
প্রিন্ট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪৮ পিএম

বন্দর (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
বন্দরে চাঁদা দাবিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে ২৬নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলীসহ উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত একপক্ষের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরপক্ষের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। আহত অন্যরা হলেন-ইছাক (৪০), রশিদ (৪০), জহিরুল (৩২), শফিকুল (৪৫), মামুন (৩৫) ও বেলায়েত (১৬)। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বন্দর ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। শনিবার ২৬নং ওয়ার্ডের বন্দরের রামনগর ইস্পাহানী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবদল নেতার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার বাদী হয়ে বন্দর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৬নং ওয়ার্ড বন্দরের সোনাচড়া এলাকার মো. আলী কয়েক দিন আগে তালতলার একটি স্টিল মিলে প্লেট চাপায় নিহত হন। পরে বাদিনীর স্বামী সফর আলী ও অ্যাডভোকেট বিল্লাল হোসেনের মধ্যস্থতায় নিহত মো. আলীর স্ত্রীকে দশ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসাবে প্রদান করে মীমাংসা করা হয়।
বেশ কিছু দিন ধরে স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ মৃত মো. আলীর স্ত্রীর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। চাঁদা চাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে সফর আলী প্রতিবাদ করলে রাসেল ও আলামিনদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। পরে রামনগর ইস্পাহানী এলাকার মতি মিয়ার ছেলে রাসেল, একই এলাকার মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে আল আমিন, মৃত আল ইউনুছ মিয়ার ছেলে আমানত ও একই এলাকার আকবর মিয়ার দুই ছেলে মনির ও মামুনসহ অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালায়। তারা কয়েকটি বসতঘর ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গিয়ে ৭ জন রক্তাক্ত জখম হন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে বন্দর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।