
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:৪০ এএম

মো. বদরুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক, গভর্নমেন্ট সায়েন্স হাইস্কুল তেজগাঁও, ঢাকা
প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
গতি
১। সরণের একক কী? - মিটার।
২। দ্রুতি কী? - বস্তু একক সময়ে যে দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে দ্রুতি বলে।
৩। দ্রুতির একক কী? - মিটার/সেকেন্ড।
৪। দ্রুতির মাত্রা সমীকরণ লিখ।
- দ্রুতির মাত্রা সমীকরণ, [V]=[LM¯¹]
৫। ঋণাত্মক ত্বরণ কাকে বলে?
- গতিশীল কোনো বস্তুর সময়ের সঙ্গে বেগ হ্রাসের হারকে ঋণাত্মক ত্বরণ বলে।
৬। ত্বরণের মাত্রা লিখ।
- ত্বরণের মাত্রা, [a]=[LM¯²]
৭। সুষম ত্বরণের ক্ষেত্রে বেগ বনাম সময় লেখ এর প্রকৃতি কিরূপ হয়? - প্রকৃতি মূলবিন্দুগামী সরলরেখা।
৮। কখন কোনো বস্তুর বেগ শূন্য হয়?
- যখন বস্তুর সরণ না ঘটে।
৯। বেগ কোন ধরনের রাশি? - বেগ একটি ভেক্টর রাশি।
১০। অভিকর্ষজ ত্বরণের আদর্শ মান কত?
- 9.81 ms¯²
১১। পৃথিবী ও চাঁদের আকর্ষণকে কী বলা হয়?
- অভিকর্ষজ বল।
১২। g-এর আদর্শ মান কোথায় ধরা হয়?
- 45˚ অক্ষাংশে সমুদ্র সমতলে।
১৩। মন্দনের মাত্রা কী? - মন্দনের মাত্রা ML¯²
১৪। মন্দনের একক কী? - মন্দনের একক ms-¯²।
১৫। আপেল ও পৃথিবীর মধ্যকার আকর্ষণ বলকে কী বলে?
- অভিকর্ষজ বল বলে।
১৬। গতি কী?
- সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে পরিপার্শ্বের সাপেক্ষে কোনো বস্তুর অবস্থার পরিবর্তন ঘটলে তাকে গতি বলে।
১৭। পরম গতি কাকে বলে?
- পরম স্থিতিশীল প্রসঙ্গ বস্তুর সাপেক্ষে কোনো বস্তুর গতিকে পরম গতি বলে।
১৮। রাশি কাকে বলে?
- ভৌত জগতে পরিমাপযোগ্য সবকিছুকেই রাশি বলে।
১৯। স্কেলার রাশি কাকে কলে?
- যেসব ভৌত রাশিকে শুধু মান দ্বারা প্রকাশ করা যায় তাকে স্কেলার রাশি বলে।
২০। ভেক্টর রাশি কাকে বলে?
- যেসব ভৌত রাশিকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশের জন্য মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাকে ভেক্টর রাশি বলে।
২১। সরণ কাকে বলে?
-নির্দিষ্ট দিকে বস্তুর পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে বস্তুর অবস্থানের পরিবর্তনকে সরণ বলে।
২২। বেগ কাকে বলে?
- সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর সরণের হারকে বেগ বলে।
২৩। সুষম বেগ কী?
- যদি গতিশীল কোনো বস্তুর বেগের মান ও দিক অপরিবর্তিত থাকে তবে তাকে সুষম বেগ বলে।
২৪। অসম বেগ কী? - কোনো বস্তুর গতিকালে যদি তার বেগের মান ও দিক বা উভয়ের পরিবর্তন ঘটে তবে তাকে সেই বস্তুর অসম বেগ বলে।
২৫। ত্বরণ কাকে বলে? - সময়ের সঙ্গে বস্তুর বেগের পরিবর্তনের হারকে ত্বরণ বলে।
২৬। মন্দন কাকে বলে? - সময়ের সঙ্গে কোনো বস্তুর বেগ হ্রাসের হারকে মন্দন বলে।
২৭। ঘড়ির কাঁটার গতি কী রকম গতি? - পর্যাবৃত্ত গতি।
২৮। যে দৃঢ় বস্তুর সঙ্গে তুলনা করে অন্য বস্তুর অবস্থান নির্ণয় করা হয় তাকে কী বলে? - প্রসঙ্গ কাঠামো।
২৯। চলন্ত বাস কোন ধরনের বস্তু? - গতিশীল।
৩০। দুই বন্ধু চলন্ত ট্রেনে পাশাপাশি বসে থাকলে সময়ের পরিবর্তনে তাদের দূরত্ব কেমন হবে? - স্থির থাকবে।
৩১। একটি খুঁটির চারপাশে বৃত্তাকার পথে কোনো ব্যক্তি দৌড়ালে খুঁটির সাপেক্ষে বস্তুটি কিরূপ মনে হবে?
- গতিশীল।
৩২। রৈখিক গতিশীল বস্তু কোন পথে চলে?
- সরল পথে।
ভালো ফল পেতে কৃষিশিক্ষায় গুরুত্ব দাও
দেওয়ান সামছুর রহমান
সিনিয়র শিক্ষক, গোয়ালপাড়া হাইস্কুল, সোনারগাঁ
সুপ্রিয় এসএসসি পরীক্ষার্থীরা,
শুভেচ্ছা নিও। নতুন বছরে নতুন আলোয় আলোকিত হোক তোমাদের জীবন। সারা বছর পর্যাপ্ত পড়াশোনা শেষে আশা করি তোমরা তোমাদের প্রস্তুতির চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছ। সামনে যে কয়েকটি দিন পাওয়া যাবে তা সঠিকভাবে কাজে লাগাবে। বর্তমান রুটিন অনুযায়ী আগামী ২৪ এপ্রিল ২০২৫, বৃহস্পতিবার তোমাদের কৃষি শিক্ষা (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তবে ব্যবহারিক পরীক্ষা ১৫ মে ২০২৫ থেকে ২২ মে ২০২৫ মধ্যে কেন্দ্রের সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।
কৃষি শিক্ষা যদিও চতুর্থ বিষয় (ঐচ্ছিক) তবু এটি মূল বিষয় থেকে কোনোভাবেই কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ বর্তমানে প্রচলিত গ্রেডিং পদ্ধতিতে কোনো বিষয়ই গুরুত্বহীন নয়। বরং চতুর্থ বিষয়ে ভালো করতে পারলে সামগ্রিক ফলাফল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের সব পাবলিক পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়ের এ বাড়তি সুবিধাটা পাওয়া যাচ্ছে অর্থাৎ জিপিএ পয়েন্ট ৫ থেকে ২ পয়েন্ট বাদ দিয়ে অতিরিক্ত ৩ পয়েন্ট সর্বমোট পয়েন্টের সঙ্গে যোগ হবে এবং সর্বমোট পয়েন্টকে মোট বিষয় দিয়ে ভাগ করার ক্ষেত্রে কৃষি শিক্ষা চতুর্থ বিষয়টি বিষয় হিসাবে গণ্য হবে না। এ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হলেও ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে এ বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে ফেল হিসাবে গণ্য হবে।
কৃষি শিক্ষা নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যবহারিক বিষয়। ফলে পূর্ণমান ১০০-এর মধ্যে সৃজনশীলে ৫০ এবং নৈর্ব্যক্তিকে ২৫ নম্বর এবং ব্যবহারিকে ২৫ নম্বর। সৃজনশীল অংশে মোট ৮টি প্রশ্ন থাকবে এবং যে কোনো ৫টি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। প্রতিটি প্রশ্নের মান ১০। প্রতিটি প্রশ্নের মধ্যে অন্যান্য সব সৃজনশীল বিষয়ের মতো চারটি ভাগ থাকবে। ‘ক’ জ্ঞানমূলক মান-১, ‘খ’ অনুধাবনমূলক মান-২, ‘গ’ প্রয়োগমূলক মান-৩ এবং ‘ঘ’ উচ্চতর দক্ষতামূলক মান-৪। বহুনির্বাচনি অংশে ২৫টি প্রশ্ন থাকবে, প্রতিটি প্রশ্নেরই উত্তর করতে হবে এবং প্রত্যেক প্রশ্নের মান হবে ১। সময় মোট ৩ ঘণ্টা, সৃজনশীল অংশের জন্য ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট এবং বহুনির্বাচনি অংশের জন্য ২৫ মিনিট। বহুনির্বাচনি অংশের জন্য আলাদা কোনো উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে। কৃষিশিক্ষার বিষয় কোড-১৩৪।
এ বিষয়টিতে মোট অধ্যায় রয়েছে সাতটি। ১ম অধ্যায়- কৃষি প্রযুক্তি, ২য় অধ্যায়-কৃষি উপকরণ, ৩য় অধ্যায়- কৃষি ও জলবায়ু, ৪র্থ অধ্যায়- কৃষিজ উৎপাদন, ৫ম অধ্যায়- বনায়ন, ৬ষ্ঠ অধ্যায়- কৃষি সমবায়, ৭ম অধ্যায়- পারিবারিক খামার। যেহেতু ৮টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ফলে প্রতিটি অধ্যায় থেকেই প্রশ্ন পাওয়া যাবে। তবে, দ্বিতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম অধ্যায় থেকে একাধিক প্রশ্ন পাওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আর নৈর্ব্যক্তিক উত্তরের জন্য তো সবগুলো অধ্যায় অবশ্যই ভালোভাবে পড়তে হবে। উদ্দীপকগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ে, ভালোভাবে বুঝে সঠিকভাবে খাতায় উপস্থাপন করতে পারলে অবশ্যই পরীক্ষায় ভালো করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে খাতায় যতটা সম্ভব ঘষামাজা, কাটাছেঁড়া কম করবে এবং হাতের লেখাগুলো সুন্দর ও স্পষ্ট করার চেষ্টা করবে। প্রশ্ন হাতে পেয়ে সম্পূর্ণ প্রশ্নটা প্রথমে ভালোভাবে পড়ে নিবে, নং প্রশ্নগুলো সঠিকভাবে খাতায় লিখবে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০ মিনিট আগে পুরো খাতাটা ভালোভাবে আবার দেখে নিবে। আশা করি তোমরা অবশ্যই ভালো করবে।
পরীক্ষায় অবশ্যপালনীয় দিকগুলো-
* পরীক্ষা শুরুর ৩০ (ত্রিশ) মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
* প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
* শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবি-এর নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে প্রেরণ করবে।
* পরীক্ষার্থীরা তাদের নিজ নিজ উত্তরপত্রের OMR ফরমে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
* পরীক্ষার্র্র্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে পৃথকভাবে পাশ করতে হবে।
* প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
* কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোন ব্যক্তি/পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবে না।
* সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির জন্য একই উপস্থিতি পত্র ব্যবহার করতে হবে।
* পরীক্ষার ফল প্রকাশের ০৭ (সাত) দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে SMS-এর মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।