ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা
তীব্র শীতে বিপর্যস্ত বাসিন্দারা
কিয়েভে শান্তি রক্ষায় সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাজ্য

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইউক্রেনের দক্ষিণাঞ্চলে রাতভর হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববার রাতের এ হামলায় মাইকোলাইভ শহরের একটি তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বিধ্বস্ত হয়েছে। বর্তমানে শহরের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রাত কাটাতে বাধ্য হয়েছেন ৪৬ হাজার মানুষ। তীব্র শীতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। সোমবার পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আলজাজিরা ও রয়টার্স।
ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্যামিহাল বলেছেন, মানুষকে এই তীব্র শীতে কষ্ট দেওয়ার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এখানে মানবিক বিপর্যয় তৈরি করা হয়েছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, এই হামলার প্রভাব অনেক বেশি ছিল। শহরের প্রায় এক লাখ মানুষ কোনো ধরনের উত্তাপের ব্যবস্থা করতে পারছেন না। সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে জেলেনস্কি বলেছেন, এই শহরটি খুবই সাধারণ। বেসামরিক অবকাঠামোও সাধারণ। এটি আরও একটি স্পষ্ট প্রমাণ যে, রাশিয়া আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে এবং ইউক্রেনের জীবনের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ চালাচ্ছে। মিকোলাইভবাসীকে শীত থেকে রক্ষা করতে এবং তাপ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে ‘নিরলসভাবে কাজ করা’ হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, রুশ বাহিনী রাতভর সেখানে ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ১৪৩টি ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এসব হামলার মধ্যে তারা ৯৫টি ড্রোন ভূপাতিত করতে পেরেছে। ৪৬টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারেনি। রাশিয়ার ড্রোন হামলায় অন্তত একজনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া দেশটির কিয়েভ অঞ্চলে কিছু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেও ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। রোববার রাতে মিকোলাইভ শহরের তাপমাত্রা মাইনাস ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে ইউক্রেনের শান্তিরক্ষায় দেশটিতে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েনে প্রস্তুত বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। সোমবার প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের জরুরি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার বলেছেন, আমরা যদি ভবিষ্যতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আরও আগ্রাসন আটকাতে চাই তাহলে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদি শান্তি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। স্টার্মার আরও বলেছেন, আমরা ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে প্রস্তুত। প্রয়োজনে সেখানে আমাদের নিজস্ব সেনা মোতায়েন করতেও রাজি আছি। এটি আমি হালকাভাবে বলছি না। ব্রিটিশ সেনাদের ঝুঁকির মধ্যে পাঠানোর সিদ্ধান্তের গুরুদায়িত্ব আমি গভীরভাবে অনুভব করি।