নবায়নযোগ্য জ্বালানি
চীনা বিনিয়োগে পরিবেশ তৈরির পরামর্শ সিপিডির

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে প্রচুর অর্থ প্রয়োজন। চীনা বিনিয়োগ এক্ষেত্রে অর্থায়নের একটি বড় উৎস হতে পারে। এ বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে দেশে ব্যবসার অনুকূল পরিবেশ এবং বিদ্যুতের সঞ্চালন অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে হবে। চীনের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে এসব পরামর্শ দিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘নবায়নযোগ্য শক্তি খাতে বিদেশি বিনিয়োগ: বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ কীভাবে আকৃষ্ট করা যায়?’ শীর্ষক ডায়ালগে এসব পরামর্শ দেয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
মূল প্রবন্ধে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, অন্তবর্তী সরকারের অধীনে বাংলাদেশের জ্বালানি রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বিনিয়োগ প্রয়োজন। চীনা বিনিয়োগ এক্ষেত্রে অর্থায়নের একটি বড় উৎস হতে পারে। তবে সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও সঞ্চালন অবকাঠামোর উন্নয়ন না হলে চীনারা এ দেশের বিনিয়োগে আগ্রহী হবেন না। তিনি আরও বলেন, চীনা বিনিয়োগকারীদের একটি বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক আইন অনুসরণ না করে সরকার অভ্যন্তরীণ উপায়ে দ্বন্দ্ব দূর করতে চায়। এছাড়াও চলমান রিজার্ভ সংকট ও মুনাফা ডলারে নিজ দেশে নিয়ে যাওয়াসহ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত সুবিধা না দেওয়াও সংকট তৈরি করেছে। এজন্য সরকারকে তহবিল গঠন করতে হবে।
সংস্থাটি বলছে, জ্বালানি খাতে চীনের বিনিয়োগ বাড়াতে বৈদেশিক মুদ্রার ঝুঁকি রোধে কাজ করতে হবে বাংলাদেশকে। এক্ষেত্রে সরকারকে তহবিল গঠন করার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি, যা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আংশিক গ্যারান্টি ও নিরাপত্তা বেষ্টনী দেবে। পাশাপাশি ভর্তুকির মাধ্যমে মুদ্রা অদলবদল, দেশীয় ব্যাংককে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে টাকায় ঋণ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি।
সিপিডি বলছে, অন্তর্বর্তী সরকার বিদ্যুতের জন্য উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র প্রক্রিয়ায় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি চীনা বিনিয়োগকারী এবং অর্থায়নকারীদের জন্য বেশ কয়েকটি সুযোগ দেবে। বেসরকারি খাতের জন্য বিপিডিবির নতুন চালু হওয়া ১০টি গ্রিড-সংযুক্ত সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ভালো পরীক্ষা হতে পারে।
সিপিডির ডায়ালগে আরও বলা হয়, সরকার ‘বিপরীত নিলাম’ পদ্ধতিতে নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের জন্য দরপত্র আহ্বান করতে পারে। চীনা বিনিয়োগভিত্তিক বিদ্যুৎসহ নবায়নযোগ্য জ্বালানির ৩৭টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রকল্পগুলো ‘বিপরীত নিলামের’ জন্য তাদের প্রস্তাব জমা দিতে পারে।