দুর্দান্ত বোলিংয়ে ছয় উইকেট তাসকিনের
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
শুধু কি আতাহার আলী খান অবাক হয়েছেন? আলবৎ না। বিস্মিত হয়েছেন সবাই। ১৮১ রানে পিছিয়েও বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ঘোষণা অ্যান্টিগা টেস্টের সবচেয়ে বড় সারপ্রাইজ। সোমবার প্রথম টেস্টের চতুর্থদিন এই সারপ্রাইজ ক্রিকেটের আদি ফরম্যাটের সৌন্দর্য ও আকর্ষণ বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণে।
২৬৯/৯-এ তৃতীয়দিন শেষ করা বাংলাদেশ কাল আর ব্যাট করতে নামেনি। বাংলাদেশের সেই চমক জাগানিয়া সিদ্ধান্তেই কি না কে জানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫২ রানে অলআউট হয়ে যায়। ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে ছয় উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ।
এ বছর জানুয়ারিতে প্রথম ইনিংসে ১৯০ রানে পিছিয়েও ইংল্যান্ড ২৮ রানে হারিয়েছিল ভারতকে। এছাড়া ২০০৬ সালে দ্য ওভালে বিতর্কিত সেই টেস্টের প্রসঙ্গও টেনে আনা যায়। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩৩১ রানের লিড নিয়েও ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছিল খেলা চালিয়ে যেতে অস্বীকৃতি জানানোয়। ১৮৯৪ সালে সিডনি টেস্টে ২৬১ রানে পিছিয়েও ইংল্যান্ড ১০ রানের নাটকীয় জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও। ১৯৮১ তেও একই পরিস্থিতিতে ভাগ্য প্রসন্ন হয় ইংল্যান্ডের। সেবার হেডিংলি টেস্টে ২২৭ রানে পিছিয়েও তারা ১৮ রানে জয়ী হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ১৯৯২ সালের আগস্টে কলম্বো টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৯১ রানে এগিয়েও শ্রীলংকা ১৬ রানে হেরেছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
সবশেষে ২০০১ সালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া কলকাতা টেস্টের উল্লেখ করা যায়। ২৭৪ রানের ডেফিসিট সত্ত্বেও ফলো-অনে পড়া ভারত ১৭১ রানে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮১ রানের ম্যারাথন ইনিংস খেলেছিলেন ম্যাচসেরা ভিভিএস লক্ষ্মণ। রাহুল দ্রাবিড়ের ব্যাট থেকে এসেছিল ১৮০ রান।
অ্যান্টিগা টেস্টে উপরের অলৌকিক ঘটনাগুলোর যেগুলোর একটির পুনরাবৃত্তির প্রত্যাশা করাটা বাতুলতা। বাংলাদেশ চতুর্থদিন সবচেয়ে বড় চমক দেখিয়ে এই টেস্টে প্রাণ সঞ্চার করেছে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম ইনিংস
৪৫০/৯ ডিক্লেয়ার।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস
২৬৯/৯ ডিক্লেয়ার
(মুমিনুল হক ৫০, লিটন
দাস ৪০, মেহেদী হাসান
মিরাজ ২৩, জাকের আলী
৫৩, তাইজুল ইসলাম ২৫। আলজারি জোসেফ ৩/৬৯, জেডেন সিলস ২/৪২, জাস্টিন গ্রিভস ২/৩৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংস ১৫২/১০, (ক্রেগ ব্রাফেট
২৩, মিকাইল লুই ৮, কাভেম
হজ ১৫, অ্যালিক আথানাজে
৪২। তাসকিন আহমেদ ৬/৬৪, হাসান মাহমুদ ০/১৫, শরীফুল
ইসলাম ১/৯, মেহেদী হাসান মিরাজ ২/৩১)।