Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ

Icon

অধ্যাপক ডা. মো. ফয়জুল ইসলাম চৌধুরী

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

ডেঙ্গুজ্বর প্রতিরোধ

ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ছে। এ রোগ থেকে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। নিচে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ তুলে ধরা হলো-

* এডিস মশা ও লার্ভা ধ্বংস করা।

* মশার জন্ম এবং বেড়ে ওঠার পরিবেশ রোধ করা।

* বাড়ির আঙিনায় ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা।

* বাড়িতে এবং তার আশপাশে তিন দিনের বেশি যাতে পানি জমে না থাকে, তাই প্রতি তিন দিনে একদিন জমানো পানি ফেলে দিন।

* বিভিন্ন ধরনের দ্রব্যাদি যেমন-ডাবের খোসা, ফুলের টব, টায়ার, প্লাস্টিকের পাত্র ইত্যাদিতে যেন পানি জমে না থাকে।

* দরজা জানালায় মস্কুইটো নেট লাগানো।

* দিনের বেলায় মশারি টানিয়ে শোয়া।

* মস্কুইটো রিপিলেন্ট শরীরে মাখা।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশ থেকে উন্নত অন্যান্য অনেক দেশে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাংলাদেশ থেকে বেশি। উদাহরণস্বরূপ সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়ার কথা বলা যেতে পারে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিক থেকে সিঙ্গাপুর বিশ্বে একটি রোল মডেল। তাহলে বোঝা যায় কেবল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নয় আরও অনেক কিছুই ডেঙ্গুর প্রকোপের পেছনে কাজ করে। এডিস মশার নিধন করতেই হবে। কিন্তু এডিস মশা নিধনের জন্য ওষুধ ছিটালেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এমনটা ভাবা ঠিক নয়। তাই ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার মূল কারণ নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে।

* ডেঙ্গু মশার বংশ বিস্তারের স্থান ধ্বংস করা সহজ নয়। দৃশ্যমান ও নাগালের ভেতরের যেসব স্থান আছে এগুলো থেকে মশা বিস্তার রোধ করা সম্ভব। কিন্তু অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ভেতরে এডিস মশার লাখ, কোটি বংশ বিস্তারের স্থান লুকিয়ে আছে, যা নাগালের বাইরে; যেগুলো নির্মূল করা আসলেই দুরূহ।

* মশা নিজেদের রক্ষার জন্য নিজ থেকেই এক ধরনের পদার্থ তৈরি করে যা, কীটনাশককে অকেজো করে দেয়। যার ফলে মশাগুলো মরে না।

* এটা অনুমান করা হচ্ছে যে, মশা অনেক সময় রক্ত সংগ্রহের সময় পরিবর্তন করে।

* নিজেকে অপ্রতিকূল অবস্থায় নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করার জন্য মশা তার আবাসনের পরিবর্তন ঘটায়। এডিস মশা গাছের ভেতরে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। বিশেষ করে নারিকেল গাছ এবং তাল গাছের ভেতরে জমে থাকা পানিতে বংশ বিস্তার করে। যদিও বংশ বিস্তারের জন্য এডিস মশার সবচেয়ে পছন্দের দুইটা জায়গা হলো ডাবের খোসা এবং গাড়ির টায়ার।

* কিছু কিছু মশা ওষুধ প্রয়োগের পর পরিবেশের ভেতরে স্থায়ী আসন করে নেয়।

* ডেঙ্গুর কার্যকর ভ্যাকসিন আবিষ্কার এখনো সম্ভব হয়নি। এতে বোঝা যায় ডেঙ্গুকে প্রতিরোধ করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তাই বলে আমাদের পিছপা হলে চলবে না। আমরা যে যেখানে, যে অবস্থানে আছি, সবাই মিলে সমন্বিতভাবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবো।

লেখক : সাবেক ইউনিট প্রধান, মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাপসাতাল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম