Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

শতফুল ফুটতে দাও

ফুলপরীকে নির্যাতনই হোক দুর্বৃত্তপনার শেষ ঘটনা

Icon

ড. মাহবুব উল্লাহ্

প্রকাশ: ০২ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ফুলপরীকে নির্যাতনই হোক দুর্বৃত্তপনার শেষ ঘটনা

নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলাদেশে উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বর্তমানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৯ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৮। বেসরকারি ১০৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। বর্তমানে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার। তাদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ ছাত্র এবং ৩১ শতাংশ ছাত্রী।

এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ও গবেষণায় নিয়োজিত শিক্ষকসংখ্যা ১৫ হাজার ৪০০। তাদের মধ্যে ফুলটাইম শিক্ষকের সংখ্যা ১২ হাজার। বেনবেইজের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-এ সরকারি সাধারণ কলেজের সংখ্যা ৫৫৭। বেসরকারি সাধারণ কলেজের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬৪।

সাধারণ সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৯টি, সাধারণ সরকারি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ৫টি। সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫, সরকারি ও বেসরকারি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৪, ভেটেরিনারি এবং প্রাণিবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৩ এবং টিচার্স ট্রেনিং কলেজ ১১৮টি। মেডিকেল কলেজের সংখ্যা ১১৩, ডেন্টাল কলেজ ৩৫ এবং ল কলেজের সংখ্যা ৮০। কলেজ পর্যায়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পাশ, অনার্স ও মাস্টার্স লেভেলে শিক্ষাদান করা হয়। উচ্চতর শিক্ষার এ কলেজগুলোর মান নিয়ে তীব্র সমালোচনা আছে। কার্যত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানে পাঠরত শিক্ষার্থীদের সংখ্যা অন্যান্য উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংখ্যার তুলনায় অনেক বেশি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্ত কলেজগুলোর সমস্যা হলো শিক্ষক ঘাটতি, গ্রন্থাগার এবং ল্যাবরেটরির অপ্রতুলতা। ক্ষেত্রবিশেষে ক্লাসরুমের স্বল্পতাও রয়েছে।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সন্তোষজনকভাবেই বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু সংখ্যার দিক থেকে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাবৃদ্ধি উচ্চশিক্ষার গুণগতমান আদৌ নিশ্চিত করে না। সাধারণভাবে উচ্চশিক্ষাসংক্রান্ত আন্তর্জাতিক রেটিং নিয়ে প্রতিবছর পৃথিবীর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানের যে অবস্থান নির্ণয় করা হয়, তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় মানের দিক থেকে ভালো করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর তালিকায় ১ হাজারটির মধ্যে স্থান পায় না। সংখ্যাগত দিক থেকে উচ্চশিক্ষার যে ধরনের প্রসার ঘটেছে, তার তুলনায় মানের বিকাশ প্রচণ্ডভাবে হতাশাজনক। অতি সম্প্রতি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর একটি দৈনিক বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এ সংখ্যায় পরিবেশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (NSU) সাবেক শিক্ষার্থী সাকিব রহমান বিশ্ববিদ্যালয়টির ইইই বিভাগ থেকে বের হয়ে ২০২১ সালে যোগ দেন গুগলের আইটি বিভাগে। একই বছর গুগলের অ্যাকাউন্ট স্ট্র্যাটেজিস পদে যোগ দেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির বিজনেস স্কুলের গ্র্যাজুয়েট মোহাম্মদ ফুয়াদ হাসান। গত বছর অ্যামাজনে যোগ দিয়েছেন ইস্ট-ওয়েস্টের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CAC) বিভাগের অ্যালামনাই জহিরুল ইসলাম। দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বিশ্বের সবচেয়ে জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোয় চাকরি পাওয়ার এমন খবর এখন প্রায়ই শোনা যায়। গ্র্যাজুয়েটদের এমন গুণগত কর্মসংস্থানে দেশ-বিদেশে বেশ ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে নর্থ সাউথ, ব্র্যাক ও ইস্ট ওয়েস্টের মতো সামনের সারির বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের। টিএইচই-এর প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৩-এ বাংলাদেশের ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম এসেছে। প্রথবারের মতো টিএইচই র‌্যাংকিংয়ে জায়গা পেয়ে একই অর্জন করা শতবর্ষী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশসেরার স্থানে ভাগ বসিয়েছে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৩-এ বাংলাদেশ থেকে ৪টি বিশ্ববিদ্যালয় জায়গা পায়, যার দুটিই বেসরকারি। কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০২৩-এ বাংলাদেশি ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পায়। এর মধ্যে ৯টিই বেসরকারি খাতের। তবে এ সাফল্য কতটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এবং কতটা শিক্ষার্থীবিশেষের, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। দেখা যাবে, এ শিক্ষার্থীরা এতই মেধাবী যে, বিশ্বের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা একই পর্যায়ের সাফল্য দেখাতে পারে।

