Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

জুলাই শহিদের কবর ভাঙচুর মামলা ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ

Icon

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহিদ সায়েম হোসেনের (১৭) কবর ভাঙচুর করা হয়েছে। কবরের দেওয়াল ও নামফলক ভেঙে ফেলা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের রসুলপুর কবরস্থানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শনিবার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় ১৭ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০-৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন শহিদ সায়েমের মা শিউলী আক্তার। আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার দাবিতে কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। নিহতের বাবা কবির হোসেন বলেন, ১৯ জুলাই যাত্রাবাড়ী-কাজলা এলাকায় আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত হয় সায়েম। গুলি মাথার সামনে দিয়ে ঢুকে পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়।

নিহত সায়েমের মা শিউলী আক্তার বলেন, ছেলের কবর পাকা করা হয়েছিল, নামফলকও ছিল। শুক্রবার দুপুরে আমি কবরস্থানে গিয়ে দেখি একদল লোক ছেলের কবর ভেঙে ফেলেছে। তারা নাকি কবরে লাথি মেরে বলেছে, এখানে কোনো কবর থাকবে না। নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে। শিউলী আক্তার আরও বলেন, হামলাকারীরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার ছেলে প্রাণ উৎসর্গ করে ওদের নেত্রীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করেছে, এটা ওরা মেনে নিতে পারছে না। এজন্য ফ্যাসিস্টদের দোসররা হামলা করেছে।

বিক্ষোভ সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জের আহ্বায়ক আল আমিন মিনহাজ বলেন, সায়েম দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছে। তার কবর ভাঙচুর ও অবমাননার সঙ্গে ফ্যাসিস্টদের দোসররা জড়িত। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য আসাদ বিন রনি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কামরাঙ্গীরচরের আহ্বায়ক এবি প্রিতম।

কেরানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিনাত ফৌজিয়া বলেন, শহিদের কবরটি নতুন করে বাঁধানো হবে। অপকর্মের সঙ্গে জড়িতদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম বলেন, আসামিদের গ্রেফতারে একাধিক অভিযান চলমান রয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম