গুরুতর অসুস্থ আলি খামেনি
ইরানের নেতৃত্ব নিয়ে উদ্বেগ
‘ইসরাইলের আক্রমণ অতিরঞ্জিত কিংবা ছোট করে দেখা উচিত নয়’
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
ইরানের ৮৫ বছর বয়সী সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে দুশ্চিন্তার ছাপ পড়েছে দেশজুড়ে। সে সঙ্গে ইরানের নেতৃত্ব নিয়েও উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খামেনির উত্তরসূরি হবেন কে এ নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তবে রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের বরাত দিয়ে জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, তার দ্বিতীয় পুত্র মুজতবা খামেনি তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামেনির গুরুত্বর শারীরিক অবস্থার কারণে ইরানের নেতৃত্ব নিয়ে নীরব লড়াই শুরু হয়েছে। ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) বা বিপ্লবী গার্ড বাহিনী উত্তরাধিকার নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি গত মে মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হন। এরপর থেকেই খামেনির পরবর্তী উত্তরাধিকার নিয়ে আরও জোরালো আলোচনা শুরু হয়। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ১৯৮৯ সাল থেকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ইরানের প্রথম আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনির মৃত্যুর পর এই দায়িত্ব গ্রহণ করেন। আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অসুস্থতার সংবাদ এমন একসময়ে প্রকাশিত হলো যার মাত্র একদিন আগে ইসরাইল ইরানে হামলা চালিয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরাক ও সিরিয়াতেও সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরাইল। ইরানে ইসরাইলের এ আক্রমণ প্রসঙ্গে আলী খামেনি বলেছেন, এই আক্রমণকে অতিরঞ্জিত কিংবা ছোট করে দেখা উচিত নয়। তিনি আরও বলেছেন, এটি ছিল ইসরাইলের একটি ভুল পদক্ষেপ। শনিবার ইসরাইল ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এই হামলা ছিল ১ অক্টোবর তেহরান থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে চালানো ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া। ইরানের সমর্থিত যোদ্ধাদের এবং ইসলামিক রেভ্যুলেশনারি গার্ড বাহিনীর এক কর্মকর্তার মৃত্যুর প্রতিশোধ হিসাবে ইরান ইসরাইলে ওই হামলা চালায়। ইরান জানিয়েছে, ইসরাইলের আক্রমণে চারজন ইরানি সেনা নিহত হয়েছে এবং কিছু রাডার সিস্টেম সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর আগে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো পালটা পদক্ষেপ থেকে তেহরানকে সতর্ক থাকতে বলেছে। তবে ইরানি কর্মকর্তারা আক্রমণটিকে ছোট করে দেখিয়ে ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এই হামলায় নিহত সেনাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেছেন, তারা ভয় না পেয়ে তাদের ভূমি রক্ষায় বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। মুজতবা খামেনির জন্ম ১৯৬৯ সালে। ইরানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মাশহাদে। ঠিক সেই সময়টাতে তার বাবা আলী খামেনি ইরানে শাহবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় চরিত্র হয়ে উঠেন।