
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০২:২৫ এএম

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অস্ট্রেলিয়ার দূরবর্তী ভূখণ্ড হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ পৃথিবীর অন্যতম প্রত্যন্ত অঞ্চল। অ্যান্টার্কটিকার কাছের বরফে ঢাকা, আগ্নেয়গিরিময় জনশূন্য এসব দ্বীপগুলোতেও ‘শুল্ক তোপ’ মারলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পার্থ থেকে সেখানে যেতে নৌকায় করে দুই সপ্তাহ সময় লাগে। ধারণা করা হয়, এই দ্বীপে সবশেষ মানুষের পা পড়েছিল প্রায় এক দশক আগে। এখন শুধু সেখানে পেঙ্গুইনরা থাকে। এই দ্বীপগুলোর ওপরও ১০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ট্রাম্প। সিএনএন, গার্ডিয়ান।
হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ডের বাইরের আরও কিছু অঞ্চল যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কের তালিকায় স্থান পেয়েছে। যেগুলোর ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার এসব দূরবর্তী ও বিচ্ছিন্ন অঞ্চল সরাসরি স্বায়ত্তশাসিত নয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে বিশেষ প্রশাসনিক সম্পর্ক রয়েছে। শুল্ক তালিকায় থাকা অন্যান্য দ্বীপের মধ্যে কোকোস (কিলিং) দ্বীপপুঞ্জ, ক্রিসমাস দ্বীপ ও নরফোক দ্বীপও রয়েছে। নরফোক দ্বীপটি সিডনি থেকে ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। মাত্র ২ হাজার ১৮৮ জন মানুষের বাস। দ্বীপটি ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ৬ লাখ ৫৫ হাজার মার্কিন ডলারের (প্রায় ১০ লাখ ৪০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার) পণ্য রফতানি করে। এর মধ্যে ৪ লাখ ১৩ হাজার মার্কিন ডলারের (প্রায় ৬ লাখ ৫৮ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার) চামড়ার জুতা ছিল প্রধান রফতানি পণ্য। বাণিজ্য বিষয়ক তথ্য সংগ্রহকারী সংস্থা অবজারভেটরি অব ইকোনমিক কমপ্লেক্সিটি এমনটাই জানিয়েছে। তবে নরফোক দ্বীপের প্রশাসক জর্জ প্ল্যান্ট এ তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নরফোক দ্বীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো পণ্য রফতানি করা অথবা এ দ্বীপে আমদানি করা কোনো পণ্যের ওপর শুল্ক বাধার কথা জানা নেই।’ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ বলেন, ‘নরফোক দ্বীপের ওপর ২৯ শতাংশ শুল্ক আরোপ হয়েছে। দ্বীপটির প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, এটি কি সত্যিই যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অর্থনীতির প্রতিযোগী? এতে বোঝা যায়, আসলে পৃথিবীর কোনো জায়গা নিরাপদ নয়।’
হার্ড দ্বীপ ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপের রপ্তানির তথ্য ধন্দ জাগায়। এসব দ্বীপে একটি মাছ ধরার এলাকা থাকলেও কোনো স্থাপনা বা জনবসতি নেই। তবু বিশ্বব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২২ সালে যুক্তরাষ্ট্র হার্ড ও ম্যাকডোনাল্ড দ্বীপ থেকে ১৪ লাখ মার্কিন ডলারের (প্রায় ২২ লাখ ৩০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার) পণ্য আমদানি করেছে, যার প্রায় সবই ছিল ‘যন্ত্রপাতি ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। তবে এসব পণ্য আসলে কী, তা স্পষ্ট নয়। এর আগের পাঁচ বছরে এই দ্বীপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি ১৫ হাজার থেকে ৩ লাখ ২৫ হাজার মার্কিন ডলারের মধ্যে ছিল।