নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা আজ
এক ধমকেই পালটে গেল কানাডার রাজনীতি

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
খাদ্য ও বাসস্থানের মূল্যবৃদ্ধি এবং অভিবাসন সমস্যার কারণে হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কানাডার রাজনীতি। যার জেরে জনসমর্থন কমতে থাকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টির। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই জিতবে-এ প্রত্যাশাই গভীর হতেই থাকে। তবে এবার সে আশাতেই দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। নাটকীয় এক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে আবারও উত্থান ঘটেছে মুখ থুবড়ে পড়া লিবারেল পার্টির। কানাডার প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক বক্তব্য, বিশেষ করে কানাডাকে অঙ্গরাজ্য বানানোসহ শুল্কারোপ ও অন্যান্য হুমকি ট্রুডোর লিবারেল পার্টির জনসমর্থন বাড়িয়ে দিয়েছে। ট্রাম্পের এই এক ধমকেই রাতারাতি পালটে গেছে কানাডার রাজনীতি। খাদের কিনার থেকে মগডালে উঠে গেছে লিবারেলদের রাজনীতি। নড়েচড়ে বসেছে আবার। আজই (স্থানীয় সময় রোববার বিকাল ৪টা) দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রীর নাম ঘোষণা করছে লিবারেল পার্টি। বিবিসি।
জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার পর জানুয়ারিতে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রুডো। অবশেষে রোববার ট্রুডোর পরিবর্তে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করবে তার দল। দেশের লিবারেল পার্টির নেতা নির্বাচিত হবেন ভোটাভুটির মাধ্যমে। ট্রাম্পের হুমকি কানাডার ভোটারদের তাদের অগ্রাধিকারগুলোর বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করেছে। অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক লুক টার্জিওন বলেছেন, ট্রাম্পের বক্তব্য স্বাস্থ্যসেবা, অপরাধ এবং জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির মতো অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আড়ালে ঠেলে দিয়েছে। ভোটাররা এখন ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড থেকে কানাডার অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার দিকে বেশি মনোনিবেশ করছেন। ট্রাম্পের হুমকিতেই ট্রুডোর সমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ট্রুডোর রেটিং প্রায় ১২ পয়েন্ট বেড়েছে। তিনি ২০২৫ সালের শুরুতে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেও তার নেতৃত্বেই লিবারেল পার্টি দারুণভাবে ফিরে এসেছে। নতুন নেতা নির্বাচিত হওয়ার পর তাকে দুটি তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে-ট্রাম্পের হুমকির জবাব কীভাবে দেবেন এবং জাতীয় নির্বাচন কখন অনুষ্ঠিত হবে। এই সিদ্ধান্তগুলো দলটির ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রুডোর উত্তরসূরি হওয়ার দৌড়ে আছেন মোট চারজন। ব্যাঙ্ক অব কানাডার সাবেক গভর্নর মার্ক কার্নে, সাবেক অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড, সাবেক হাউজ নেতা ও বর্তমান এমপি করিনা গোল্ড এবং ধনকুবের ফ্র্যাঙ্ক বেলিস। কার্নে এবং ক্রিস্টিয়াকেই লিবারেল পার্টিতে ট্রুডোর বিরুদ্ধে ‘প্রকৃত’ প্রতিদ্বন্দ্বী বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সর্বোচ্চ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন কার্নে। নতুন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পরই দেশে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করবেন।