Logo
Logo
×

ঘরে বাইরে

সব বয়সে শীতের পোশাক

Icon

ফারিন সুমাইয়া

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:০০ এএম

প্রিন্ট সংস্করণ

সব বয়সে শীতের পোশাক

জেঁকে বসেছে শীত। ঋতু চক্রের পালাবদলে বদলেছে প্রকৃতি। শীত থেকে সুরক্ষা পেতে মোটা উলের পশমি কাপড় শেষ ভরসা। গরম কাপড় ছাড়াও শীত যেন এক উৎসবের আমেজ। ঘরে ঘরে পিঠাপুলির মিষ্টি সুভাস আর গুড়ের পায়েসে আয়েশ করে শীত আমেজ অনুভব করা যায়।

তবে খাবার-দাবার ছাড়াও শীত পরিচিত ফ্যাশনের ঋতু হিসাবেও। নানা ধরনের আর ফ্যাশনের পোশাকের দেখা মিলে শীতজুড়ে। হালকা শীত সামাল দিতে যেমন আছে কাপড়ের মধ্যে তারতম্য, তেমনি শীতের আমেজ বেশি হলে তাকে হার মানাতেও আছে ব্যবস্থা। কানটুপি, হাতমোজা, পা-মোজাতে নিজেকে উষ্ণ রাখার প্রস্তুতি। বয়সভেদে আছে পোশাকেও রকমভেদ। শিশুদের ক্ষেত্রে শীত থেকে বাঁচতে অবশ্য কানটুপি, পায়ে মোজা, সোয়েটার আর তার নিচে গরম কাপড়ের গেঞ্জি কিংবা মোটা কাপড়ের ফুলহাতার পোশাক।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কানটুপি, হাতমোজা, পা-মোজার সঙ্গে সঙ্গে যুক্ত হয় মাফলার। বর্তমানে কানটুপি আর মাফলার একসঙ্গে কম্বিনেশনেও দেখা মিলে। সঙ্গে আছে নাক-মুখ ঢেকে রাখারও ব্যবস্থা। বিশেষ করে যারা ড্রাইভ করেন কিংবা বাইক চালান, তাদের ক্ষেত্রে খুবই জরুরি একটি শীতের সরঞ্জাম। এ ছাড়া ছেলেমেয়ে সবার জন্যই আছে লং সোয়েটার, কোট, জাম্পার, কার্ডিগান, শাল, চাদর, জ্যাকেট, পঞ্চসহ নানা ফ্যাশনের ট্রেন্ডি পোশাক।

লেদার, উল কিংবা মোটা কাপড়ের তৈরি এসব পোশাক কেবল শীতই সামাল দেয় না, বরং আপনার ফ্যাশনের ক্ষেত্রে রুচি কেমন, তারও বহিঃপ্রকাশ করে। অফিস কিংবা মিটিংগুলোতে কোট, আবার কিছু ক্ষেত্রে অনেকেই জ্যাকেট ও ক্যারি করেন। সোয়েটারের দেখাও মিলে অনেক জায়গায়। বিশেষ করে যারা বয়স্ক, তাদের ক্ষেত্রে যতটা উষ্ণতা পাওয়া যায় এমন কাপড় থাকে প্রথম পছন্দের তালিকায়।

এরপরই আসে টুপি, মাফলারসহ আরও ছোটখাটো পোশাক; যেমন-হাতমোজা, পায়ের লম্বা মোজা জোড়ার কথা। হাঁটুর ঠিক নিচ পর্যন্ত থাকে বিধায় পায়ের বেশ খানিকটা অংশজুড়েই শীত অনেক কম অনুভব হয়। ক্যাজুয়াল আউটফিটের বেলায় জগার্স ও ট্রাউজারের প্রচলন বেশি।

এর সঙ্গে গলাবদ্ধ মোটা উলের পশমি জাম্পার কিংবা কার্ডিগান মেয়েদের পছন্দের শীর্ষে। ছেলেদের বেলায় ঘরোয়া আমেজেও জ্যাকেট, সোয়েটার বেশ মানিয়ে যায়। আর বাইরের ক্ষেত্রে হালকা শীতে একটু পাতলা শীতের পোশাকেই আরাম। ক্লাস কিংবা কোচিংয়ের সময়ে হালকা শীতে আবার পঞ্চ ধাঁচের পশমি কাপড়েই আরাম মিলে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম