
প্রিন্ট: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৪:০০ এএম

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আরও পড়ুন
এক করদাতা রেমিট্যান্স হিসাবে ৭৩০ কোটি টাকা বিদেশ থেকে এনে আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। তবে তিনি ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেননি। সোমবার ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সঙ্গে ‘অর্থনীতি-আলাপন : রাজস্ব ব্যবস্থাপনা ও গণমাধ্যম’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান। মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর রেয়াত সুবিধা দেওয়া হয় ভালো উদ্দেশ্যে। প্রবাসে যারা কঠোর পরিশ্রম করে টাকা উপার্জন করে তাদের টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে নিয়ে আসার জন্য রেমিট্যান্সকে আয়করমুক্ত করা হয়েছে। অথচ একজন ব্যক্তি ৭৩০ কোটি টাকা নিয়ে এলেন এবং তিনি বলছেন এটা ওয়েজ আর্নার ও করমুক্ত। এ ধরনের আরও অনেক ঘটনা বেরিয়ে আসছে।
তিনি আরও বলেন, শুধু এনবিআরকে ডিজিটাইজেশন করলে হবে না। অন্য স্টেকহোল্ডারদের ডিজিটাল হতে হবে এবং আমাদের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ থাকতে হবে। ব্যাংকিং সিস্টেমের সঙ্গে ইন্টিগ্রেট করছি। যাতে করে আগামী বছর অটোমেটিক্যালি আমরা অনলাইন রিটার্ন যখন নেব, তখন কার ব্যাংকে কত টাকা আছে তা রিটার্নে চলে আসবে। কার কাছ থেকে কত টাকা ট্যাক্স কাটা হয়েছে, কত মুনাফা পেয়েছেন তাও চলে আসবে। একইভাবে আমরা সিডিবিএলের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশন করলে ডিভিডেন্টের তথ্য আমরা অটোমেটিক পেয়ে যাব। এভাবে যতগুলো জায়গায় ইন্টিগ্রেশন করা সম্ভব সব জায়গায় করব।
বর্তমানে এক কোটি ১৩ লাখ করদাতা রয়েছে জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, গত ১০ বছরে হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ লাখ মানুষ টিআইএন নিয়েছেন। কিন্তু এরা কিন্তু ট্যাক্স রিটার্ন দেয় না, ট্যাক্স রিটার্ন দিবেনবা কেন। ট্যাক্স রিটার্ন না দিলে যদি শান্তিতে থাকা যায়, কোনো ঝামেলা না হয়, তাহলে যারা রিটার্ন দিচ্ছে তারাই বোকা। ১ কোটি ১৩ লাখ ই-টিআইএনধারীর মধ্যে ৪০ লাখ রিটার্ন দেয়, বাকি ৮০ লাখের উপরে দেয় না। এর অর্থ হলো এনবিআর মাঠ পর্যায়ে যে এনফোর্সমেন্ট করার কথা, সেটা করতে পারছে না।
ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালা করদাতার ভয়ভীতি দূর করা, বিভিন্ন সরকারি আন্তঃসংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের ক্ষেত্রে এনবিআরের সদিচ্ছা বাড়ানো ও আমদানি-রপ্তানিসহ কর সংক্রান্ত সব হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত অনলাইনে প্রকাশের অনুরোধ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান।