
প্রিন্ট: ১২ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৬ এএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বিশ্বের প্রথম সার্বভৌম হিন্দু রাষ্ট্রের দূত তারা। এই হিন্দু জাতির আছে নিজস্ব পাসপোর্ট, বিশ্বজনীন সংবিধান এবং পবিত্র সোনার তৈরি মুদ্রা। তাদের নিজেদের গড়া অবাস্তব রাষ্ট্রের নাম ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব কৈলাসা’। তাদের নেতা ভারতীয় এক পলাতক সাধু নিত্যানন্দ। তিনি জাতিসংঘে বক্তৃতাও দিয়েছেন। বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। অস্তিত্বহীন এই রাষ্ট্রের নেতা দাবি করেন, পুনর্জন্মের প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তিনি। তার সেবা নিলে কোটিপতিরা পরজন্মেও গরিব হবে না। ভরতসহ বিভিন্ন দেশেই নিজেদের সাম্রাজ্য গড়ে তোলে কৈলাসা। কিন্তু কৈলাসার এই কাল্পনিক সাম্রাজ্য এবার ধসের মুখে। গত সপ্তাহে কৈলাসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২০ জনকে গ্রেফতার করেছেন বলিভিয়ার কর্মকর্তারা। হিন্দুস্তান টাইমস।
কৈলাসার বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভূমি দখলের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা আদিবাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে এক হাজার বছরের জন্য আমাজন অঞ্চলের বিশাল এলাকা ইজারা নিয়েছেন। বলিভিয়া সরকার ওই চুক্তিগুলো বাতিল করেছে এবং ওইসব ব্যক্তিকে বিতাড়ন করেছে। তাদের কল্পিত রাষ্ট্র কৈলাসে পাঠানো হয়নি। বরং তারা বাস্তবে যেসব দেশের নাগরিক তাদের সেসব দেশেই ফেরত পাঠানো হয়েছে। তারা মূলত ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, সুইডেন ও চীনের নাগরিক। নিত্যানন্দের জন্ম ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে। জন্মের পর তার নাম রাখা হয় অরুণাচলম রাজশেখরন। একসময় তিনি হিন্দু সাধু হন এবং বয়স যখন কুড়ির কোটায় তখন বেঙ্গালুরুর কাছে নিজের প্রথম আশ্রম গড়ে তোলেন। দ্রুতই তিনি পুরো ভারত ও ভারতের বাইরের শহরগুলোতেও নিজের রাজত্ব গড়ে তোলেন। একসময় এই সাধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগ জমতে শুরু করে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে ভারত সরকার তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। ভারত থেকে পালিয়ে নিত্যানন্দ প্রথম কোথায় যান তা স্পষ্ট নয়। তবে জানা যায়, তিনি দক্ষিণ আমেরিকা অথবা ক্যারিবীয় অঞ্চলে গেছেন। বেশ কয়েক বছর পর দেখা মেলে নিত্যানন্দের। তিনি ঘোষণা করেন, ‘ইউনাইটেড স্টেটস অব কৈলাসা’ নামে একটি দেশ তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন যেটি আসলে অতীত হিন্দু রাজ্যের পুনর্জন্ম। তারা একটি ওয়েবসাইট বানান। যেখানে মাত্র কয়েক ক্লিকের মাধ্যমে বিনামূল্যে পাওয়া যায় কৈলাসার ই-সিটিজেনশিপ বা ডিজিটাল নাগরিকত্ব। এভাবেই চলছিল কৈলাসার কার্যক্রম। তাদের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি ফাঁস করে বলিভিয়ার একটি পত্রিকা।