Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

মুখের ঘা প্রতিকার ও প্রতিরোধ

Icon

ডা. অনুপম পোদ্দার

প্রকাশ: ১৯ আগস্ট ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সাধারণত আঘাতের কারণে (যেমন ভাঙা দাঁত), হরমোনাল পরিবর্তন বা মানসিক চাপ থেকে মুখে ঘা হয়ে থাকে। এগুলো সাধারণত এমনিতে চলে যায় বা কোন কোন সময় চিকিৎসা লাগে। বেশিভাগ সময়ে ঘায়ে ব্যথা হওয়ার কারণে কথা বলতে, খাওয়া-দাওয়া করতে বা পানি পান করার সময় সমস্যা হয়। কোন কোন সময় মুখে আলসার ভাইরাসজনিত কারণ বা অটো ইমিউন ডিজিজ যা পরিপাকতন্ত্রের সমস্যাজনিত কারণেও হয়। সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে অ্যাপথাস আলসার। এছাড়াও ঘা দেখা যায় ওরাল লাইকেন প্ল্যানাস, লিউকোপ্লাকিয়া, ইরাইথ্রোপ্লাকিয়া, ওরাল থ্রাস ও মুখের ক্যানসারে।

* কী কারণে হয়

▶ দাঁতের যেকোনও ধরণের ট্রিটমেন্ট করার সময় ওরাল টিস্যুতে আঘাত।

▶ অসাবধানতায় মুখের গালে বা জিহ্বায় কামড় লাগা।

▶ এলার্জি।

▶ অর্থোডোনটিক্স ব্রেসেস বা রিটেইনার থেকে আঘাত।

▶ টুথপেস্টে এবরেসিভ উপাদান বেশি থাকলে সেখান থেকে মুখে ঘা হতে পারে।

▶ অ্যাসিডিক খাবার যেমন কমলা, আপেল, স্ট্রবেরি জাতীয় ফল বেশি খেলে।

▶ মানসিক চাপ।

▶ ঘুম কম হলে।

▶ উপসর্গ কী

ঘা-এর চারপাশে লাল দাগ দেখা যায়। ক্ষতস্থান হলুদ, সাদা বা ধূসর বর্ণের হয়ে থাকে। ক্ষতের চারপাশে ফুলে যেতে পারে। দাঁত ব্রাশ করার সময় ব্যথা হতে পারে। ঝাল, লবণাক্ত খাবার, টক জাতীয় খাবার খাওয়ার সময় ব্যথা বেশি অনুভব হতে পারে।

* করণীয়

▶ প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে (৮ গ্লাস সর্বনিম্ন)।

▶ মুখ ও দাঁতের যত্ন নিতে হবে।

▶ প্রতিদিন লবণ, গরম পানি দিয়ে কিছু সময় ধরে কুলকুচি করতে হবে।

▶ সমপরিমাণ পানির সঙ্গে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড মিশিয়ে কুলকুচি করা যেতে পারে।

▶ গরম, ঝাল ও ভাজাপোড়া খাবার বর্জন করতে হবে।

▶ এনেসথেটিক্স জেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

* চিকিৎসা

অধিকাংশ মুখের ঘা এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে অ্যান্টিসেপটিক জেল বা মাউথ ওয়াশ, স্টেরয়েড ওয়েন্টমেন্ট (ট্রায়ামসিনোলন) ও ইমিউনো সাপ্রেসিভ ওষুধের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা হয়।

লেখক : অধ্যক্ষ, খুলনা ডেন্টাল কলেজ।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম