে। সে কারণে ফ্যাসিবাদ ব্যর্থ হচ্ছে, তা ব্যাখ্যার জন্য যথেষ্ট নয়। দুই বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে ফ্যাসিবাদ যে রূপ পরিগ্রহ করেছিল, তার মধ্যে ছিল ইউজেনিক মতবাদ। এ মতবাদের অর্থ হলো বংশগতির দ্বারাই মানুষের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ধারিত হয়। ফ্যাসিবাদী মতবাদ অনুযায়ী ধারণা করা হতো, একটি দেশের সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর মধ্যে জন্মহার বেশি হয় এবং তারা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে। তরুণরা ইউনিফর্ম পরতে পছন্দ করে এবং ইউনিফর্ম পরে মার্চ করতে চায়। এ ধরনের প্রবণতা বিশ্বের অনেক দেশেই আছে। তবে এসব প্রবণতা মূলধারা হয়ে উঠতে পারেনি।
পাশ্চাত্য দেশগুলোতে নব্য নাজিবাদী আন্দোলন রয়েছে। পাশ্চাত্য দেশগুলোতে এখনো ফ্যাসিবাদ একটি বিদ্যমান প্রবণতা মাত্র। রাজনৈতিক বাস্তবতা হলো, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ফ্যাসিবাদ অদূর ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ক্ষমতায় পরিবৃত হতে সক্ষম হবে না। এখন এসব দেশে জাতীয় গণতুষ্টিবাদ নিরেট ফ্যাসিবাদের তুলনায় কিছুটা হলেও গ্রহণযোগ্য। ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ায় অতি দক্ষিণপন্থিদের অভ্যুত্থান ঘটেছে। পাশ্চাত্যে বর্ণবৈষম্যবাদের বিস্তৃতি, ইসলামের ওপর দানবিকতার তকমা লাগানো, বিশ্বায়নের ফলে জাতিরাষ্ট্র মুছে যাবে, ক্ষুদ্র অভিবাসনকারীরা একদিন তথাকথিত জাতীয় পরিচয়কে মুছে ফেলবে এবং রাজনীতিবিদরা গোষ্ঠীগতভাবে দুর্নীতিবাজ-এসব ধারণাগুলো গণতন্ত্রের জন্য হুমকি। কিন্তু গণতন্ত্র এসব দেশে যত গভীরে প্রবেশ করেছে, তার ফলে উল্লেখিত বক্তব্যের ধ্বজাধারীরা কোনোরকম টেকসই সাফল্য অর্জন করবে, এমনটি হবে না।
ড. মাহ্বুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