গাজায় খাদ্য সরবরাহ বন্ধ
বেঁচে থাকার লড়াইয়ে ১০ লাখ শিশু

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বুলেট-বারুদ ঝাঁজরা করে এবার গাজাকে মানবিক সংকটে ফেলছে ইসরাইলি সেনারা। অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাঝেও ভোগান্তির শেষ নেই অসহায় ফিলিস্তিনিদের। খাদ্য, পানি, জ্বালানিসহ একাধিক ত্রাণ সহায়তা আটকে দিয়েছে দখলদার বাহিনী। ২১ লাখ মানুষের অবরুদ্ধ জনপদে ২ মার্চ থেকে আজ ১৭ দিন ধরে খাদ্য-পানীয়-ওষুধ সরবরাহ বন্ধ!
নারী-পুরুষ তো বটেই , দুবেলা দুমুঠো খাবারে জন্য হাহাকার করছে অবুঝ শিশুরাও। ইউনিসেফ বলছে, চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে গাজার শিশুদের অবস্থা। বেঁচে থাকার মৌলিক চাহিদাটুকুর জন্য লড়াই করছে প্রায় ১০ লাখ শিশু। আলজাজিরা, বিবিসি, এএফপি।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক এ সংস্থার (ইউনিসেফ) আঞ্চলিক পরিচালক এডওয়ার্ড বেইগবেডার বলেন, শিশুদের জীবন বাঁচানোর জন্য পানি ও বিদ্যুৎ পৌঁছানো ‘জরুরি’। এছাড়াও জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা (ওসিএইচএ) গাজায় অবিলম্বে সরবরাহ প্রবাহের আহ্বান জানিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, ‘গাজার বাবা-মায়েরা তাদের বাচ্চাদের খাবার জোগাতে সংগ্রাম করছে। হাসপাতালগুলোতে সরবরাহকৃত খাবার প্রায় শেষের পথে।’ সন্তানের মুখে খাবার না দিতে পেরে রিম নামে এক অসহায় মা বলেন, ‘আমাদের খাবার, পানি, বাচ্চাদের জন্য ডায়াপার এবং ডিটারজেন্ট ফুরিয়ে গেছে। আমাদের কাছে যা আছে তা সবেমাত্র ২-৩ দিনের জন্য যথেষ্ট। এরপর আমাদের কী হবে।’ শুধুমাত্র খাদ্য নয় পানির মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদানও বন্ধ করা হয়েছে গাজায়। ইসরাইল দ্বারা পরিচালিত গাজার ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টের লাইন কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে ফিলিস্তিনিদের সরবরাহকৃত খাবার পানির পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। যেই ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টটি আগে ১৭,০০০ কিউবিক মিটার (১৭ মিলিয়ন লিটার) পানি সরবরাহ করত বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর মাত্র ২,০০০ ঘনমিটার (২ মিলিয়ন লিটার) করছে।