Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

ট্রাম্পের তর্জন-গর্জন হাওয়ায় ওড়ালেন খামেনি

মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা আদান-প্রদানের যোগ্য ব্যক্তি মনে করেন না ইরানের সর্বোচ্চ নেতা * ইরানে হামলা হলে পানিশূন্য হয়ে যাবে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো : কাতার

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনায় বসার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি বলেছেন, ‘গুন্ডামি’ করে বেড়ানো শক্তিগুলোর আলোচনার এ আহ্বানটি সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে নয়। বরং এটি ইরানের ওপর তাদের শর্ত চাপিয়ে দেওয়ার একটি প্রচেষ্টা। শনিবার তেহরানে দেওয়া এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে ট্রাম্পের তর্জন-গর্জন হাওয়ায় ওড়ালেন খামেনি। দ্য গার্ডিয়ান।

শুক্রবার ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য ইরানের নেতাকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, ‘আমি বলেছি, আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে।’ একই সঙ্গে হুঁশিয়ারিও দিয়ে তিনি বলেছেন, আলোচনায় বসতে অস্বীকৃতি জানালে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে। তবে শনিবার তেহরান জানিয়েছে, তারা ট্রাম্পের কাছ থেকে পারমাণবিক চুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য কোনো চিঠি পায়নি। ঊর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্য আলোচনার মাধ্যমে সমাধান নয়। বরং তারা এই অঞ্চলে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে চায়। বিশেষ করে ইরানের প্রতিরক্ষা ক্ষমতা এবং আন্তর্জাতিক অবস্থানের ওপর। খামেনি আরও বলেছেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকাঙ্ক্ষা চাপিয়ে দিতে চায় যা ইরান কখনোই মেনে নেবে না। দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর তেহরানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ চাপ কৌশল আবারও চালু করেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার ইরানের প্রধান রপ্তানি খাত তেলের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

এদিকে ইরানে হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান বিন জসিম আল থানি। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরাইল যদি ইরানের পরমাণু স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায় তাহলে ৩ দিনের মধ্যে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলো পানিশূন্য হয়ে পড়বে। মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও উপস্থাপক টাকার কার্লসনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় বুশেহর পরমাণু স্থাপনায় হামলা হলে ইরান ও কাতারের মধ্যকার পানির কী হবে এমন প্রশ্নের উত্তরে শেখ মোহাম্মাদ আল থানি বলেছেন, ‘সেরকম কিছু হলে পানিতে এত উচ্চমাত্রার দূষণ হবে যে তার ফলে ‘পরিবেশগত বিপর্যয়’ দেখা দেবে। গোটা পারস্য উপসাগরের পানি দূষিত হয়ে যাবে। মাত্র ৩ দিনের মাথায় কাতারে পানি সংকট দেখা দেবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম