মন্টিলুকাস্ট কখন সেবন করবেন

অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমান
প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
অনেকেই হাঁচি-কাশি হলেই মন্টিলুকাস্ট মুড়ি-মুড়কির মতো সেবন করেন। যে কোনো ওষুধ নির্দিষ্ট রোগের জন্য চিকিৎসক দিয়ে থাকেন এবং একেকটা ওষুধের ব্যবহারবিধি ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একেক রকম। যদি মেয়াদোত্তীর্ণ বা নকল ওষুধ হয় তাহলে ক্ষতির মাত্রা ভয়ংকর পরিণতি বয়ে নিয়ে আসবে। তাই সেবনের আগে সাবধান হতে হবে। চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ওষুধ সেবন করবেন না।
* কাদের মন্টিলুকাস্ট দেওয়া যায় না
▶ রোগীর কোনো ওষুধে অ্যালার্জি আছে কিনা।
▶ যদি আপনি গর্ভবর্তী, গর্ভবর্তী হওয়ার পরিকল্পনা করছেন বা শিশুকে বুকের দুধ পান করাচ্ছেন।
▶ লিভারের সমস্যা বা মদ্যপান করার অভ্যাস থাকলে।
▶ মানসিক সমস্যা বা এর জন্য কোনো ওষুধ সেবন করছেন কিনা।
▶ স্টেরয়েড ওষুধ সেবন ও ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স থাকলে।
* মন্টিলুকাস্ট কখন ব্যবহার করা হয়
▶ ক্রনিক অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
▶ সিজনাল অ্যালার্জিক রাইনাইটিস।
▶ অ্যাজমা বা হাঁপানি।
▶ এক্সারসাইজ ইনডিউসড অ্যাজমা।
* পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কেমন ডোজে সেবন করছেন ও নিয়ম না মেনে সেবন করলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। যেমন-
▶ ত্বকের গভীর স্তর ফুলে যাওয়া (এনজিওএডিমা)।
▶ হাইপারসেনসিটিভিটি রি-অ্যাকশান।
▶ ফুসকুড়ি, জ্বর।
▶ অস্থিরতা, উদ্বিগ্নবোধ, মাথা ঘোরা, খিটখিটে মেজাজ, দুঃস্বপ্ন, অনিদ্রা, ঘুমে হাঁটা।
▶ হজমে সমস্যা, বমি বমি ভাব, প্যানক্রিয়াটাইটিস।
মন্টিলুকাস্টের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার লক্ষণ পরিলক্ষিত হলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন। মন্টিলুকাস্ট সেবন করে গাড়ি চালাবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাঁচি-কাশি হলেই মন্টিলুকাস্ট সেবন করবেন না।
লেখক : মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, হেলথকেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার লি., শ্যামলী, ঢাকা।