Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

উপাচার্যবিহীন এক মাস জবিতে প্রশাসনে স্থবিরতা

Icon

সাকেরুল ইসলাম, জবি

প্রকাশ: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

উপাচার্যবিহীন এক মাস পার করেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। ১১ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। এক মাসেও নতুন উপাচার্য নিয়োগ না হওয়ায় স্থবিরতা বিরাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনে। তাই উপাচার্য নিয়োগের জটিলতা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

এক মাসের বেশি সময় ধরে জবিতে ক্লাস-পরীক্ষাসহ রুটিন কাজ চলমান রয়েছে। তবে উপাচার্য না থাকায় গুরুত্বপূর্ণ নীতিনির্ধারণী অনেক কাজ আটকে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা হচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে। আড়াই মাস ক্লাস বন্ধের অ্যাকাডেমিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সপ্তাহে একদিনের অনলাইন ক্লাস বাতিলের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত ছাড়া বাতিল করা যাচ্ছে না অনলাইন ক্লাস।

এমন পরিস্থিতিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে প্রায় এক মাস শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভাগ সংযোগ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী সমাবেশসহ লাগাতার কর্মসূচি পালন করে আসছেন। এছাড়া বাইরের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গেটলক কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন বলেন, উনিশ বছরে একটি দশতলা ভবন ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবহারযোগ্য অবকাঠামোগত কোনো উন্নয়ন হয়নি। বর্তমান ক্যাম্পাসে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অবকাঠামোগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে। জবির নিজস্ব উপাচার্যের বিকল্প নেই। এক মাসের বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, যা অগ্রযাত্রায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। নিজস্ব উপাচার্য নিয়োগ না দিলে আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।

বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার বলেন, প্রক্টর না থাকায় নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন নারী শিক্ষার্থীরা। এ অবস্থার দ্রুত অবসান চাই। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান বলেন, আমাদের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য না থাকলে প্রতিষ্ঠান চলতে পারে না।

এদিকে উপাচার্য নিয়োগে আলোচনায় রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কয়েকজন শিক্ষক। সবার উপরে আছেন সমাজকর্ম বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। ২০০৮ সালে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে যোগ দেন এবং সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান ও সামাজিকবিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসাবে কর্মরত ছিলেন।

আলোচনায় দ্বিতীয় শিক্ষক হিসাবে আছেন গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদ। ২০১২ সালে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক পদে যোগ দেন। ২০১৮ সালে বিজ্ঞান অনুষদের ডিন হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। উপাচার্য হওয়ার দৌড়ে তৃতীয় হিসাবে আছেন জবির বিএনপিপন্থি সাদা দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দিন।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম