আমিনুল বললেন
‘সিনিয়র ফুটবলাররা চলে গেলে অপূরণীয় ক্ষতি হবে’

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

ছবি: সংগৃহীত
নারী ফুটবলে হযবরল অবস্থা। বিদ্রোহীরা নিজেদের অবস্থানে অনড়। ব্রিটিশ কোচ বাটলারও সাবিনাদের ছাড়া জাতীয় দল সাজাতে প্রস্তুত। বেকায়দায় বিদ্রোহী ১৮ ফুটবলার। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সঙ্গে চুক্তি থেকে বাদ পড়তে পারেন তারা। কোচের অপসারণ চেয়ে বিদ্রোহ করা সাবিনাদের ক্যাম্প ছাড়ার উপক্রম হয়েছে। ১৮ নারী ফুটবলার বাফুফে ক্যাম্প ছাড়লে সেটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য অনেক বড় ক্ষতি হবে। এমনটি মনে করেন জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক ও গোলরক্ষক আমিনুল হক।
তার কথায়, ‘সিনিয়র ফুটবলাররা যদি চলে যায় সেই ক্ষতি বাংলাদেশের ফুটবলে অপূরণীয়। এটা জাতির দুর্ভাগ্য হয়ে থাকবে। দায় বাফুফেকে নিতে হবে। বাফুফের অবশ্যই তাদের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। তারা যেন ফুটবলের সঙ্গে থাকেন এটা নিশ্চিত করাও বাফুফের দায়িত্ব।’
সাফ পুরুষ ফুটবলে বাংলাদেশ একবারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ২০০৩ সালে ঢাকা সাফ ফুটবলে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার অন্যতম নায়ক গোলকিপার আমিনুল। সাফজয়ী দলের এই সদস্য সাবিনাদের পাশে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘যে কোনো শিরোপা যে কত কষ্ট, পরিশ্রমে আসে’ এটা খেলোয়াড়রই জানে। সেখানে নারী দলের অনেকেই টানা দুবার সাফ চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য। খেলোয়াড়-কোচ সমস্যা অনেকদিন ধরে। খেলোয়াড়দের বিষয়টি প্রাধান্য দিয়ে ফেডারেশনের উচিত ছিল বিষয়টির মীমাংসা করে এরপর কোচ ঠিক করা। এখন ফেডারেশনের উচিত, দায়িত্বে যাদের অবহেলায় সংকট তৈরি হয়েছে তাদের অপসারণ করা।’
এদিকে বাফুফের বিশেষ কমিটি সপ্তাহ ধরে যে তদন্ত করেছে, সেখানে সাবিনাসহ ১৮ ফুটবলারের করা অভিযোগ ধোপে টেকেনি। সিদ্ধান্ত হয়েছে, কোচ থাকবেন। বিদ্রোহী ফুটবলাররা অনুশীলনে যোগ না দিলে বাদ পড়বেন। বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল ১৮ ফুটবলারকে সেই বার্তা দিয়েছেন। সাবিনারা দোটানায়। ক্যারিয়ার বাঁচাতে হলে তাদের অনুশীলনে ফিরতে হবে। আর জেদ ধরে রাখলে ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে।