Logo
Logo
×

দশ দিগন্ত

ট্রাম্পের ক্রোধ এড়াতে নজর মোদির

যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী

Icon

যুগান্তর ডেস্ক

প্রকাশ: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্র সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি। বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজে দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই সফরে মোদির নজর থাকবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রোধ এড়ানোর দিকে। এএফপি।

সফরকালে ট্রাম্পের পাশাপাশি মার্কিন মন্ত্রিসভার বেশ কয়েকজন সদস্য ও শীর্ষ মার্কিন ব্যবসায়ী নেতৃত্ব এবং ভারতীয়-আমেরিকান সম্প্রদায়ভুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে মোদির। এছাড়া তিনি স্পেসএক্স এবং টেসলা প্রধান ইলন মাস্কের সঙ্গেও দেখা করতে পারেন। এএফপি বলেছে, প্রায় তিন দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুটি দল থেকে যখন যিনিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তারা চীনের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক মার্কিন অংশীদার হিসাবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটনে তার আসন্ন সফরে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করবেন ঠিকই, তবে বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে উভয় নেতার বৈঠকের সময় ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী শুল্ক এবং অভিবাসন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের ক্রোধ এড়ানোরও চেষ্টা করবেন। বৈঠকের পর মোদি ট্রাম্পের সঙ্গে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনও করবেন বলে হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে। মোদির জন্য এটা বেশ বিরল একটি পদক্ষেপ। কারণ তিনি বেশ জনপ্রিয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী হলেও খুব কমই সাংবাদিকদের কাছ থেকে প্রশ্ন নেন এবং সেগুলোর জবাব দেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম মেয়াদে মোদির সুসম্পর্ক ছিল। তবে এবার পরিস্থিতি কিছুটা ভিন্ন। ভারতীয় এই প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে তার সফরের আগে বেশ দ্রুতই শুল্ক ছাড়ের ঘোষণা দিয়েছেন। এদিকে, দিল্লি আশা করছে এই সাম্প্রতিক পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুল্কসংক্রান্ত যে কোনো রকম হুমকি এড়াতে সাহায্য করবে।

প্রেসিডেন্ট হিসাবে তার প্রথম মেয়াদে ট্রাম্প ভারতের ওপর চড়া শুল্ক আরোপ করেছিলেন। এছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির অংশ হিসাবে ওয়াশিংটন গত সপ্তাহে শতাধিক অবৈধ ভারতীয়কে হাত-পা শেকলে বেঁধে সামরিক বিমানে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে এবং নয়াদিল্লি তা গ্রহণও করেছে। এছাড়া অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে নিজস্ব শক্তিশালী ক্র্যাকডাউনের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রী গত সপ্তাহে দাবি করেছিলেন, উভয় নেতার মধ্যে খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। যদিও তাদের এই সম্পর্ক বহুল-আকাঙ্ক্ষিত দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তিতে এখনো পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি আনতে ব্যর্থ হয়েছে। গত বছর নভেম্বরের নির্বাচনে জয়লাভের পর ট্রাম্পকে ভালো বন্ধু আখ্যায়িত করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি। গত প্রায় তিন দশক ধরে মার্কিন প্রেসিডেন্টরা চীনের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক অংশীদার হিসাবেই ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলাকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড : যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের প্রধান হিসাবে নিয়োগ পেলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির সাবেক নেত্রী তুলসি গ্যাবার্ড। বুধবার তাকে গুরুত্বপূর্ণ এই পদে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। তুলসি গ্যাবার্ডকে জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান করা হবে কিনা, এ প্রশ্নে ভোট হয়েছিল সিনেটে। এই কক্ষের মোট ১০০ জন সদস্যের ৫২ জন তাকে এ পদে নিয়োগের পক্ষে রায় দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সিআইএ এবং এফবিআইসহ যুক্তরাষ্ট্রের মোট সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা ১৮টি। এই ১৮টি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মীর সংখ্যা ৭০ হাজারেরও বেশি এবং এ সংস্থাগুলো জাতীয় গোয়েন্দা দপ্তরের কাছে জবাবদিহিতা করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম