তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে
ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
‘সত্যের সন্ধানে নির্ভীক’ স্লোগান নিয়ে ২০০০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি যাত্রা শুরু করে দৈনিক যুগান্তর। দেখতে দেখতে পেরিয়ে গেছে দীর্ঘ ২৩টি বছর। আশায় আর আগ্রহে, অপেক্ষায় চেয়ে থাকি আগামীর পথচলায় যুগান্তরের ভূমিকা নিয়ে। বিগত দিনের মতো যুগান্তর চলবে তার লক্ষ্য নিয়ে এটা যেমন স্বাভাবিক, তেমনি সামনের দিনগুলোতে এই দেশ, দেশের মানুষ আর সুনির্দিষ্ট কিছু দায়বদ্ধতা নিয়ে নিশ্চয়ই পথ চলবে যুগান্তর।
সুনির্দিষ্ট দায়বদ্ধতার বিষয়টি উল্লেখ করলাম আমার নিজস্ব ভাবনা থেকে। আমার ভাবনায় প্রতিনিয়ত একটি বিষয় গুরুত্বের সঙ্গে চলে আসে, সেটা হলো আগামী প্রজন্ম। বর্তমানে বাংলাদেশে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুফল নিশ্চিত করতে এবং উন্নয়ন-অগ্রগতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে তরুণ প্রজন্ম এবং আগামী প্রজন্মকে লক্ষ্যদল হিসাবে গ্রহণ করার বিকল্প নেই। এই বিবেচনায় তরুণ প্রজন্মের মন ও মননকে দেশপ্রেমের চেতনায় জাগ্রত করতে প্রয়োজন নানামুখী প্রেরণা ও উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম।
তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আত্মত্যাগের মহিমা জাগ্রত করা অত্যন্ত গুরুত্ববহ। মূলত তরুণ প্রজন্মকে যথাযথ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে প্রয়োজন উল্লিখিত প্রেরণা এবং চেতনার বিকাশ ঘটানো, যা সম্ভব কেবল মূলধারার গণমাধ্যমের দ্বারা। যুগান্তর মূলধারার অন্যতম গণমাধ্যম হিসাবে এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, এটাই প্রত্যাশা।
যুগান্তর তরুণ প্রজন্মের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, অসাম্প্রদায়িক চেতনা, বিজ্ঞানমনস্কতা, মানবিক গুণাবলির বিকাশ, সমাজ সচেতনতাসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ আয়োজন করতে পারে নির্ধারিত পাতায়।
যুগান্তরের দুই যুগে পদার্পণের এই শুভলগ্নে আমার শুভকামনাসহ এই আবেদন থাকবে, বর্তমান তরুণ প্রজন্মকে যথাযথ দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে মহান মুক্তিযুদ্ধ-বঙ্গবন্ধু-স্বাধীনতার আবর্তে এগিয়ে যাবে যুগান্তর তাদের সুচিন্তিত ও সুনিদিষ্ট প্রকাশনার মধ্য দিয়ে।
অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন : উপাচার্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়