Logo
Logo
×

দ্বিতীয় সংস্করণ

প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে

Icon

প্রকাশ: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

২২ আগস্ট যুগান্তরে ‘বিদ্যুৎ খাতে লুটপাটের মহোৎসব-বিপুর মাফিয়া সিন্ডিকেট’ শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনের কিছু অভিযোগের বিষয়ে সামিট তাদের বক্তব্য ও ব্যাখ্যা দিয়েছে।

যুগান্তরের ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘আবুল কালাম আজাদ সামিট গ্রুপের অ্যাডভাইজার থাকাকালীন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সঙ্গে বিরোধে জড়ান। তার ক্ষমতার দাপটে বিদ্যুতের দাম বেশি দেখিয়ে সামিট গ্রুপ আরইবির কাছ থেকে ১২শ কোটি টাকার বেশি অর্থ হাতিয়ে নেন। এ নিয়ে মামলা হয়। মামলায় আরইবি জয়ী হলেও আবুল কালাম আজাদের ক্ষমতার দাপটে সামিট গ্রুপ এই টাকা দিচ্ছে না।’

এই অভিযোগের বিষয়ে সামিটের বক্তব্য হচ্ছে ২০০৫-২০০৬ সালে সামিটের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর এবং এরপর ২০০৬-২০০৭ মোতাবেক, কেন্দ্রগুলো থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ করতে থাকে।

আবুল কালাম আজাদ ২৮ মে, ২০০৯ হতে ০৪ ডিসেম্বর, ২০১২ তারিখ পর্যন্ত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছিলেন। আবুল কালাম আজাদ ওই সময়ে সামিটের চুক্তি নির্ধারিত ট্যারিফে, বিএসটি থেকে তিন পয়সা কমে, বিল পরিশোধ নাকচ করেন। আবুল কালাম আজাদের এ সিদ্ধান্তে সংক্ষুব্ধ হয়ে সামিট ২০১৩ সালে বিষয়টি মীমাংসার জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এর কাছে আবেদন দাখিল করে। আরইবির সঙ্গে বিএসটি নিয়ে মতপার্থক্যজনিত সামিটের পাওনা প্রায় ৭০০ কোটি টাকা প্রায় এক যুগ ধরে অমীমাংসিত আছে এবং সামিট এই টাকার বিলটি পায়নি।

২০১২ সালে আরইবি চলমান বাল্ক সাপ্লাই ট্যারিফ (বিএসটি) থেকে তিন পয়সা কমে, সামিটকে বিল দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে ২০১৩ সালে সামিট বিষয়টি মীমাংসার জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে যায় এবং বিইআরসি সামিটের পক্ষে রায় দেয়। এই রায়ের বিপক্ষে আরইবি সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট পিটিশন করে এবং সেখানেও সামিটের পক্ষেই কোর্ট রায় দেন। এরপর আরইবি সুপ্রিমকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে রিট পিটিশন করলে তার উত্তরে অ্যাপিলেট ডিভিশন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্সের (আইসিসি) আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের কাছে যেতে বলেন। এর প্রেক্ষিতে সামিট আদালতে আবার রিভিউ পিটিশন করেছে, যার শুনানি এখনো হয়নি।

Jamuna Electronics
wholesaleclub

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম