
প্রিন্ট: ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৫ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
এক বিদেশি কূটনীতিককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে পাঁচ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টা করেছে একটি প্রতারক চক্র। ওই কূটনীতিকের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিবি তদন্ত শুরু করলে বেরিয়ে আসে বিষয়টি। এ ঘটনায় অভিনেত্রী ও মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০ বিজয়ী মেঘনা আলম এবং তার সহযোগী দেওয়ান সামিরকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মেঘনাকে বুধবার রাজধানীর ভাটারার একটি আবাসিক এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিশেষ ক্ষমতা আইনে তাকে ৩০ দিনের জন্য কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করা হয় তার সহযোগী মো. দেওয়ান সামিরকে। শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে সামিরের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, নারীদের ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও ধনাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টা করে আসছেন আসামি সামির। তার বিরুদ্ধে পাঁচ মিলিয়ন ডলার চাঁদা দাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শুক্রবার ভাটারা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। শনিবার তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
পুলিশ জানায়, চক্রটি গত বছরের জানুয়ারি থেকে কূটনীতিককে টার্গেট করে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। পরে তাকে ফাঁদে ফেলে মঙ্গলবার সামির নিজ বাসায় বসে পাঁচ মিলিয়ন ডলার আদায়ের চেষ্টা করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে দেশের সম্মান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পরবর্তীকালে অভিযোগ পাওয়ার পর ডিবি টিম ও পুলিশের একটি দল বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ভাটারার একটি আবাসিক এলাকা থেকে সামির নামে একজনকে গ্রেফতার করে। তিনি ‘কাওয়াইই’ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সিইও এবং ‘সানজানা’ নামে একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে পরিচয় দেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, তারা তার দলের সদস্য সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে ধনীর দুলাল বা বিদেশি প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে। পরে নানা কৌশলে তাদের কাছ থেকে টাকা আদায় করে।
সামিরের রিমান্ড আবেদনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই আরিফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে এজাহারে উল্লিখিত অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামি তার সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ফাঁদে ফেলে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, তাদের সম্মানহানির হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে। তাই আসামিকে দ্রুত জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন, না হলে দেশের সম্মান ও অর্থনৈতিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।