Logo
Logo
×

সুস্থ থাকুন

ওজন কমাতে কী খাবেন

Icon

নিশাত শারমিন নিশি

প্রকাশ: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওজন কত হবে তা তার বয়স ও উচ্চতা অনুযায়ী নির্ভর করে। একে বলা হয় বিএমআই। এটি যদি নির্দিষ্ট রেঞ্জ অতিক্রম করে সেক্ষেত্রে তাকে স্থূলকায় বলা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির কাঙ্ক্ষিত ওজনের চেয়ে ৫ কেজি বেশি হলেই সতর্ক থাকা প্রয়োজন। ওজন বাড়তে থাকলে প্রথমে যে সমস্যাটি হতে পারে সেটি হলো ডায়াবেটিস। ওজন বেশি থাকলে অবশ্যই লিপিড প্রফাইল টেস্ট করানো জরুরি। যদি ওজনের সঙ্গে সঙ্গে লিপিড প্রফাইল খারাপ অবস্থায় থাকে সে ক্ষেত্রে হার্ট, লিভার ইত্যাদির সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা হয়। যাদের ওজন বেশি থাকে তাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও বেশ কম। অনেকে ওজন কমাতে গিয়ে নানারকম এলোমেলো বা ভুল ডায়েট ফলো করেন। এ ক্ষেত্রে মাথা ঘুরানো বা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কিছু ভিটামিন ও মিনারেলসের ঘাটতি হতে দেখা যায়। কিছু খাবার রয়েছে যে খাবারগুলো ওজন কমাতে সাহায্য করে।

* গ্রিন টি : যাদের ওজন অনেক বেশি এবং চা খাওয়ার প্রবণতাও বেশি তারা খেতে পারেন গ্রিন টি। এটি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে।

* গ্রিন আপেল : খাদ্য তালিকায় অবশ্যই গ্রিন আপেল রাখতে পারেন। কথায় আছে প্রতিদিন একটি করে আপেল গ্রহণে ডাক্তারের কাছে ছোটাছুটি করার প্রয়োজন কম হয়। এটি কম ক্যালরি ও উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সক্ষম একটি ফল। বেশি ওজনের ব্যক্তিদের অনেকেই বারে বারে ক্ষুধার প্রবণতা থাকে সে ক্ষেত্রে এটি বেশি পরিমাণ গ্রহণ করলেও সমস্যা হয় না।

* মেথি : মেথির গুণের শেষ নেই। এক গ্লাস পানিতে দুই টেবিল চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে অথবা খাওয়ার পর গ্রহণে পেটের মেদ বা ভুঁড়ি কমে যায়। এতে থাকা ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূর করা থেকে শুরু করে দেহকে ডিটক্সিফাই বা জীবাণুমুক্ত করতেও কার্যকরী। ওজন কমাতে গিয়ে যেন এমন কোনো খাদ্য তালিকা নির্বাচন বা রেস্ট্রিকশন করা না হয় যাতে পরবর্তীতে অসুস্থ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকেই অতিরিক্ত রেস্ট্রিকশনের ফলে দীর্ঘমেয়াদি ডায়েট অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয় যার ফলে টার্গেটে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং পরবর্তীতে যতটুকু ওজন কমিয়েছিলেন তার দ্বিগুণ ওজন বাড়িয়ে ফেলেন।

** টিপস

* দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকা যেন না হয়।

* দুধ ও দুধ জাতীয় খাবারগুলোকে খাদ্য তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দেয়া যাবে না। কেননা দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ করে দিলে পরবর্তীতে হাড় ক্ষয় রোগ বা অস্টিওপরেসিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

* ডায়েট করার সময় খাদ্য উপাদানগুলোকে রেস্ট্রিকশন করার পাশাপাশি ক্যালোরি বার্ণের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে অন্ততপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট প্রতিদিন দুই বেলা হাটা স্বাস্থ্যসম্মত।

লেখক : প্রধান পুষ্টিবিদ ও বিভাগীয় প্রধান, পপুলার মেডিকেল কলেজ হসপিটাল

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম