এসএসসি ২০২৫ পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি
বাংলা প্রথমপত্র * কৃষিশিক্ষা
বাংলা প্রথমপত্র
ড. সনজিত পাল
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
সিনিয়র শিক্ষক, সেন্ট গ্রেগরী হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীবাজার, ঢাকা
শিক্ষা ও মনুষ্যত্ব
-মোতাহের হোসেন চৌধুরী
অনুধাবন প্রশ্ন : [পূর্বে প্রকাশিত অংশের পর]
১০. অর্থসাধনাই জীবনসাধনা নয়- কেন বলা হয়েছে?
১১. ‘মানবজীবনে শিক্ষা সোনা ফলাতে পারবে না’- কেন?
১২. শিক্ষার সুফল হবে ব্যক্তিগত- কখন? ব্যাখ্যা কর।
১৩. লেখক অন্নচিন্তার নিগড় থেকে মুক্তি দেওয়ার চেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কেন?
১৪. ‘কারারুদ্ধ আহারতৃপ্ত মানুষের মূল্য কতটুকু’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৫. কারাগারকেই স্বর্গতুল্য মনে করে- কারা এবং কেন?
১৬. ‘অন্নবস্ত্রের প্রাচুর্যের চেয়েও মুক্তি বড়’- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৭. চিন্তার স্বাধীনতা/ বুদ্ধির স্বাধীনতা/ আত্মপ্রকাশের স্বাধীনতা- বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৮. ‘মানুষের অন্নবস্ত্রের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে’- কেন?
১৯. মনুষ্যত্বের সাধনা ব্যর্থ হতে পারে কীভাবে?
২০. মানব উন্নয়নে/ মনুষ্যত্ব অর্জনে সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থার অবদান বর্ণনা কর।
২১. ‘লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু কথাটা বুলিমাত্র নয়, সত্য’- বলতে কী বোঝান হয়েছে?
২২. মানুষের আত্মিক মৃত্যু কীভাবে ঘটে? বর্ণনা কর।
২৩. মানুষ লোভের ফাঁদে পা দিতে ভয় পায় কেন?
২৪. ‘মানুষ অনুভূতির জগতে ফতুর হয়ে পড়ে’- কীভাবে? বর্ণনা দাও।
২৫. ‘শিক্ষা তার বাইরের ব্যাপার, অন্তরের ব্যাপার হয়ে ওঠে নি’- ব্যাখ্যা কর।
সৃজনশীল প্রশ্নের দিকসমূহ
১. মনুষ্যত্ব অর্জনে শিক্ষার ভূমিকা।
২. জীবসত্তার বর্ণনা/ বৈশিষ্ট্য।
৩. মানবসত্তার বর্ণনা/ বৈশিষ্ট্য।
৪. আত্মকেন্দ্রিক/ স্বার্থপর মানুষের জীবনভাবনা এবং তাদের জীবনে অর্থের প্রভাব।
৫. মৌলিক চাহিদা পূরণ করার পর মনুষ্যত্বের দিকে ধাবিত হওয়ার পরামর্শ।
৬. শিক্ষার প্রয়োজনীয় কাজ (মৌলিক চাহিদা পূরণ) এবং অপ্রয়োজনীয় কাজ (দেশ ও জাতির কল্যাণে যুক্ত হওয়া)।
৭. মনুষ্যত্ব অর্জনের ক্ষেত্রে অর্থ সাধনাই জীবন সাধনা নয়- এ সত্যের উপলব্ধি।
৮. লোভের পরিণাম।
৯. মনুষ্যত্ব অর্জনে সুশৃঙ্খল সমাজের ভূমিকা।
১০. স্বার্থপর মানুষের জীবনভাবনা।
১১. যথার্থ শিক্ষিত মানুষের পরিচয়।
১২. মানুষের জীবনে শিক্ষার কাজ/ মূল্যবোধ সৃষ্টিতে শিক্ষার ভূমিকা।
মূলদিক : শিক্ষার মাধ্যমে ব্যক্তি জীবসত্তার চাহিদা পূরণ করেই কেবল মনুষ্যত্ব অর্জনের দিকে ধাবিত হওয়া যায়।
প্রবাস বন্ধু
-সৈয়দ মুজতবা আলী
সৈয়দ মুজতবা আলী (১৯০৪-১৯৭৪) বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে জার্মানির বন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে তিনি অধ্যাপনা করেছেন। তিনি নিজস্ব এক গদ্যশৈলীর নির্মাতা। বিভিন্ন ভাষায় ব্যুৎপত্তি ও অসাধারণ পাণ্ডিত্যের সংমিশ্রণে তিনি যে গদ্য রচনা করেছেন, তা খুবই রসগ্রাহী হয়ে উঠেছে। ‘প্রবাস বন্ধু’ সৈয়দ মুজতবা আলীর বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনি দেশে বিদেশে এর পঞ্চদশ অংশ থেকে নেওয়া। প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তানের ভূমি, পরিবেশ; সেখানকার মানুষ ও তাদের সহজ-সরল জীবনাচরণ, বিচিত্র খাদ্য ইত্যাদি হাস্যরসাত্মকভাবে এ রচনায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। লেখকের আফগানিস্তান ভ্রমণের আংশিক অভিজ্ঞতার পরিচয় আছে এখানে। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের সন্নিকটে খাজামোল্লা নামক গ্রামে বাসের সময় আবদুর রহমান নামের একজন তার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন। আফগান আবদুর রহমান চরিত্রের মধ্যে সরলতা, স্বদেশপ্রেম, অতিথিপরায়ণতা ফুটে উঠেছে। আবদুর রহমানের রান্না ও পরিবেশন করা খাবারের মধ্যে আফগানিস্তানের বিচিত্র ও সুস্বাদু খাদ্যবস্তুর পরিচয় পাওয়া যায়। আফগানিস্তানের প্রস্তরভূমি এবং একই সঙ্গে নিকট-প্রতিবেশী এ জনপদের বরফ-শীতল জলবায়ু আকর্ষণীয়। আবদুর রহমানের সরল আতিথেয়তায় কখনো লেখকের ধৈর্যচ্যুতি ঘটলেও শেষ অবধি তিনি একে গ্রহণ করেছেন শ্রদ্ধার সঙ্গে।
‘প্রবাস বন্ধু’ গল্পের যে দিকগুলো ভালো করে পড়তে হবে :
আফগানিস্তানে থাকাকালে সৈয়দ মুজতবা আলীর দেখাশোনা করেছে আবদুর রহমান। প্রবাস জীবনে লেখকের প্রতি আবদুর রহমানের আচরণ এ গল্পের প্রধান দিক। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কৃষি কলেজে শিক্ষক হিসেবে যোগদিয়েছেন লেখক। অচেনা শহরে তার দেখাশোনার জন্য কলেজের অধ্যক্ষ জিরার সাহেব আবদুর রহমানকে লেখকের দেখভালের কাজে যুক্ত করেন। লেখক আবদুর রহমানকে প্রথমে নরদানবের সঙ্গে তুলনা করেছেন। কাজ কর্মেও সে এ তুলনার পরিচয় দিয়েছে। তবে রান্নাকরে লেখককে খাওয়াতে আবদুর রহমান জাতিগত আফগানের পরিচয় দিয়েছে। দু’জন মানুষের জায়গায় দশ-বার জন মানুষের খাবার রান্না করা, একের পর এক খাদ্য এনে লেখককে খাওয়ানোর মাধ্যমে খুশি করার চেষ্টা লেখকের কাছে প্রথমে বিরক্তকর মনে হলেও শেষে তিনি মেনে নিয়েছেন। উত্তর আফগানিস্তানে বরফ পড়াকে কেন্দ্র করে সেখানকার প্রকৃতির যে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে তাতে আবদুর রহমানের দেশপ্রেম প্রকাশ পেয়েছে। এ গল্পটি পড়ার সময় যে দিকগুলো ভালো করে জানতে হবে- তা তুলে ধরা হলো। আফগানিস্তানের সামাজিক পরিবেশ, রাত্রিকালিন নিরাপত্তা, অফিসের বড় কর্তা বা বসের সামনে অধঃস্তন কর্মচারীদের যে আচরণ করা উচিত, আবদুর রহমানের শারীরিক গঠনের বর্ণনা, কেনাকাটা করতে গিয়ে একাই বোঝা বহনের কারণ, দু’জনের স্থলে দশ-বারজনের রান্না করার কারণ, একটার পর একটা খাবার (কয়টি ও কী কী খাবার) আনার কারণ, লেখকের প্রতি আবদুর রহমানের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের কারণ, কেন আবদুর রহমান লেখককে তার নিজের বাড়িতে যেতে বলে, সেখানকার আবহাওয়া ও জন-জীবন কেমন, কেন লেখক আবদুর রহমানের বাড়িতে যেতে চায়, আফগানিস্তানের ভূ-প্রকৃতির পরিচয়, আবদুর রহমানের সরলতা ও আনুগত্য মনোভাব।
(নানাদেশ, নানাজাতি, তাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি বিভিন্ন জনের নিকট বিভিন্ন রূপে ধরা দেয়। বাহিরের এ বস্তুসত্তাকে লেখক মানসরসে প্রত্যক্ষ করে তথ্য-সংবলিত যে গ্রন্থ প্রকাশ করেন, তাই ভ্রমণ সাহিত্য। এ জাতীয় গ্রন্থে বস্তুসত্তার প্রাধান্য থাকলেও এর মধ্যে লেখকের ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে।)
কৃষিশিক্ষা
দেওয়ান সামছুর রহমান
সিনিয়র শিক্ষক, গোয়ালপাড়া হাইস্কুল, সোনারগাঁ
কৃষি সমবায়
সৃজনশীল নৈর্ব্যক্তিক
১। সমবায় কাদের নিজস্ব পেশাগত সংগঠন?
ক. জেলেদের খ. কৃষকদের
গ. তাঁতিদের ঘ. শিক্ষকদের
২। পরিবেশবান্ধব কৃষি প্রযুক্তি কোনটি?
ক. বালাইনাশক ব্যবহার
খ. রাসায়নিক সার ব্যবহার
গ. শস্য পর্যায় অবলম্বন
ঘ. গুদামজাত করণের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার
৩। আধুনিক কৃষি-
ক. অনুন্নত খ. সহজলভ্য
গ. কম খরচ ঘ. ব্যয়বহুল
৪। কৃষি মূলধন সমবায়ের অপর নাম কী?
ক. সঞ্চয় সমবায় খ. উৎপাদন সমবায়
গ. ক্রেতা সমবায় ঘ. বিপণন সমবায়
৫। উদ্দেশ্য অনুযায়ী কৃষি সমবায় কয় প্রকার?
ক. ২ প্রকার খ. ৩ প্রকার
গ. ৪ প্রকার ঘ. ৫ প্রকার
৬। কৃষিকাজের জন্য কোনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ?
ক. লাঙল খ. মই
গ. গরু ঘ. পানি
৭। কৃষির আধুনিকায়নের জন্য কোনটি প্রয়োজন?
ক. সার খ. কৃষি যান্ত্রিকীকরণ
গ. বীজ ঘ. সেচ
৮। সমবায় সংগঠন কৃষি সমবায়ের কী?
ক. হৃৎপিণ্ড খ. জীবন
গ. সংগঠন ঘ. ক্ষেত্র
৯। কৃষি সমবায়ের প্রকারগুলো হলো-
i. কৃষি মূলধন সমবায়
ii. কৃষি উপকরণ সমবায়
iii. কৃষি উৎপাদন সমবায়
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i, ii খ. i, iii
গ. ii, iii ঘ. i, ii, iii
১০। গবেষণায় দেখা যায় কী পরিমাণ না হলে লাভজনক কৃষি খামার পরিচালনা করা যায় না?
ক. ১০ শতক খ. ১ একর
গ. ১ হেক্টর ঘ. ১০ হেক্টর
১১। কৃষিপণ্য বিপণনে কিসের ওপর নির্ভর করে প্যাকিং করতে হয়?
ক. পরিবহণ খ. দূরত্ব
গ. পণ্য ঘ. আবহাওয়া
১২। যন্ত্রপাতি ক্রয় কোন ধরনের কৃষি সমবায়ের অন্তর্ভুক্ত কাজ?
ক. মূলধন সমবায় খ. উৎপাদন সমবায়
গ. উপকরণ সমবায় ঘ. সঞ্চয় সমবায়
১৩। সমবায় সংগঠনের মূল স্তম্ভ কোনটি?
ক. দক্ষতা খ. মূলধন
গ. ব্যবস্থাপনা ঘ. একতা
১৪। কে সহজে ঋণ গ্রহণ করতে পারে?
ক. রেজিস্ট্রিকৃত সমবায় খ. কৃষক
গ. দুস্থ লোকজন ঘ. মহিলা
১৫। কৃষি পণ্যের মানোন্নয়নে প্রয়োজন-
i. ফসলের মান অনুযায়ী সজ্জিতকরণ
ii. যথাযথভাবে উৎপাদিত ফসল সংরক্ষণ
iii. সঠিকভাবে ফসলের পরিচর্যা
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i, ii খ. i, iii
গ. ii, iii ঘ. i, ii, iii
১৬। কৃষির জন্য কোনটি সহায়ক?
ক. হিসাব জানা খ. সহজ ঋণ প্রাপ্তি
গ. দাম নির্ধারণ ঘ. সহযোগিতা
নিচের উদ্দীপকটি পড় এবং ১৭-১৮ নং প্রশ্নের উত্তর দাও:
সিদলাই গ্রামের কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে পানি সেচের অভাবে কাঙ্ক্ষিত ফসল উৎপাদন করতে পারছিলেন না। তাদের এ সমস্যা সমাধানে কৃষি কর্মকর্তা আলম সাহেবের সহযোগিতায় গড়ে তোলেন নব জাগরণ কৃষি সমবায় সমিতি। লাগসই ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণের মাধ্যমে সিদলাই গ্রামের কৃষক আজ ওই এলাকার আদর্শ স্বরূপ।
১৭। ওই সমিতির মাধ্যমে এলাকার কৃষকরা লাভ করেন-
i. উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা
ii. উচ্চ মুনাফা অর্জনের নিশ্চয়তা
iii. রাসায়নিক সার ব্যবহারের সুফল
নিচের কোনটি সঠিক
ক. i, ii খ.i, iii
গ. ii, iii ঘ. i, ii, iii
১৮। ওই গ্রামের কৃষকরা উক্ত সমস্যা সমাধানের জন্য পরিবেশবান্ধব কোন পদ্ধতিটি গ্রহণ করেন?
ক. অগভীর নলকূপ খনন
খ. গভীর নলকূপ খনন
গ. ভূ-উপরিস্থ জলাধার নির্মাণ
ঘ. পাম্পের মাধ্যমে সেচের ব্যবস্থা
১৯। কৃষি সমবায় কীভাবে হয়?
ক. এলাকাভিত্তিক খ. শহরকেন্দ্রিক
গ. পৌরসভাভিত্তিক ঘ. জেলাভিত্তিক
২০। কৃষি সমবায় হলো-
ক. রেজিস্ট্রিকৃত কার্যক্রম
খ. রাষ্ট্রীয় কার্যক্রম
গ. সমন্বিত কার্যক্রম
ঘ. একক কার্যক্রম
উত্তর: ১.খ ২.গ ৩.ঘ ৪.ক ৫.গ ৬.ঘ ৭.খ ৮.ক ৯.ঘ ১০.খ ১১.গ ১২.গ ১৩.ঘ ১৪.ক ১৫.গ ১৬.খ ১৭.ঘ ১৮.গ ১৯.ক ২০.গ।