সিলেট টেস্ট
‘যদি ৪০০ রান করতে পারি...’
বললেন পাঁচ উইকেট নেওয়া মেহেদী হাসান মিরাজ
জ্যোতির্ময় মন্ডল, সিলেট থেকে
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সারাটা দিন নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন তাইজুল ইসলাম। সাদমান ইসলামের হাত ফসকে না গেলে একটি উইকেট পেতেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। তবে ওই সময় নিয়াউচি আউট হলে মেহেদী হাসান মিরাজের পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়া হতো না। নিয়াউচির উইকেট নিয়েই ক্যারিয়ারে ১১তমবার পাঁচ উইকেটের কীর্তি গড়লেন ডান-হাতি অফ-স্পিনার মিরাজ। টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসাবে ২০০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করতে মিরাজের প্রয়োজন আর মাত্র পাঁচ উইকেট। প্রথমদিনের যাচ্ছেতাই ব্যাটিং-বোলিংয়ের পর দ্বিতীয়দিন বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ইনিংসে নয় উইকেট হাতে রেখে ২৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে, জানালেন মিরাজ।
উইকেটে স্পিনারদের জন্য তেমন সুবিধা ছিল না। ভ্যারিয়েশন কাজে লাগিয়ে উইকেট পেয়েছেন মিরাজ। সংবাদ সম্মেলন শেষে দ্রুত বেরিয়ে যাওয়ার পথে জানালেন, ‘আমরা পারব।’ সাদা পোশাকের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকারের তালিকায় মিরাজের উপরে রয়েছেন সাকিব আল হাসান (১৯ বার) ও তাইজুল ইসলাম (১৫ বার)। মিরাজ বলেন, ‘অবশ্যই পাঁচ উইকেট পেলে সবারই ভালো লাগে। নিজের কাছে প্রত্যাশা খুব বেশি ছিল না তার। ভালো জায়গায় বোলিং করেছি। একই সঙ্গে ভাগ্যেরও সহায়তা লাগে।’
জিম্বাবুয়ের শেষ উইকেট নিতে মিরাজের লাগে মাত্র দুই বল। জিম্বাবুয়ের লিড থামে ৮২ রানে। আরও অন্তত ৩০-৩৫ রান কমে জিম্বাবুয়েকে আটকে রাখা যেত। ২৭ বছর বয়সি এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘সবার আগে আমাদের লিডটা পার করতে হবে। এরপর ব্যাটারদের দায়িত্ব নিয়ে বড় স্কোর করতে হবে। ভালো ব্যাটিং করে যদি ৩৫০-৪০০ রান করতে পারি তাহলে আমাদের জন্য ভালো। লক্ষ্যটা তিনশ রান দিলে প্রতিপক্ষের জন্য কঠিন হবে। বিশেষ করে এই উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং করা কঠিন। উইকেটে আরও পরিবর্তন আসবে।’
তিনি বলেন, ‘মাঠে থাকায় অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি এই উইকেটে কীভাবে বোলিং করতে হবে। কোচ বলেছিলেন, এই উইকেটে পেস গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম স্পেলের বলের গতি দেখা হয়েছে। সেটা বিশ্লেষণ করে পরে আবার প্রয়োগ করা হয়েছে। বল করলেই তো আর উইকেট পাওয়া যায় না। ব্যাটাররা যখন কষ্ট করে খেলবে, রান বের করতে পারবে না সহজে, তখনই আউটের অবস্থা তৈরি হবে। আমার পরিকল্পনা ছিল ব্যাটারদের চাপে রাখা। এরপরই উইকেট পেয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘পেস বোলাররা বেশি ভালো করেছে। বিশেষ করে নাহিদ রানা। পেসারদের দেখানো পথেই আমরা ভালো করতে পেরেছি।’
স্কোর কার্ড
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ১৯১ (মুমিনুল হক ৫৬, নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০, জাকের আলী ২৮। ব্লেসিং মুজারাবানি ৩/৫০, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ৩/২১)।
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস ২৭৩ (ব্রায়ান বেনেট ৫৭, শন উইলিয়ামস ৫৯, ওয়েসলি মাদেভেরে ২৪, নায়াশা মায়াভো ৩৫, রিচার্ড এনগারাভা ২৮*। নাহিদ রানা ৩/৭৪, মেহেদী হাসান মিরাজ ৫/৫২)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস
রান বল ৪ ৬
সাদমান ক উইলিয়ামস ব মুজারাবানি ৪ ১০ ১ ০
মাহমুদুল হাসান ব্যাটিং ২৮ ৪২ ৬ ০
মুমিনুল হক ব্যাটিং ১৫ ২৬ ৩ ০
অতিরিক্ত ১০
মোট (১ উইকেটে, ১৩ ওভারে) ৫৭
উইকেট পতন : ১/১৩।
বোলিং : ভিক্টর নিয়াউচি ৫-২-১১-০, ব্লেসিং মুজারাবানি ৪-০-২১-১, রিচার্ড এনগারাভা ৪-০-২০-০।
