ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলেছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হরিয়ানার ৯০টি কেন্দ্রে এক দফায়ই ভোট হয়েছে। মঙ্গলবার ভোটের ফলাফল জানা যাবে।

এবারের নির্বাচনে গত এক দশকের শাসকদল বিজেপি এবং আগের এক দশকের শাসক কংগ্রেসের মধ্যে মূল লড়াই চলছে। হরিয়ানায় বিধানসভা নির্বাচনে মোট ভোটারের সংখ্যা দুই কোটিরও বেশি। তাদের মধ্যে নারী ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৯৬ লাখ। তারা ১০৩১ জন প্রার্থীর জয়-পরাজয় নির্ধারণ করবেন। মোট বুথের সংখ্যা ২০ হাজার ৬২৯। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, সকাল থেকে হরিয়ানার বিভিন্ন কেন্দ্রগুলোতে কড়া নিরাপত্তায় ভোটগ্রহণ চলেছে। পুলিশের পাশাপাশি আধাসামরিক বাহিনীও নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সুষ্ঠু ভোটের জন্য ৩০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য এবং ২২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়। প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়। বিজেপি ও কংগ্রেস ছাড়াও জাঠ অধ্যুষিত (জাঠ সম্প্রদায়) এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে-সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার আইএনএলডি (ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল লোকদল) এবং তার নাতি তথা সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার দল জেজেপি (জননায়ক জনতা পার্টি)। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন-মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিংহ সাইনি (বিজেপি, লডওয়া), সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা (কংগ্রেস, গারহি সাম্পলা-কিলোই), আন্তর্জাতিক নারী কুস্তিগীর বিনেশ ফোগাট (কংগ্রেস, জুলানা) এবং সাবেক উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালা (জেজেপি, উচানা কালান)। একটা সময় হরিয়ানায় আঞ্চলিক দলগুলো ব্যাপক প্রভাবশালী ছিল। ২০১৪ সালে সে রাজ্যে বিজেপির আগমনের পর ক্রমেই ক্ষয়িষ্ণু আঞ্চলিক দলগুলো। পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, মোট পাঁচ পক্ষ লড়াইয়ে থাকলেও এবারের মূল লড়াই কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যেই।

শনিবার ভোটপর্ব শেষের পরেই বিভিন্ন চ্যানেলে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে হরিয়ানার বুথ-ফেরত জরিপ। রাজ্যের রাজনৈতিক সমীকরণ কোন দিকে মোড় নিতে চলেছে তার ইঙ্গিত পাওয়া যেতে পারে এই জরিপগুলোর ফলাফল থেকে।