Logo
Logo
×

উপসম্পাদকীয়

নীতি দুর্নীতি অর্থনীতি

ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে

Icon

ড. আর এম দেবনাথ

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি হয়ে পড়েছে

ব্যাংক খাতে, বিশেষ করে সরকারি ব্যাংকে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ গত বছর ২৯ ডিসেম্বর একটি নীতিমালা জারি করেছে। খবরটির একটি শিরোনাম করা হয়েছে-‘ব্যাংকের পর্ষদে ইচ্ছেমতো নিয়োগের সুযোগ কমল।’ শিরোনাম দেখে আশান্বিত হয়ে খবরটি ভালো করে পড়লাম। ভাবলাম, সত্যি সত্যি যুগান্তকারী একটা কিছু করা হয়েছে। কিন্তু না, বেশকিছুটা হতাশই হলাম। হতাশ হলাম নীতিমালার মূল বিষয়গুলো পাঠ করে।

নীতিমালায় সরকারি ব্যাংকের পরিচালক হতে গেলে কী কী যোগ্যতা থাকতে হবে, কারা কারা পরিচালক হতে পারবেন এবং কারা পারবেন না, তা উল্লেখ করা হয়েছে। এসব পড়ে কিছুই বুঝলাম না। তবে একটা জিনিস বুঝলাম-এখন থেকে সরকারি ব্যাংকের পরিচালক ঠিক করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি কমিটি। এর প্রধান হবেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব। কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন থাকবেন, থাকবেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন প্রতিনিধি।

পরিচালকের তালিকা প্রস্তুত করে তা অনুমোদনের জন্য দেবেন মাননীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে। কিন্তু চেয়ারম্যান নিয়োগের অনুমোদন দেবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। দ্বিতীয় একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখলাম-এখন থেকে সরকারের সচিব পদমার্যাদার কেউ ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। এ দুটো বিষয় ছাড়া কারা কারা পরিচালক হতে পারবেন না, যোগ্যতা সম্পর্কে সে কথাও নীতিমালায় বলা হয়েছে।

দেখা যাচ্ছে, নীতিমালার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ‘কমিটি’, যারা পরিচালকের তালিকা তৈরি করবে। এটি পড়ে আমার কিছুটা খটকা লাগল। খটকা লাগার কারণ, মাননীয় অর্থমন্ত্রী অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর বলেছিলেন, তিনি নিজে ইন্টারভিউ নিয়ে সরকারি ব্যাংকের পরিচালক ঠিক করবেন। যতদূর মনে পড়ে, তিনি এ কথাই বলেছিলেন। তখন মনে হয়েছিল, যেনতেন প্রকারে আর কেউ সরকারি ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না।

কিন্তু বর্তমান নীতিমালা পাঠ করে মনে হচ্ছে, মন্ত্রী মহোদয় তার অবস্থান থেকে দূরে সরে এসেছেন। অথবা হতে পারে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কায়দা করে এক্ষেত্রে তাদের ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করলেন। যদি তা-ই হয়, তাহলে বিষয়টি আলোচনার দাবি রাখে। মন্ত্রী মহোদয় ইন্টারভিউ নিয়ে নিয়োগ দেবেন আর কমিটি পরিচালক বাছাই করবে-দুইয়ের মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। মন্ত্রী মহোদয়ের বিবেচনা হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির বিবেচনা, আর আমলাদের বিবেচনা হবে প্রশাসনিক/টেকনিক্যাল বিবেচনা। দুইয়ের ফলাফল ভিন্ন হতে বাধ্য।

কমিটি যদি করতেই হয়, তাহলে তা হতে পারত ‘সার্চ কমিটি’, যার প্রধান হতে পারতেন একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, ব্যাংকার, প্রশাসক ইত্যাদি। এটি বর্তমানে হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের ক্ষেত্রে। ‘সার্চ কমিটি’ যোগ্য ব্যক্তিদের সবকিছু বিবেচনা করে তারপর একটা তালিকা সরকারের কাছে দেয়। সরকার এ তালিকা থেকে ডেপুটি গভর্নর নিযুক্ত করে। এতে নিয়োগের বিষয়টি স্বচ্ছ হয় এবং এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও নির্ভরযোগ্যতা অনেক বেড়ে যায়। ডেপুটি গভর্নরের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য যদি ‘অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে’ সার্চ কমিটি হতে পারে, তাহলে ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার ক্ষেত্রে সার্চ কমিটি করতে বাধা কোথায়? সরকারি ব্যাংকের পরিচালকের পদ কোনোভাবেই ছোটখাটো বিষয় নয়।

১৯৮৪-৮৫ সালের দিকে যখন দেশে বেসরকারি ব্যাংক কাজ শুরু করে, তখন সরকার প্রতিটি প্রথম প্রজন্মের ব্যাংকে একজন করে তাদের প্রতিনিধি দেয় ‘বোর্ডের’ সদস্য হিসাবে। তারা সবাই ছিলেন তখনকার দিনের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার। এরপর পরিস্থিতি বদলায়। সর্বশেষ দেখা গেছে, সরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে সরকার অতিরিক্ত সচিবকে পাঠায় পরিচালক হিসাবে। অর্থাৎ বোর্ডের ‘স্ট্যাটাস’ বাড়ানো হয়। এ অবস্থায় বলাই যায়, অন্যান্য বোর্ড সদস্য যারা হবেন, তারাও তার সমকক্ষ কেউ হবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদটিও যতদূর জানি অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার। এসব বিচারে নিলে বলাই যায়, সার্চ কমিটির মাধ্যমে সরকারি ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হলে ভালো হতো এবং প্রক্রিয়াটি স্বচ্ছ এবং অধিকতর গ্রহণযোগ্য হতো।

দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, নীতিমালায় বলা হয়েছে, সরকারের সচিব অথবা সচিব পদমর্যাদার কেউ ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন না। উত্তম কথা। তবে এতে নতুনত্ব কী? স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারি ব্যাংকে কখনো কি সচিব অথবা সচিব পদমর্যাদার অফিসার পরিচালক ছিলেন? জানামতে ছিলেন না। অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা ব্যাংকের চেয়ারম্যান হয়েছেন। অন্তত সরকারের দুটি ব্যাংকে অবসরপ্রাপ্ত সচিবরা চেয়ারম্যান হয়েছেন। সদ্য সাবেক গভর্নর অতিরিক্ত সচিব থাকাকালীন একটি সরকারি ব্যাংকের পরিচালক ছিলেন। সিনিয়র সচিব হিসাবে অবসরে যাওয়ার পর তিনি দেশের সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন। এটাই দেখা যাচ্ছে।

সচিব পদমর্যাদার কেউ ব্যাংকের পরিচালক হননি। এ অবস্থায় বর্তমান নীতিমালার এই অংশটিতে নতুনত্ব কিছু নেই। এমনকি যোগ্যতা ও অযোগ্যতার বিষয়ে যা বলা হয়েছে, তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে ইতোমধ্যেই বলা হয়েছে। পরিচালকদের ব্যক্তিগত তথ্য, ঘোষণাপত্র, গোপনীয়তা রক্ষার ঘোষণাপত্র দাখিলের ব্যবস্থা একই আছে। এমনকি অযোগ্যতার বিষয়ে যা যা বলা হয়েছে, তা-ও বর্তমানে চালু বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে/আছে। অতএব এসব বিষয় নতুন কিছু নয়। নতুন হচ্ছে সরকারি কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের বিষয়টি।

এতক্ষণ কথার পৃষ্ঠে কথা বললাম। আসলে মূল বিষয় হচ্ছে, সরকারি ব্যাংকে ‘সুশাসন’। বস্তুত সরকারি ব্যাংক কেন, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতেও সরকার ‘সুশাসনের’ সন্ধান করছে বহুদিন ধরে। দেশবাসী যেমন তা চায়, তেমনি চায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও। সুশাসন কার্যত ঋণের ক্ষেত্রে। কর্মী-কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ‘সুশাসন’ চালু কিনা, তা কারও বিবেচনায় নেই। সব আলোচনাই ঋণকে নিয়ে, খেলাপি ঋণ নিয়ে। খেলাপিদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যাচ্ছে। বেনামি ঋণ, অনিয়মিত ঋণ বেড়ে যাচ্ছে।

প্রভাবশালীদের দৌরাত্ম্য ব্যাংকগুলোতে বেড়ে যাচ্ছে। শ্রেণিবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি আছে। প্রভিশনের সমস্যা আছে। এসব কারণে মিডিয়া সুশাসনের ব্যাপারে সোচ্চার। এটা এখন জরুরি বিষয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্যাংক খাতে সুশাসনের চেষ্টা চলছে বহুদিন থেকে। ঋণকে নিয়ন্ত্রণ করতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে ক্ষমতা দিতে, ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে সেই ১৯৯১ সালে চালু করা হয় নতুন আইন, যার নাম ‘ব্যাংক কোম্পানি আইন’।

এ আইনবলে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সর্বময় কর্তৃত্ব দেওয়া হয় সরকারি ব্যাংকসহ সব ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম ঠিক রাখতে। এ আইন পাশের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য শত শত ‘সার্কুলার’, নির্দেশনা, বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। আজ সেসবের কী অবস্থা? ১৯৯১ থেকে ২০২২ সাল-৩০-৩১ বছর পেরিয়ে গেছে। যতই দিন যাচ্ছে, সমস্যা ততই গভীর হয়েছে। কোনো সমাধানের সূত্র মিলছে না।

বেনামি ঋণ, অনিয়মিত ঋণ বাড়ছে। ঋণ কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে, কিছু ব্যবসায়ী হাউজের কাছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা ধরনের ছাড় দিয়ে শ্রেণিবিন্যাসিত ঋণের পরিমাণ কমিয়ে দেখাচ্ছে। প্রকৃত খেলাপি ঋণের চিত্র ভয়াবহ। এ প্রেক্ষাপটেই সর্বত্র দাবি উঠেছে সুশাসনের। তা শুধু সরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে নয়, বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রেও।

দৃশ্যত সবাই মনে করেন, সরকারি ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করতে দরকার একটা ‘সৎ’ বোর্ড, যেখানে দক্ষ, অভিজ্ঞ ও সৎ লোকরা ব্যাংকের পরিচালনায় থাকবেন। এ দাবি জোরদার হয়েছে অভিজ্ঞতার আলোকে। প্রথম অবস্থায় অনেকটা রাজনৈতিক বিবেচনায় পরিচালক নিয়োগ দেওয়ায় এবং পরে কিছু ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটায় সুশাসনের দাবি ওঠে। এখন দেখা যাচ্ছে, ‘রাজনৈতিক’ বিবেচনাপ্রসূত পরিচালক কম। এখন বোর্ডে প্রাধান্য সরকারি কর্মকর্তাদের, এমনকি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের। অতএব এখন বলা হচ্ছে, ‘কমিটি’ করে পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। আমার মনে হয় এসব অতি সরলীকৃত ধারণা। এ কথা বলার কারণ কি?

বলতে বাধ্য হচ্ছি, পরিস্থিতি এমন এক জায়গায় গিয়েছে, যেখানে পরিচালক নিয়োগে স্বচ্ছতা আনলেই সব সমস্যার সমাধান হবে না। কারণ, সরকারি ব্যাংকগুলো এখন দ্বৈত শাসনের কবলে পড়েছে। ব্যাংকগুলো নিয়ন্ত্রণের ভার বাংলাদেশ ব্যাংকের। এটি তাদের আইনি দায়িত্ব। কিন্তু এসব দায়িত্ব পালনে বাধা অর্থ মন্ত্রণালয়। মালিকানা সূত্রে সরকার পরিচালক নিযুক্ত করে, বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ করে। ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, মহাব্যবস্থাপক নিয়োগ সরকারের হাতে। তাদের চাকরির মেয়াদ, পদোন্নতি, পদায়ন সব সরকারের হাতে। যেহেতু সরকার মালিক, তাই তারা তা করতে পারে বলে দৃশ্যত মনে হয়।

কিন্তু কথা আছে। সরকারি ব্যাংকগুলো এখন ‘পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি’। বেসরকারি ব্যাংকগুলোও পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি। একই আইনে এগুলো চলার কথা। কিন্তু তা চলছে না। উদাহরণ দিই। সরকার মালিক হিসাবে বার্ষিক সাধারণ সভার মাধ্যমে পরিচালক নিয়োগ দিতে পারে। হয়ে গেল ব্যাংকের ‘বোর্ড’। বাকি কাজ ওই ‘বোর্ডে’রই করার কথা। চেয়ারম্যান নিয়োগ, এমডি নিয়োগ, ডিএমডি নিয়োগ, জিএম নিয়োগ বোর্ডেরই করার কথা কোম্পানি আইন অনুযায়ী। তাদের পদোন্নতি/পদায়ন বোর্ডেরই করার কথা। কিন্তু না, ‘বোর্ড’ এসব করে না।

ফলে সরকারেরই নিযুক্ত ‘বোর্ড’ বস্তুত খেলার বস্তু। সাক্ষী গোপাল আর কী! বদনাম তাদের, কাজ হয় অন্যত্র। ‘বিজনেস প্ল্যান’ বাংলাদেশ ব্যাংকেও দিতে হয়, আবার সরকারের কাছেও দিতে হয়। এ দ্বৈত শাসন একসময় ছিল না। কিন্তু এখন তা চরম পর্যায়ে। দ্বিতীয় সমস্যা অন্যত্র এবং তা আরও মারাত্মক।

দৃশ্যতই বোঝা যাচ্ছে, সরকারি ব্যাংক পরিচালনায় একটা ‘নেক্সাস’র সৃষ্টি হয়েছে। ‘বিগ বিজনেস’, চেয়ারম্যান ও এমডি, সিবিএ এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিলে এ ‘নেক্সাস’ তৈরি করেছে। পেছনে রয়েছে মন্ত্রণালয়। বাজারে গুজব-পরিচালক, প্রভাবশালী পরিচালক, চেয়ারম্যান ও এমডি নিয়োগ করে বিগ বিজনেস। সেখানে সরকারেরও কিছু করার থাকে না। এ কথার ভিত্তি কী? ভিত্তি আছে।

এমন উদাহরণ আছে যেখানে দেখা যায়, সরকারি ব্যাংকে চেয়ারম্যান সকালে একজন, বিকালে আরেকজন। একজন চেয়ারম্যান হলেন, কিন্তু দুই মাস পর চাকরিচ্যুত। এটা কী করে হয়? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এদের নিয়োগ দেন। এ অবস্থায় এসব ঘটে কী করে? এখানেই কথা। কারা এই শক্তিশালী গোষ্ঠী, যারা পর্দার আড়ালে থেকে এসব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এটা কি সরকারের ভেতর আরেক সরকার, যার কথা একবার বলেছিলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী মুহিত সাহেব?

আরও কথা আছে। চেয়ারম্যান, বিগ বিজনেস ও এমডি নেক্সাস ভাঙতে না পারলে ভালো ফলের আশা কম। অধিকন্তু রয়েছে ‘সিবিএ’। সিবিএ সরকারি ব্যাংকে কী করে, কীভাবে সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করে, সেসব কথা কিন্তু মিডিয়ায় নেই। সব আলোচনা বোর্ডকে নিয়ে। অথচ সিবিএ সরকারি ব্যাংক পরিচালনায় নেপথ্যে প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে। এসব বিবেচনায় না এনে শুধু পরিচালক নিয়োগ নিয়ন্ত্রণ করলে ভালো ফলের আশা কম।

ড. আর এম দেবনাথ : অর্থনীতি বিশ্লেষক; সাবেক শিক্ষক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম