Logo
Logo
×

টি ২০ বিশ্বকাপ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের পুনর্জন্ম!

Icon

স্পোর্টস ডেস্ক

প্রকাশ: ৩০ মে ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেটের পুনর্জন্ম!

প্রথমবারের মতো টি ২০ বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ক্রিকেট সেদেশে অচ্ছুৎ মনে করা হলেও ইতিহাস বলে ভিন্ন কথা। বিশ্বকাপের আগে উঁকি দেওয়া যাক দেশটির ক্রিকেট-অতীতে। বেসবল ও বাস্কেটবল মার্কিনিদের প্রিয় খেলা। ক্রিকেট সেদেশে অনেকটা আগন্তুকের মতো। আসলে কী তাই। তিন কাঠির খেলার প্রতি আমেরিকানদের কী সত্যিই অরুচি রয়েছে। ইতিহাস কিন্তু তা বলে না। খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। এই তো সেদিন ২০২৩ সালে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ঈষৎ স্বাদ পেয়েছে মার্কিনিরা। মেজর লিগ ক্রিকেটের প্রথম আসর বসে সে বছর যুক্তরাষ্ট্রে। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। আপনি জানেন কি, সেদেশে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ মাঠে গড়িয়েছিল ১৮৪৪ সালে। নিউ ইয়র্কের সেন্ট জর্জেস ক্রিকেট ক্লাব গ্রাউন্ডে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে। জয়ী দলের নাম কানাডা।

১৮৫৯ সালে ইংল্যান্ড একাদশ যুক্তরাষ্ট্র সফর করে। ওই সফরটি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ড দলের সফরের তিন বছর আগে। সেবার ইংল্যান্ড একাদশ পাঁচটি ম্যাচ ছাড়াও তিনটি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলেছিল স্থানীয় ক্রিকেটারদের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা মার্কিন ক্রিকেটারদের মধ্যে হ্যারি রাইট পরবর্তীকালে একজন বিখ্যাত বেসবল খেলোয়াড়ের মর্যাদা পেয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে গৃহযুদ্ধের পর ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেতে থাকে। বাড়তে থাকে বেসবলের প্রসার। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ক্লাবগুলো নিজেদের মধ্যে ক্রিকেট ম্যাচ খেলার সংস্কৃতি অব্যাহত রাখে। এটি বিংশ শতাব্দীর সময়ের ঘটনা। ফিলাডেলফিয়া ও পেনসিলভেনিয়া অবশ্য মার্কিন মুল্লুকে ক্রিকেটের তীর্থভূমি হিসাবে নিজেদের ঐতিহ্য অক্ষুণ্ন রাখে। আজও এ দুটি অঙ্গরাজ্যে ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক দর্শকদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময় থেকে শেষাবধি ক্রিকেট অভিনব ক্রীড়া হিসাবে পরিণত হয় যুক্তরাষ্ট্রে। যদিও উদ্বাস্তুরা প্রায়শই বিচ্ছিন্নভাবে প্রদর্শনী ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করতেন। যেমনটি করতে দেখা যেত ইংল্যান্ডের ব্রাইটন থেকে আসা ক্রিকেটার এডি ফিলিপকে। সেন্ট লুইসে ছুটির দিনে ক্রিকেট নিয়ে মেতে থাকতেন তিনি। তবে অন্য দেশ থেকে আসা বিখ্যাতরা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আগ্রহ উসকে দিতে পারেননি।

১৯৬৩ সালে জাজ শিল্পী ন্যাট কিং কোল ব্রিটেন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরেন একটি ক্রিকেট ব্যাট এবং একদল ক্রিকেটভক্ত নিয়ে। ২০১৫ সালের ঘটনা। শচীন টেন্ডুলকার ও শেন ওয়ার্ন কয়েকটি প্রদর্শনী ম্যাচের আয়োজন করেন মার্কিন মুল্লুকে। ব্রায়ান লারা, গ্লেন ম্যাকগ্রা, ওয়াসিম আকরামের মতো খেলোয়াড়রা আলো ছড়িয়েছিলেন এসব ম্যাচে। কিন্তু প্রথম আসরের পর সিরিজ হাওয়া হয়ে যায় টেন্ডুলকার ও ওয়ার্নের রেষারেষিতে।

নিউ ইয়র্কের স্ট্যাটেন আইল্যান্ড ক্রিকেট ক্লাব সেদেশের সবচেয়ে পুরোনো সক্রিয় ক্রিকেট ক্লাব। ডন ব্যাডম্যান, পেলহাম ওয়ার্নার ও এভারটন উইকেসের মতো কিংবদন্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে খেলেছিলেন তাদের আতিথেয়তায়। আজও এ ক্লাব ক্রিকেট ম্যাচের আয়োজন করে থাকে।

অতীত-সাফল্য যদি মার্কিনিদের অনুপ্রেরণা হয়, তাহলে কে জানে ম্যানহাটন হয়ে যেতে পারে ময়দান, যেখানে চাষ হবে শুধু ক্রিকেটের।

ক্রিকইনফোর ‘দ্য ক্রিকেট মান্থলি’ থেকে দিপ্তী উন্নির লেখা ইংরেজির অনুবাদ

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম