যাত্রীকল্যাণ সমিতি
লম্বা ছুটির সঠিক ব্যবহারে ঈদযাত্রা ভোগান্তিমুক্ত হবে

বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেছেন, ঈদে একসঙ্গে বিপুল মানুষের যাতায়াতে গণপরিবহণে তীব্র সংকট দেখা দেয়। এটি মোকাবিলায় এবার লম্বা ছুটি সঠিকভাবে কাজে লাগানো গেলে যাত্রীদের ভোগান্তিমুক্ত, স্বস্তিদ্বায়ক ঈদযাত্রা নিশ্চিত হবে। ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, ছিনতাই, দুর্ঘটনা ও যানজট রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সোমবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে যাত্রীকল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘ঈদযাত্রায় সড়কে ডাকাতি, নগরজুড়ে ছিনতাই, সড়ক দুর্ঘটনার শঙ্কা উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সড়কে বাড়তি চাপ ও ফিটনেসবিহীন সিটিবাসে পোশাক শ্রমিকদের যাত্রা বন্ধে কলকারখানা ও পোশক শ্রমিকদের বেতন-বোনাস ২৪ মার্চের মধ্যে পরিশোধ করে, ধাপে ধাপে বাড়ি পাঠানো নিশ্চিত করতে হবে। আরও বলা হয়, এবারের ঈদে ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় দেড় কোটি মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে যাত্রা করবেন। দেশের এক জেলা থেকে অপর জেলায় আরও তিন থেকে সাড়ে তিন কোটি মানুষের যাতায়াত করতে পারে, যার ৭৫ শতাংশ সড়কপথে, ১৭ শতাংশ নৌপথে এবং ৮ শতাংশ রেলপথে।
সভায় বলা হয়, ৮৩ শতাংশ কোচ ও ৬০ শতাংশ লোকোমোটিভ মেয়াদোত্তীর্ণ এবং ৮২ শতাংশ লেভেলক্রসিং অরক্ষিত। এমন পরিস্থিতিতে রেল দুর্ঘটনা ও লাইনচ্যুতি, টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করে হয়রানিমুক্ত রেলসেবা দেওয়ার দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে নৌপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ঘাট ও নৌ-বন্দর কেন্দ্রিক যাত্রী হয়রানি, খেয়া পারাপারে বন্দরের যাত্রী পারাপারে বেসরকারি ইজারাদারদের লুটপাটের দৌরাত্ম্য বন্ধের দাবি করা হয়।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, সরকারের পরিকল্পনার গলদে নানা অব্যবস্থাপনায় যাত্রী দুর্ভোগ ও সড়ক দুর্ঘটনা বাড়ছে। এর দায় অন্যায়ভাবে মালিকদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।