
প্রিন্ট: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২১ এএম

উপমা ইসলাম রূপা
প্রকাশ: ০৭ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
একটি পরিবার ও সমাজের মেরুদণ্ড শক্তিশালী রাখার জন্য নারীর সুস্বাস্থ্য অপরিহার্য। দৈনন্দিন জীবনের চাপে অনেক নারী নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি যথেষ্ট মনোযোগ দিতে পারেন না। তবে সুস্থ থাকা মানে শুধু শারীরিক সুস্থতা নয়, মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়াও সমানভাবে জরুরি।
সুষম খাদ্যাভ্যাস
সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত হলো সঠিক পুষ্টি। রুটিনমাফিক পরিমিত খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। তৈলাক্ত ও অত্যধিক ক্যালরিযুক্ত খাবার এড়িয়ে খাদ্য তালিকায় শাকসবজি, ফলসহ পুষ্টিকর খাবার বেছে নিন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন। প্রতিদিনের ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবার যুক্ত করুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। চেষ্টা করুন খাদ্যতালিকায় বাদাম এবং দুগ্ধজাত পণ্য রাখতে।
নিয়মিত শরীরচর্চা
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা অথবা ইয়োগা করুন। ভোরে কোনো পার্ক অথবা ঘরের ভেতরে হেঁটেও শরীর ফিট রাখা সম্ভব। এটি আপনার শরীরকে ফিট রাখার পাশাপাশি মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। নিয়ন্ত্রণ মানে মডেলদের মতো দৈহিক অবয়ব হতে হবে এমন নয়। যা বিএমআই সূচক হিসাবে ওই বয়স, উচ্চতা ও কাজের পরিধি সাপেক্ষে সঠিক।
পর্যাপ্ত ঘুম
ঘুমের ঘাটতি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক নারীর জন্য প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিমিত বিশ্রাম নিন। বেশি রাত না জেগে তাড়াতাড়ি বিছানায় চলে যাওয়া এবং খুব ভোরে দিন শুরু করলে শরীর ও মন দুটিই প্রাণবন্ত রাখা সম্ভব।
মানসিক স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব দিন
আপনার মনের যত্ন নিন। প্রতিদিন অন্তত কিছু সময় নিজের জন্য রাখুন। শারীরিক সুস্থতার মতো মানসিক সুস্থতাও প্রয়োজন। মন ভালো রাখতে বই পড়তে পারেন, পরিবার, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন। করতে পারেন ছাদবাগান, গান শুনতে পারেন, পথশিশু বা দুস্থ ব্যক্তিদের জন্য নিতে পারেন কোনো উদ্যোগ। বিশেষ কোনো সমস্যা বা মানসিক চাপ থাকলে বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন।
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
৪০ বছরের বেশি বয়সের নারী বছরে অন্তত একবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে যাচাই করে নিতে পারেন শরীরের সার্বিক সুস্থতা। বিশেষত, যেসব নারীর পরিবারে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা ক্যানসারের ইতিহাস আছে, তাদের জন্য এটি আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
নেতিবাচকতা পরিহার করুন
নেতিবাচক মানুষ পরিহার করুন। সম্ভব না হলে এড়িয়ে চলুন এবং নিজের সব নেতিবাচক অনুভব ত্যাগ করার চেষ্টা করুন। আজকাল অনেক নারী ধূমপানে আসক্ত হয়ে পড়ছেন, যা হতে পারে শারীরিক অসুস্থতার কারণ। নারীর স্বাস্থ্য সচেতনতা কেবল তার নিজের নয়, তার পরিবার ও সমাজের ভবিষ্যতের ওপরও প্রভাব ফেলে। সুতরাং আসুন আমরা নিজেদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও বেশি মনোযোগ দেয় এবং একসঙ্গে একটি শক্তিশালী ও সুস্থ সমাজ গড়ে তুলি।