
প্রিন্ট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৬ পিএম

প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
একজন নারী উদ্যোক্তা হিসাবে আমার পথচলা বলতে গেলে দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে। ফ্যাশন জগৎ ঘিরে বরাবরই আমার চিন্তাভাবনা ছিল কীভাবে এ ইন্ডাস্ট্রিকে আরেকটু ভিন্ন ধাঁচে ফুটিয়ে তোলা যায়। যেহেতু পড়ালেখা চলাকালীনই আমার বিয়ে হয়ে যায়, তাই আমার হাতে আসলে খুব বাইরে গিয়ে কিছু একটা করতে পারব তেমন সুযোগ ছিল না। চাইলেও সে সময় অনেক কিছুই করা হয়ে উঠত না। তবে আমি কাজ একটু একটু করে চালিয়ে যেতে থাকি। আমি উৎসব পার্বণে যেমন-পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজাকে কেন্দ্র করে আমার বাসার ড্রয়িং রুমেই এক্সিবিশন করতাম। প্রথম দিকে তো আমার কোনো কারখানা ছিল না। আমি ঘুরে ঘুরে কাজ করাতাম। ধীরে ধীরে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৮-এর মাঝে ছোট পরিসরে কারখানা শুরু করি। এরপর ধীরে ধীরে কারিগর নেওয়া, কাজের পরিধি বাড়ানো, নতুন নতুন অভিজ্ঞতা নিয়ে কাজ করা শুরু হয় আমার। এর মাঝে ২০১৭ সালে আমার স্বামীর কাজের সুবাদে আমাকে নারায়ণগঞ্জে চলে আসতে হয়। মূলত জামদানি শাড়ি নিয়ে আমার যে চিন্তাভাবনা, কাজ শুরু করা তা এখান থেকেই। যেহেতু জামদানি আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি পোশাক, তাই এটা নিয়ে কাজ করা যেতেই পারে। আমি চিন্তা করলাম, জামদানি বললে কেন শুধু শাড়িই চিন্তা করতে হবে। জামদানি দিয়ে আমরা কুর্তি, লং কামিজ, কটি সব কিছুর মাঝেই জামদানিকে ফুটিয়ে তুলতে পারি। অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও সেই ২০১৭ সাল থেকে আমার ছোট একটা শপ আছে। গতানুগতিক ধারার ফ্যাশনের বাইরে কাজ করতে চেয়ে গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে আমাকে বরাবরই অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। যেহেতু পাশ্চাত্য ফ্যাশন নিয়ে আমাদের আগ্রহ অনেক বেশি, তাই দেশীয় ধারার ফ্যাশনের প্রতি মানুষের আগ্রহ তৈরি করাটাই অনেকটা চ্যালেঞ্জিং কাজ আমার জন্য। কোভিডের পর কিছুটা বেগ পেতে হলেও আবার সেই ক্রেতা-বিক্রেতা সমাগম ফিরে এসেছে। আমি বিশ্বাস করি, স্বপ্ন দেখার সাহস থাকতে হবে নারীদের। তা হলেই নারী তার নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম হবে।
অনুলিখন : ফারিন সুমাইয়া