আইসিটি
প্রস্তুতি সম্পর্কিত ধারণা
অমিয় দত্ত
প্রকাশ: ২০ জুন ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
প্রভাষক, সেন্ট যোসেফ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাম্মদপুর, ঢাকা
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা, পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণের বিষয়ে কোনো আপস করা ঠিক হবে না। পাঠ্যবইয়ের অধ্যায়ভিত্তিক ধারণাগুলো সুস্পষ্ট ও সুগঠিত রাখা দরকার। প্রত্যেকটি অধ্যায় নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে নিজের ঘাটতি পূরণের মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নিতে হবে। প্রয়োজন মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলোকে নোট আকারে লিখে রাখলে তোমাদের পরে বারবার রিভিশন দিতে এবং মনে রাখতে কার্যকর হবে।
পাঁচটি অধ্যায়ের মধ্যে গুরুত্বের তারতম্য রাখা যাবে না। বিভিন্ন বই থেকে প্রত্যেকটি অধ্যায়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিষদ, পর্যাপ্ত এবং সঠিক তথ্য নিজের সংগ্রহে রাখতে হবে। বহুনির্বাচনি প্রশ্নের প্রস্তুতি নেওয়ার ক্ষেত্রে অধ্যায়ভিত্তিক বিষয়বস্তুগুলো বারবার পড়তে হবে। যত দ্রুত সম্ভব সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর, বুলিয়ান উপপাদ্য-এর সরলীকরণ, সি প্রোগ্রামিংয়ের আউটপুট নির্ণয় প্রভৃতি বিষয়ে দক্ষতার সঙ্গে সঠিক উত্তর নির্বাচন করতে হবে। ভারচুয়াল রিয়েলিটি, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ন্যানো প্রযুক্তি, বায়োমেট্রিক্স, বায়োইনফরমেটিক্স, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি বিষয়গুলোর বাস্তবিক প্রয়োগ সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজে বিস্তারিত বর্ণনা করতে পারবে। ডেটা কমিউনিকেশন সম্পর্কিত বিভিন্ন মাধ্যম, ট্রান্সমিশন মোড, মিডিয়া, বিভিন্ন প্রজšে§র বিস্তারিত বর্ণনা, নেটওয়ার্কের কাঠামো, গঠন- বিষয়গুলো সম্পর্কে পড়তে হবে এবং বিভিন্ন ধরনের প্রশ্নের সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তরগুলো অবশ্যই নখদর্পণে থাকতে হবে। বুলিয়ান উপপাদ্য, লজিক গেইটসমূহ, ব্লক ডায়াগ্রাম এবং অন্যান্য বিষয়গুলোতে যথেষ্ট দক্ষতা রাখা দরকার। বুলিয়ান উপপাদ্যের সরলীকরণ বেশি বেশি করে অনুশীলন করতে হবে। সার্কিট ডায়াগ্রাম, ব্লক ডায়াগ্রাম এবং সত্যক সারণীগুলো অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও নির্ভুল ভাবে অঙ্কন করবে। চতুর্থ অধ্যায়ের এইচটিএমএল ট্যাগ এবং আট্রিবিউটগুলো হাতে-কলমে প্র্যাকটিস করলে সহজে মনে রাখা যায়। এইচটিএমএল টেবিল, হেডিং, টেক্সট ফরম্যাটিং, হাইপারলিঙ্ক, ইমেজ প্রভৃতি বিষয়গুলোর সর্বাধিক সংখ্যক প্রশ্নের সমাধান নিশ্চিত করতে হবে। সি প্রোগ্রামিংয়ের তত্ত্বীয় এবং ব্যবহারিক উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। অ্যালগোরিদম ও ফ্লোচার্টগুলো কোনোভাবেই কাটাকাটি করে লেখা ঠিক হবে না। এ সময়টাতে আগের পড়াগুলোই বারবার রিভিশনের মধ্যে রাখা দরকার। সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রে উদ্দীপকে ভালোভাবে লক্ষ্য রেখে উত্তর সাজাতে হবে। অনেক সময় শিক্ষার্থীরা প্রশ্নে যে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে সেটা ঠিকমতো বুঝে উঠতে পারে না ফলে উত্তর করতে গিয়ে দ্বিধার সম্মুখীন হয়। প্রত্যেকটি বিষয়বস্তুর ওপর পূর্র্ণ ধারণা থাকলে এ সমস্যার সমাধান সহজেই করা যেতে পারে। বাজারে প্রকাশিত টেস্ট পেপারগুলো একটি বড় ভূমিকা পালন করে এ সময়ে। বিভিন্ন স্কুল-কলেজের প্রশ্নপত্র একত্রে পাওয়া যায় এবং সেগুলো সমাধান করলে ২টি সুফল পাওয়া যায়। বিষয়ভিত্তিক দক্ষতা বাড়ানো যায় এবং উত্তর লেখার ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে যায়। প্রায়োগিক বিষয়গুলো যেমন- সংখ্যা পদ্ধতির রূপান্তর, লজিক সার্কিট, সত্যক সারণী, বুলিয়ান অ্যালজেবরা, এইচটিএমএল ট্যাগ এবং এলিমেন্টের ব্যবহার, সি প্রোগ্রামিংয়ের অপারেটরসমূহের ব্যবহার, কন্ডিশনাল স্টেটমেন্ট, কন্ট্রোল স্টেটমেন্ট ইত্যাদি হাতে লিখে প্র্যাকটিস করলে কম সময়ের মধ্যে অধিক কার্যকর ভাবে মনে রাখতে পারবে।