পরামর্শ
নারীর আত্মরক্ষার কার্যকর কৌশল

উপমা ইসলাম রুপা
প্রকাশ: ১০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়ান : আত্মরক্ষার মূল ভিত্তি হলো নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস। সবার আগে নিজের ক্যারিয়ার গড়বেন। এ বিষয়ে কোনো ছাড় নয়। আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা কখনো বিসর্জন দেবেন না। দৃঢ় মনোভাব যে কোনো অপরাধপ্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করে। যে কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নারীদের মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকা জরুরি।
আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নিন : আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ নারীদের শারীরিক এবং মানসিক দক্ষতা বাড়ায়। বিশেষ কিছু কৌশল; যেমন- কারাতে ও মার্শাল আর্ট শারীরিক আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কার্যকর। সেলফ-ডিফেন্স প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আক্রমণকারীকে সামলানোর সহজ কৌশল শিখুন। বিপদে কাজে দেবে।
সব সময় সতর্ক থাকুন : প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি। অপরিচিতদের সঙ্গে একা চলাফেরা এড়িয়ে চলুন। রাতের বেলা নির্জন এবং অন্ধকার রাস্তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। প্রয়োজনে বিকল্প হিসাবে আলোকিত ও জনবহুল রাস্তায় চলাচল করুন। সন্দেহজনক পরিবেশ দেখলে দ্রুত সরে যাওয়ার চেষ্টা করুন। সবসময় নিরাপদে যত দ্রুত সম্ভব ঘরে ফিরুন।
প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করুন : প্রযুক্তি নারীর সুরক্ষায় বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিরাপত্তার জন্য লাইভ লোকেশন শেয়ার করাসহ প্রয়োজনীয় মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করতে পারেন। মুঠোফোনের ডায়াল লিস্টে জরুরি অবস্থার জন্য পুলিশের হেল্পলাইন নম্বর তুলে রাখুন।
সুরক্ষার সরঞ্জাম সঙ্গে রাখুন : সহজে বহনযোগ্য সুরক্ষা সরঞ্জাম নারীদের আত্মরক্ষায় সহায়ক হতে পারে। যেমন- পেপার স্প্রে: এটি চোখে ব্যবহার করলে আক্রমণকারী সাময়িকভাবে দৃষ্টিহীন হয়ে পড়ে। অ্যালার্ম ডিভাইস: বিপদের সময় জোরে শব্দ করে সাহায্য চাইতে বেশ কার্যকর।
আইনি অধিকার সম্পর্কে সচেতন হন : নারীর আইনগত অধিকার সম্পর্কে সচেতন হওয়া ভীষণ জরুরি। নির্যাতন বা হয়রানির শিকার হলে কীভাবে অভিযোগ জানাতে হয় এবং আইনের সাহায্য নেওয়া যায়, তা জানা থাকলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।
মানসিক শক্তি অর্জন করুন : বিপদের সময় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া ও ঠান্ডা মাথায় কাজ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নারীদের এ দক্ষতা অর্জনের জন্য নিয়মিত মানসিক প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত।
সবাইকে বিশ্বাস করবেন না : চোখ বন্ধ করে সবাইকে বিশ্বাস করবেন না। নিজের আবেগ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখুন। নারীরা আবেগের কারণেও অনেক ক্ষেত্রে অপরাধের শিকার হয়। যে কোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে শান্ত রাখুন। গাড়ির ড্রাইভার, অ্যাপার্টমেন্টের দারোয়ানের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। তারা বিপদে সাহায্য করে। অতীত নিয়ে একদম ভাববেন না। তবে অতীত থেকে শিক্ষা নেবেন।