কোনো জাতিকে ধ্বংস করতে হলে সে জাতির শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে হয়। মাঝেমধ্যে মনে হয়, বাংলাদেশের উত্থান ঠেকিয়ে দিতে কে বা কারা যেন পুতুলনাচের মতো নেপথ্যে থেকে সুতা টানছে। বিশেষ করে আমাদের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বেছে নেওয়া হয়েছে শিক্ষাধ্বংস প্রকল্প। এসব প্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির দুর্বৃত্তায়নের ফলে শিক্ষার পরিবেশ মারাত্মকভাবে কলুষিত হয়ে উঠছে। বুয়েট ইঞ্জিনিয়ারিং ও টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে একসময় বেশ নাম করেছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবরার ফাহাদকে নদীর পানি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে যেভাবে টর্চার সেলে নিয়ে মারধর করতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত মেরে ফেলা হয়, এমন কাহিনি এর আগে কখনো ঘটেনি। আমরা জানি, বুয়েটে পড়ার সুযোগ যারা পায়, তারা সবাই কমবেশি মেধাবী। আবরার ফাহাদকে যারা নিপীড়ন করেছে, তারাও যে ছাত্র হিসাবে মেধাবী, তা ধরে নেওয়া যায়। কেন তারা আবরারকে পিটিয়ে মারল এবং নৃশংসতার চরম পর্যায়ে পৌঁছাল, এর ব্যাখ্যা কীভাবে করব? আবরার ফাহাদের জন্য আত্মীয় নয়, পরিচয় নেই-এমন অনেকে মনঃকষ্ট পেয়ে কেঁদেছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজন তার লেখা একটি কবিতা পোস্ট করেছিলেন, সেই কবিতা পড়ে আমিও অশ্রুসংবরণ করতে পারিনি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় একটি ছাত্রসংগঠন যে গেস্টরুম কালচার চালু করেছে, তাদের সদস্যরা সরাসরি রাষ্ট্রক্ষমতা পেলে বাংলাদেশে গ্যাস চেম্বারের মহড়া চালাবে না-এমন কথা কেউ কি বলতে পারবেন? কয়েক বছর আগে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে মফস্বল থেকে আসা এক ছাত্রকে শীতের রাতে কুয়াশার মধ্যে দাঁড় করিয়ে রেখে যে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছিল, এর ফলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ছেলেটি মারা যায়। এ ঘটনাও ছিল খুবই হৃদয়বিদারক। বলতে পারব না এ ঘটনাটির জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশন নেওয়া হয়েছিল কিনা।

গত কয়েকদিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনার সত্যতা পেয়েছে হল কর্তৃপক্ষ গঠিত তদন্ত কমিটি। দুর্ভাগা ছাত্রীটির নাম ফুলপরী। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ ঘটনায় জড়িত ৫ ছাত্রীকে হল থেকে বহিষ্কার করেছে হল প্রশাসন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি হল প্রশাসনের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীটিকে বিবস্ত্র করে ভিডিও করেছিল দুর্বৃত্তরা। যে মোবাইল ফোনে ভিডিও করা হয়, সেই মোবাইল ফোনটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সংবাদপত্রের বরাতে জানা যায়, হল থেকে বহিষ্কৃতরা হলের শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের তাবাস্সুম, একই বিভাগ ও বর্ষের মাওয়াবিয়া, আইন বিভাগের একই বর্ষের ইশরাত জাহান মিম ও ফাইন আর্টস বিভাগের একই বর্ষের হালিমা আক্তার ঊর্মি। এ পাঁচজন ছাত্রীর ছবি ছাপা হয়েছে একটি দৈনিকে। এদের ছবি দেখলে মনে হবে এরা অভিজাত পরিবারের সন্তান। তাদের বাবা-মা এদের যে নাম রেখেছেন, তা-ও আভিজাত্যের ইঙ্গিত দেয়। এ ধরনের মর্যাদাবান ছাত্রীরা কীভাবে এমন কাজে জড়িয়ে পড়ল, তা ভেবে কুল পাওয়া যায় না।

অভিযোগে জানা যায়, শেখ হাসিনা হলে একচেটিয়া আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করেন ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা। তার ক্ষমতার দাপটের ভয়ে তার নির্দেশমতো কাজ করেছেন বলে দাবি করেন অন্য অভিযুক্তরা। ঘটনায় জড়িতদের মধ্যে কয়েকজন জানিয়েছেন, প্রথম দিনে ফুলপরীর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেত্রী অন্তরার ঝামেলা হওয়ার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন তিনি। এরপরই অন্তরা সবাইকে নির্দেশ দেন, ‘ফুলপরীকে এমন অত্যাচার করবা, যাতে সে নিজেই হল থেকে বের হয়ে যায়। দরকার পড়লে মেরে গুম করে ফেলবা। এরপর যত প্রটেকশন লাগে আমি দেব।’

এছাড়া বিবস্ত্র ভিডিও ধারণে অভিযুক্ত হালিমা আক্তার ঊর্মির মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। ওই ফোনেই ভিডিও ধারণ করা হয়েছে। সন্দেহ, ফোনটি উদ্ধারের জন্য ব্যবস্থা নিতে প্রক্টর বরাবর পত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হল প্রশাসন। এদিকে একই ঘটনার তদন্তকার্য সম্পন্ন করেছে হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি। কমিটির সদস্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহাবুব আলম বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে পাঠানো হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের কপিও হাইকোর্ট বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও শাখা ছাত্রলীগের দ্বারা গঠিত কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাখা সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত। তিনি বলেন, প্রতিবেদন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে, এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। প্রতিবেদনের বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি আরাফাত।

একটি দৈনিকে পরিবেশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, গত ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র‌্যাগিং নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৪টি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন ও শাখা ছাত্রলীগ।

ন্যক্কারজনক এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের সক্রিয়তা প্রশংসনীয়। ইদানীংকালে দেখা যাচ্ছে, ব্যক্তিবিশেষের রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অথবা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সক্রিয় হচ্ছেন। আমরা অপেক্ষা করছি, দেখতে চাই-এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ধরনের ঘটনা শুধু ব্যক্তিবিশেষের জন্য বেদনাদায়ক নয়, বরং এমন ঘটনা এবং এর পুনরাবৃত্তি দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে মন্দ থেকে মন্দতর করে তুলছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, দুর্বৃত্তপনায় জড়িয়ে পড়া তরুণ-তরুণীদের মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষার মাধ্যমে জানা হোক কীভাবে তারা এমন গর্হিত কাজে জড়িয়ে পড়ল।

ড. মাহবুব উল্লাহ : শিক্ষাবিদ ও অর্থনীতিবিদ

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম