Logo
Logo
×

খেলা

আজ আসছেন হামজা চৌধুরী

বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ম্যানচেস্টার থেকে হামজাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে

Icon

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৭ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

দেশের ফুটবলে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনা হতে যাচ্ছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা কোনো ফুটবলার এই প্রথম লাল-সবুজের জার্সি গায়ে তুলতে আসছেন দেশে। বর্তমান শেফিল্ডে ধারে খেলা লেস্টার সিটির ফুটবলার হামজা চৌধুরী আসছেন আজ, যা এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে ম্যানচেস্টার থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা প্রবাসী এই ফুটবলারকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানাতে দুদিন আগেই সিলেট পৌঁছেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সদস্যরা। রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা। বিমানবন্দরে হামজা প্রবেশের পর সেখান থেকে তাকে সঙ্গে করে গাড়ির বহর যাবে বাবার বাড়ি হবিগঞ্জে। দুদিন পূর্বপুরুষের বাড়িতে কাটাবেন হামজা চৌধুরী।

বাংলাদেশে আগেও বহুবার এসেছেন হামজা চৌধুরী। তবে এবারই প্রথম আসছেন খেলতে। ১৯৯৭ সালে ইংল্যান্ডে জন্ম হামজার। ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে আসা শুরু হয়। প্রতিবছরই নাকি বাহুবলের স্নানঘাট গ্রামে এসেছেন। হামজা শেষবার হবিগঞ্জের স্নানঘাটে আসেন ২০১৪ সালে। তবে এবার তার আগমনটা বিশেষ। এবার আসা হচ্ছে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে ফুটবল খেলবেন বলে। এ নিয়ে শিহরিত হামজার পরিবারও। বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী আগেই চলে এসেছেন হবিগঞ্জে। হামজার আসা উপলক্ষ্যে হবিগঞ্জে তাদের বাড়িতে পড়ছে রঙের শেষ আঁচড়। কারণ মা, স্ত্রী, দুই ভাই ও সন্তানসহ নয় সফরসঙ্গী নিয়ে আসছেন প্রবাসী এই ফুটবলার। হামজার ইচ্ছা, বাংলাদেশের জার্সিতে তার অভিষেক ম্যাচটা যেন পরিবারের সবাই মাঠে বসে দেখতে পারেন। ২৫ মার্চ শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে এএফসি এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইয়ের ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেখানে হামজার সফরসঙ্গী হতে পারেন পরিবার ও নিকটাত্মীয়সহ ১৬ থেকে ১৭ জন।

এই তারকার আগমনে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাফুফে। জানা গেছে, সময়ের সীমাবদ্ধতার কারণে হামজার জন্য আলাদা সংবর্ধনার আয়োজন না করলেও সিলেটে অবতরণ থেকে শুরু করে ঢাকায় আসা এবং ভারতে যাত্রা পর্যন্ত তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়েছে বাফুফে। সহসভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, ‘হামজা ১৭ মার্চ সিলেটে পৌঁছানোর পর বাফুফের কয়েকজন নির্বাহী সদস্য তাকে স্বাগত জানাবেন। এরপর তিনি হবিগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন, যেখানে তার যাতায়াতের জন্য বিশেষ গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। তার নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষণিক একজন অফিশিয়ালও দায়িত্ব পালন করবেন।’ হামজাকে বরণ করতে ঢাকা থেকে সিলেটে দুদিন আগেই হাজির হন বাফুফের সদস্য সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া শাহিন, সাবেক ফুটবলার ইকবাল হোসেন ও গোলাম গাউস, হামিদুর রহমান সবুজ ও কামরুল হাসান হিলটন।

হবিগঞ্জে দুদিন থেকে ১৯ মার্চ দুপুরে ঢাকায় টিম হোটেলে যোগ দেবেন হামজা। ওই দিন দুপুরে অফিশিয়াল প্রেস কনফারেন্সে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হবেন তিনি। তার আগে সকালে দলীয় ফটোসেশন হবে। এরপর বিকাল বা সন্ধ্যায় অনুশীলনে নামার কথাও রয়েছে হামজার। দলের অনুশীলনের ব্যাপারটি অবশ্য নির্ভর করছে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার ওপর। এ বিষয়ে ফাহাদ করিম বলেন, ‘আমরা তো চাই হামজা এখানে (ঢাকায়) একদিন অনুশীলন করুন। এখন ক্যাম্প চলাকালীন সব সিদ্ধান্ত তো কোচের। অনুশীলন হবে, নাকি জিম সেশন হবে সেটা কোচ নির্ধারণ করবেন।’

হামজার আসল বাবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষ। মা রাফিয়া চৌধুরীর বিয়ে হয়েছিল একজন ক্যারিবিয়ানের সঙ্গে। কিন্তু সেখানে তার আর সংসার করা হয়নি। পরে দেওয়ান মোরশেদ চৌধুরীর সঙ্গে হামজার মায়ের বিয়ে হয়। মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী মিডিয়াকে বলেছেন, ‘হ্যাঁ এটা সত্য। বায়োলজিক্যালি আমার সন্তান না। হামজার বাবা ওয়েস্ট ইন্ডিজের। তিনি ব্রিটিশ নাগরিক। আমি যখন বিয়ে করি তখন হামজার এক বছর বয়স।’ এক বছর বয়স থেকে পিতৃস্নেহে বড় করেছেন হামজাকে। নতুন বাবার বংশ পরিচয়ে হামজা দেওয়ান চৌধুরী নামে তার নাম রেজিস্ট্রেশন করা হয়। নতুন নামে বেড়ে উঠেছেন তিনি। হামজা ছাড়াও দেওয়ান মোরশেদের ঘরে আরও তিন সন্তান রয়েছে। দেওয়ান মোরশেদ বলেন, ‘আমার তিন ছেলে, এক মেয়ে। বড় ছেলে হামজা, মেয়ে তাসনিম এবং পরে আরও দুই ছেলে মেহেদী ও মাহী।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম