Logo
Logo
×

সুরঞ্জনা

ফিরে দেখা

আলোচিত

Icon

উপমা ইসলাম রূপা

প্রকাশ: ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

পরিবার, সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ, শিল্প, সংস্কৃতি, পরিবেশ-সর্বত্র রয়েছে নারীর অবদান। ২০২৪-এর উত্থান-পতনের বছরজুড়ে যারা ছিলেন আলোচনায় জেনে নিই তাদের সম্পর্কে। বিস্তারিত লিখেছেন-উপমা ইসলাম রূপা

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা। একাধারে তিনি বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী এবং একজন পরিবেশবিদ। যিনি দীর্ঘসময় ধরে পরিবেশগত ন্যায়বিচার নিয়ে কাজ করে আসছেন। চলতি বছর বর্তমান সরকারের পরিবেশ উপদেষ্টা হিসাবে শপথ নেওয়ার পর তার এ কার্যক্রম আরও বেগবান হয়েছে।

রিক্তা বানু

বাংলাদেশের রিক্তা বানু বিবিসির ২০২৪ সালের সেরা ১০০ নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন। ৩ ডিসেম্বর ২০২৪ সালের জন্য বিশ্বের ১০০ জন অনুপ্রেরণা জাগানো ও প্রভাবশালী নারীর তালিকা প্রকাশ করে বিবিসি। এ তালিকায় পাঁচটি বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান, স্বাস্থ্য ও প্রযুক্তি বিভাগে স্থান পেয়েছেন রিক্তা আক্তার বানু। কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ নার্স রিক্তা বানু। তার বাড়ি রমনা ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামে। এসব প্রত্যন্ত অঞ্চলে আজও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুকে অভিশাপ হিসাবে দেখা হয়। রিক্তা আক্তার বানুর মেয়ে সেরিব্রাল পালসিতে আক্রান্ত। দেড় দশক আগে মেয়েকে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অটিস্টিক বলে ভর্তি করতে অস্বীকৃতি জানায়। সেই কষ্ট থেকে নিজের জমি বিক্রি করে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার বন্দোবস্ত করতে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন একটি বিদ্যালয়। রিক্তা আক্তার বানুর লার্নিং ডিজঅ্যাবিলিটি স্কুলে এখন ৩০০ শিক্ষার্থী আছে। বিদ্যালয়টি প্রতিবন্ধী তার বিষয়ে সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে ইতিবাচক ভূমিকা রেখে চলেছে।

ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগের অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাহসী ভূমিকা রেখে হয়েছেন আলোচিত। ২০১৮ সালে কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষেও তিনি সোচ্চার ছিলেন। পারিবারিক আবহে ছোটবেলা থেকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা পেয়েছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে হাসপাতালগুলোতে সক্রিয়ভাবে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের পাশে আছেন এ নারী।

ড. সামিনা লুৎফা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিনা লুৎফা। একাধারে শিক্ষক, লেখক, গবেষক, নাট্যকর্মী, নাট্যসংগঠক এবং অ্যাক্টিভিস্ট। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে সাহসী অবস্থান রেখে আলোচিত হন।

নুসরাত তাবাসসুম

পুরো নাম নুসরাত তাবাসসুম জ্যোতি। ছাত্র-আন্দোলনে অন্যতম সমন্বয়ক নুসরাত তাবাসসুম। গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামে। পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। কোটা সংস্কারের দাবিতে সবাই যখন রাজপথে নেমেছে, তখন নির্ভীকচিত্তে সবাইকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন ও এগিয়ে নিয়েছেন নুসরাত।

মেরিনা তাবাসসুম

টাইম ম্যাগাজিনের শত প্রভাবশালী ব্যক্তি ২০২৪-এর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের এ নারী স্থপতি। মেরিনা তাবাসসুমের উল্লেখযোগ্য স্থাপনাগুলোর মধ্যে রাজধানীর স্বাধীনতা জাদুঘর, বায়তুল রউফ মসজিদ, কমফোর্ট রিভেরি, যশোরের পানিগ্রাম ইকো রিসোর্ট ও স্পা অন্যতম।

সং চাং ম্রো

পাহাড়ে ম্রো সম্প্রদায়ের প্রথম নারী চিকিৎসক সং চাং ম্রো। ইচ্ছাশক্তি, কঠোর অধ্যবসায় এবং পরিবারের অনুপ্রেরণায় এখন সং চাং ম্রো পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর এক অনুপ্রেরণার নাম। চিকিৎসক হয়ে এ বছর আলোচনায় আসেন সংচাং ম্রো। পার্বত্য চট্টগ্রামে শিক্ষার প্রসার ঘটলে সং চাং-এর মতো আরও অনুকরণ তৈরি হবে বলে বিশ্বাস ম্রো সম্প্রদায় জনগোষ্ঠীর।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম